রজনী প্রভাতে উঠি নন্দের গৃহিণী।
দধির মন্থন করে তুলিতে নবনী।।
নিদ্রাগত ছিল কৃষ্ণ শয়ন মন্দিরে।
নিদ্রাভঙ্গ হইল বৈসে পালঙ্ক উপরে।।
আমার হয়েছে ক্ষুধা শুন গো জননী।
স্তন কিম্বা দেহ মোরে খাইতে নবনী।।
মা মা বলিয়া তবে বাহিরে আইলা।
কি খাব বলিয়া কৃষ্ণ কাঁদিতে লাগিলা।।
দেহ দেহ ননী দেহ বলে বারম্বার।
ক্ষুধায় ব্যাকুল প্রাণ হইল আমার।।
এত বলি দ্রুত ধরে মথনের দণ্ড।
ভাঙ্গিয়ে ফেলিব এই যত আছে ভাণ্ড।।
বলরাম দাসে কহে শুন নীলমণি।
কিঞ্চিৎ বিলম্ব কর দিব রে নবনী।।