মধুর মুরুতি দেখিআ দৈবকী
তটস্থ হইএ রএ।
তেন জন নাহএ মানুষের কায়া
আপনি হিআতে কয়ে।।
দেব-চিহ্ন জত দেখিল বেকত
চতুর্ভুজ রূপাধারী —
“শংখ চক্র হের দেখ গদা পদ্ম
এ জন দেবের হরি।।
বনমালা গলে হিআ মাঝে দোলে
মণি সে কস্তুভ মাঝে।
হাসিতে অমিঞা- রাশি বরিখয়ে”–
জননী লক্ষল কাজে।।
দৈবকী দেখিয়া বসুদেব কহে —
“শুনেছি পুরাণ-কথা।
জেহঁ নারায়ণ পরম কারণ
তেহোঁ সে দেবের ধাতা।।
শুনেছি পুরাণে ব্যাসের বচনে
গোলোক-ইশ্বর জেই।
বুঝিল সে জন লইল জনম
মনেতে জানিল সেই।।
গোলোক তেজিঞা এখানেতে আসি
জনম লভিল আসি।”
আনন্দে দুজনে কহেন বচনে–
“সেই অভিপ্রাঅ বাসি।।”
কোলেতে লইয়া কহেন দড়িআ
পুত্র-মুখ পানে চাঞা।
“এখনি আসিঞা দুষ্ট কংসচর
শিলাতে মারিব ঠাএ।।”
স্তবন করেন হআ এক মন–
“তুমি কি দেবের হরি।
তুমি সনাতন পরম কারণ
আমি সে বুঝিনো রিত।।”
চণ্ডিদাসে বলে– “শুনহ জননি,
এ কথা অন্যথা নহে।
জগতের পতি জনমিল ইথি
সেহ সে নিশ্চঅ হএ ।।”