বিপিনে ভরল অতি মনোহর
রাইর অঙ্গের গন্ধ।
চকিত নয়নে দশ দিশ পানে
হেরই গোকুলচন্দ।।
নাগরের অধিক বাঢ়ল সাধা।
সুবলের সনে নিকুঞ্জ ভবনে
অবহি মীলব রাধা।।
ভাবিতে ভাবিতে জাবটের পথে
রাইরে দেখিল একা।
মনে অনুমানে রসবতী বিনে
আইল সুবল সখা।।
বরণ বয়স সুবলের বেশ
কিছুই নাহিক ভেদ।
সুবল ফিরিঞা আইল বলিঞা
দ্বিগুণ বাঢ়িল খেদ।।
নয়নের জল করে ছল ছল
বিনয় করিঞা বলে।
অভিমান করি না আল্য সুন্দরী
কি দোষে ছাড়িল মোরে।।
শ্যামের পিরীতি আদর আরতি
বুঝিতে কুলের বালা।
মনের কৌতুকে অবনত মুখে
রহিল করিঞা ছলা।।
রসিক নাগর না পাঞা উত্তর
পড়িল ধরণীতলে।
রসিক নাগরী দু বাহু পসারি
বন্ধুরে করিল কোরে।।
অঙ্গের পরশে রসের আবেশে
ভাঙ্গিল মনের ধন্দ।
অনেক দিনের ভুখল চকোর
পাইল শারদ চন্দ।।
রাধার অধর সুধার সাগর
নাগর করএ পান।
আনন্দের ভরে আপনা না ধরে
দীনবন্ধু দাস গান।।