“মগন করিয়া গেল সে চলিয়া
সোনার পুতলি কায়া।
তাহে নীল শাড়ী ভেদিয়া আঁচল
রূপ অনুপম ছায়া।।
বসন ভেদিয়া রূপ উঠে গিয়া
যেমন তড়িৎ দেখি ।
লখিতে নারিনু কেমন বন্ধন
লখিয়া নাহিক লখি।।
কি আর কহিব নয়ান চঞ্চল
নানা আভরণ গায়।
নানা পরিপাটী রসের সৌরভে
লাখ লাখ অলি ধায়।।
চলিল যখন দেখিল তখন
গমন হংসিনী প্রায়।
আপন গেয়ানে না দেখি নয়ানে
এমত রূপের কায়।।
সোনার নূপুর বাজয়ে মধুর
পঞ্চম শবদ করে।
চলিয়া যাইতে সে মন্দগামিনী
হেলিয়া হেলিয়া পড়ে।।
যেমন কেশরী নিতম্ব মাঝারি
ঘটের মুটকে পাই।
ঐছন দেখিনু মধুর মূরতি
আপন নয়ানে চাই।।
হাসিতে আমিয়া পড়ে কত শত
দেখিলাম নয়ান-কোণে।
যেমত দেখিনু রাজার কুমারী”
দ্বিজ চণ্ডিদাস ভণে।।