“রাধে, আন জন যত বলে।
সে সব বচন এ চুয়া-চন্দন
লেপন করেছি হেলে।।
তুমি মোর ধনি, নয়ন-অঞ্জন
তুমি মোর দুটি আঁখি।
যবে তিল আধ তোমারে না দেখি
মরমে মরিয়া থাকি।।
শয়নে ভোজনে ভাবি মনে মনে
আঁখি অগোচর যবে।
তবে কি পরাণে স্থিরতর রহে
পরাণ না রহে তবে।।
তেজি আন পথ যো পথ আরোপি
সকল গোচর পায়।
নিরন্তর মন সঁপেছি চরণে
কমলে মধুপ প্রায়।।
গোলোক-বিহার পরিহরি রাধা
গোকুলে গোপের ঘরে।
তুয়া সঙ্গ অঙ্গ পরশ লাগিয়া
আইনু তোমার তরে।।
তোমা হেন নিধি মোরে দিল বিধি
শুনহ কিশোরী গৌরী।”
চণ্ডীদাসে কয়– “হেন মনে লয়
নাহি আঁখি আড় করি।।”