রোদন গুমান সব পরিহরি
নিজ নিজ গৃহে চলে।
বিরহ-বেদনী যতেক গোপিনী
রাধারে কিছুই বলে।।
“বিরহ -সমুদ্রে নাহিতে আমরা
বিহি সে করল কাজ।
গুরু-পরিজন করিবে তাড়ন
পাইব অনেক লাজ।।
তবে বিধি যদি অনুকূল হয়ে
মিলব রসের পিয়া।
এখন চেতন ধরহ যতন
এ বুকে পাষাণ দিয়া।।”
এই অনুমান করে গোপীগণ
নিজ নিজ গৃহে চলে।।
বিরস-বরণী সে চাঁদ-বদনী
সখীরে কিছুই বলে।।
“পাসরিতে নারি শ্যাম-রূপখানি
সদাই হিয়াতে জাগে।
করয়ে যেমন হিয়া আনচান
কহিব কাহার আগে।।”
চণ্ডীদাস কয়– “শুন রসমই
আমি সে মথুরা যাব ।
সব বিবরণ শ্যাম অন্বেষণ
তোমারে আসিয়া কব।।”