বিনোদিনী রাই গৃহে রন্ধনে আছিলা।
আচম্বিতে সুবলেরে দুয়ারে দেখিলা।।
দু ঝুঁটি চুলের গুচ্ছ বাঁন্ধি উচ্চ করি।
হেম থালি হাতে করি বেঢ়াইল কিশোরি।।
সুবল দেখিয়া রাইয়ের আনন্দিত মন।
কি কারণে আইলি সুবল কহ বিবরণ।।
কখন না দেখি তোমায় আমার ভবনে।
আজ তুমি আইলা বল কিসের কারণে।।
এখনি গোঠেতে গেলি কেন ফিরে এলি।
কেমন আছেন মোর প্রাণ বনমালি।।
সুবল কহয়ে শুন নবীন কিশোরী।
এতক্ষণ কিবা হইল কহিতে না পারি।।
তব কুণ্ডতীরে শ্যাম তোমার লাগিয়ে।
সদা ধ্যান করে প্রেমে কান্দে ফুকারিয়ে।।
অচেতনে পড়ে আছে তব কুণ্ডতীরে।
বিপরীত দেখে আইলাম কহিতে তোমারে।।
তব নাম শ্রবণেতে ডাকিয়া কহিলাম।
আবেশে নয়ন মেলি তাকাইল শ্যাম।।
কি কথা শুনাইলি সুবল কি কথা শুনাইলি।
কথা নয় যে দারুণ শেল মোর বুকে দিলি।।
দিবসে কেমনে যাব কহ দেখি শুনি।
ঘরেতে আছয়ে মোর পাপ ননদিনী।।
কথাতে কথাতে সদা তোলে বিসম্বাদ।
কহয়ে আনন্দ বড়ো দেখি পরমাদ।।