রাইক ব্যাধি শুনহ বর কান।
যাহা শুনি গলি যায় দারু পাষাণ।।
উঠিছে কম্পের ঘটা বাজিছে দশন।
কণ্ঠ ঘড় ঘড় ভেল কি আর ভাবন।।
কন্টকীর ফল যেন পুলক-মণ্ডলী।
ফুটিয়া পড়ল সব মুকুতার গুলি।।
নয়ানের জলে বহে নদী শতধারা।
পাণ্ডুর বরণ দেহ জড়িমার পারা।।
তুয়া নাম শ্রবণে ডাকিছে কোন সখী।
শূনিতে বিকল হিয়া না মেলয়ে আঁখি।।
ক্ষীণ তনু দেখিয়া বাঢ়িছে মন-ব্যথা।
ভাঙ্গিলে মুরছাখানি কি আর বা কথা।।
সখীগণ বেঢ়িয়া ডাকয়ে চারি পাশে।
কি হইতে কি করব রসময় দাসে।।