রাই বলে–“শুন হেদে গো বেদনি,
ঘাটের জানহ পথ।”
বড়ায়েরে রাধা কহে রস-কথা–
“বড় দেখি অনুরথ।।
আর কত দূর আছে মধুপুর
কহনা বেদনী বুড়ি।
সহজ গমনে পথ নাহি চল
চলিয়া যাইতে নারি।।”
কানু-পরসঙ্গ অলপ ইঙ্গিতে
সুধাই যতন করি।
কহিতে কহিতে হইল মোহিত —
“কহ কহ আগো বুড়ি।।”
কহিছে বড়াই আপনি দড়াই—
“মাঝেতে যমুনা এ ।
ও পার হইলে যা চাহ তা পাকে
এ পারে নাহিক সে।।”
হাসি কহে রাধা বলে বাণী আধা
“ও পারে কে আছে বল।”
বড়াই বলিছে “কহিলে কি হয়
আগে দেখাইব চল।।”
হরষ বদনী রাই বিনোদিনী
পুনঃ সে সুধায় তায়–
“সে জন কেমন কিবা তার নাম”–
দ্বিজ চণ্ডীদাসে গায়।।