নাগর টেরে টেরে হেরই রাই বয়ান।। ধ্রু।।
যূথে যূথে গোপী লইয়া যশোদা-নন্দন।
রাসক্রীড়া বৃন্দাবনে কৈলা আরম্ভন।।
হস্তক বন্ধনে গোপী করিয়া মণ্ডলী।
মধ্যে মধ্যে যশোদা-নন্দন বনমালী।।
যোগমায়া আশ্রয় করিয়া নটবর।
দুই দুই নাগরী মধ্যে এক এক নাগর।।
গোপিকার কাঁধে বাহু হেলি কুতূহলে।
আমার নিকটে কৃষ্ণ সব গোপী বলে।।
যূথে যূথে রমণী বিহরে বনমালী।
রাসরস মহোৎসবে গোপীর মণ্ডলী।।
হেমমণি আভরণ যত রূপবতী।
মধ্যে মধ্যে মরকত শ্যাম যদুপতি।।
কিবা সে মণ্ডলী শোভা গোপিনী গোপাল।
মরকত গাঁথা জনু হেমমণি-মাল।।
কোন গোপী নাচে গায় করে ধরে তাল
মধ্যে মধ্যে নৃত্য করে যশোদা গোপাল।
অন্তরীক্ষে দেবগণ চড়িয়া বিমানে।
রাসলীলা দেখে সবে সঙ্গে নারীগণে।।
ব্রজাঙ্গনা সঙ্গে সঙ্গে রসিক মুরারী।
স্বর্গেতে দুন্দুভি বাজে নাচে বিদ্যাধরী।।
গন্ধর্ব্ব কিন্নর গীত গায় উচ্চস্বরে।
পুষ্পবৃষ্টি দেবগণ করিয়ে সাদরে।।
অঙ্গভঙ্গ মন্দহাস্য অঙ্গ বিলোকনে।
নৃত্য গীত পুলকিত অঙ্গ গোপীগণে।।
শ্যাম নটবর সঙ্গে কলাবতীর ঘটা।
নব জলধরে জনু বিদ্যুতের ছটা।।
বলয়া নূপুর মণি বাজয়ে কিঙ্কিণী।
রাসরসে রতি-রণে কি মধুর শুনি।।
করয়ে নর্ত্তক রসে হরিষে মুরারি।
গোবিন্দ সহিতে নাচে গোপের সুন্দরী।।
কোন গোপী কৃষ্ণ সঙ্গে গায় উচ্চস্বরে।
সাধুবাদ দেন তারে শ্যাম নটবরে ।।
কোন গোপী রাসরসে শ্রমযুত হৈয়া।
আবেশে কৃষ্ণের অঙ্গে পড়ে আউলাইয়া।।
তাহারে ধরিয়া কৃষ্ণ দেন আলিঙ্গন।
গোবিন্দদাস তাহে আনন্দিত মন।।