“শুনগো সজনি পরমাদ শুনি
রাধার ঐছন দশা।”
বিরহে আকুল রসময় কান
সঘনে নিশ্বাস নাসা।।
করেতে আছিল মোহন মুরলী
তাহা না পড়িল কতি।
কমলনয়নে লোর বহি ঘনে
ভাসিয়া চলিল তথি।।
অঙ্গের সৌরভ এ চূয়া চন্দন
ভূষণ কৌস্তূভমণি।
এ সব তিতিয়া চলল ভাসিয়া
বিরহে চতুরমণি।।
“সে মোর প্রেয়সী প্রেমময়ী রাধা
শুধুই সুধার বাশি।
দাঁড়ায়ে দেখই ও মুখমণ্ডল
হেনক মনেতে বাসি।।
যাহার লাগিয়া বনে ধেনু রাখি
তাহার দরশ আশে।
মধুর মুরলী গাই নিশি নিশি
ধরি নটবর বেশে।।”
ঐছন বিরহ নাগর-শেখর
ক্ষণেক সম্বিত পায়।
তুরিত গমন চল বৃন্দাবন
চণ্ডীদাস গুণ গায়।।