বড় অদভুত দেখিল বেকত
নব ঘন আসি নামে।
সে জন জলদ– পুঞ্জ ঘোর অতি
বসিয়া কুসুম-দামে।।
মেঘের উপরে চাঁদ ফলিয়াছে
হের না আসিয়া দেখ।
এই সব গোপী প্রেমের নবরূপী
কেমনে জলদ রেখ।।
মেঘে চাঁদ ফলে নাহি কোন কালে
নাহি তার পাতা ফুল।
চারু শাখা তায় দেখিল তথায়
মেঘের গঞ্জন দূর।।
শাখায় শাখায় তার সরু ডালে
বিংশতি চাঁদের খেলা ।
আর চারু মূলে বিশ শশধর
চাল্লিশ চাঁদের মেলা।।
মেঘের উপর নাচিছে ময়ূর
তাহার গর্জ্জন শুনি।
সহস্র গো– ভূষণ মুখেতে
নাচত একহি ফণী।।
ফল যুগল তাহে শশধর
বেড়িয়া রহেছে ওই।
এ রস-মাধুরী চতুর চাতুরী
বুঝিতে না পারে কই।।
কুলিশ যুগল তার পরে ফুল
তাহে সে চাতক আশে।
চাতক বাদর মেঘ রসালিয়া
সে জন আছয়ে শেষে।।
এ দুই আদর পাইয়া বাদর
দেখিয়া গোপের নারী।
চণ্ডীদাস বলে– “আন কি বুঝিবে
বেকত বুঝিতে পারি।।”