বরজ রমণী স্তুতি শুনিয়া সে যদুপতি
দেখাইলা সে তরণীখানি।
দেখিয়া পুরাণো তরি একে একে ব্রজনারী
বোলে বুঝি হারাব পরাণি।।
আমরা অবলা নারী তোমার পুরাণো তরি
তাহে অতি গভীর যমুনা।
তুমি তাহে কর্ণধার কেমনে হইব পার
বুঝি সব মরণ মন্ত্রণা।।
তরণী নূতন নয় দেখিয়া লাগয়ে ভয়
ভাঙ্গা নায়ে ভরা দিতে নারি।
এ কানে ও কানে বান দেখিয়া কাঁপয়ে প্রাণ
নন্দসুত নবীন কাণ্ডারী।।
হাঁসি কহে শ্যামরায় ভয় নাই চড় নায়
অশ্ব গজ কত করি পার।
দেবতা গন্ধর্ব্ব যত পার করি শত শত
যুবতী যৌবন কত ভার।।
জগন্নাথ দাসে কয় নায়ে চড় নাহি ভয়
অবধানে শুন ব্রজনারী।
যেই হরি দীনবন্ধু পায় করে ভব-সিন্ধু
সেই হরি আপন কাণ্ডারী।।