যখন করিলে বনে অতিসুখ
লীলা সে খেলিলে খেলা।
কতেক অসুর বধিলে নিঠুর
হয়া বালকের মেলা।।
যে দিনে কালিন্দী দহের সম্মুখে
সে জলে গরল ছিল।
সে জল খাইয়া সেখানে বালক
সবে তনু তেয়াগিল।।
কূলে পড়ি সবে মরিল বালকে
তুমি সে গেছিলা কতি।
আসিয়া দেখিলে কিবা মাত্র দিলে
করিলে সবার গতি।।
কেন বা জীয়ালে এ দুখ দেখিতে
তখনি মারিতে ছিল।
মথুরা গমন করিবে এখন
ইহাই দেখিতে হল।।
কেমনে বঞ্চিব তোমা না দেখিয়া
শুন হে কানাই ভেয়া।
নিঠুর নহিও বচন কহিও
কহত বদন চেয়া।।
এ যদুনন্দন না ফুরে বচন
হেটমাথে রহে কানু।
কিবা না বলিব মুখে নাহি বাণী
পূরল বিরহে তনু।।
চণ্ডীদাস কহে শুন হে বচন
চলহ যমুনা-জলে।
ঝাঁপ দিয়া মরি করিয়া ধেয়ানে
সুবল ইহাই বলে।।