রজনি-প্রভাতে উঠিয়া নাগর
তেজল নাগরী-পাশ।
ঘুমে ঢুলু ঢুলু নয়নযুগল
মুখে মৃদু মৃদু হাস।।
কপাল উপরে সিন্দুরের বিন্দু
অধরে কাজর দেখি।
হিয়ার মাঝারে অলক তিলক
নখ-চিহ্ন তাহে সাখী।।
হিয়ায় দুলিছে বিনা সুত মালা
যুবতি দিয়াছে সাধে।
এ সব ভূষণ অঙ্গেতে করিয়া
ভেটিতে চলিছে রাধে।।
দেখিতে দেখিতে বিনোদ নাগর
মিলল রাইর পাশ।
দেখিয়া জ্বলিছে পরাণ পুড়িছে
কহয়ে গোবিন্দদাস।।