পহিরণ নীলাম্বর ধবল বরণ।
করে ধরে শিঙ্গা মত্তগজেন্দ্রগমন।।
পদদুই চলে পুন চলিতে না পারে।
সুস্থির হইতে নারে ঢলি ঢলি পড়ে।।
পড়িয়া আপনি উঠে আপনি অস্থির।
বারুণী বলিয়ে পিয়ে যমুনার নীর।।
বারুণী বারুণী বলি সখাগণে চায়।
ক্ষণে ক্ষণে ধরণী পড়িয়া গড়ি যায়।।
অরুণ নয়ন করি অধর কাঁপায়।
ভয় মানি কেহ তার নিকটে না যায়।।
আপনার ছায়া দেখি তারে কহে কথা।
আপনি কহিয়া কথা নিজে নাড়ে মাথা।।
খেনে হাসে খেনে কান্দে বিবিধ বিকার।
বালকের সঙ্গে খেনে করয়ে বিহার।।
কেহ গায় কেহ বায় কেহ তাল ধরে।
আনন্দে নাচয়ে ব্রজবালক ভিতরে।।
একুই কুণ্ডল মাত্র বাম কানে দোলে।
একুই নূপুর বাম চরণ কমলে।।
ধরণী লোটায় নীল ধড়াব অঞ্চল।
বিগলিত হইয়াছে বেণীর কুন্তল।।
খনে তরূতলে বসি দোলায় শরীর।
টলমল করে ক্ষিতি ভরে নহে স্থির।।
দেখিয়া বালকগণ খনে খনে হাসে।
খনে খনে ভজে খনে পিরীতি সম্ভাষে।।
নির্মল ধরণীতলে দেখিতে সুছান্দ।
দিবসে উদয় যেন পূর্ণিমার চান্দ।।
কৃষ্ণক্রীড়ারসে দিকবিদিক্ না মানে।
আনন্দে বলাইএর গুণ জ্ঞানদাস ভণে।।