“শুনহে নাগর গুণমণি।
এক রন্ধ্রে দুজনাতে বাজাহ ভালই মতে
যেমন মধুর উঠে ধ্বনি।।”
শুনিয়া রাধার বাণী হাসিল সে গুণমণি
মধুর বাঁশীতে দিল ফুঁক ।
“রাধা-কৃষ্ণ”–দুটি নাম ধ্বনি উঠে অনুপাম
শুনিতে মধুর অতি সুখ।।
এক রন্ধ্রে দুই জনে বায়ে বাঁশী ঘনে ঘনে
মৃত তরু মুঞ্জরিতে চাহে।
যমুনার যত নীর কূলে পড়ে সু-ধীর
গান শুনি পরাণ মিলায়ে।।
রাই কহে–“শুন হরি এই সে বিনতি করি
ভাল মতে মুরলী শিখাও।
কোন্‌ রন্ধ্রে কোন্‌ কয় ফুঁক দিলে কিবা হয়
কোন্‌ রন্ধ্রে কোন্‌ রস গায়।।
দশাঙ্গুলি করে হয় সপ্তাঙ্গুলি পরিচয়
কোন্‌ অঙ্গুলি কিবা বোল।”
শ্যাম কহে–“শুন রাই যে হেতু শুনহ তাই
বাঁশী কিবা পরিচয় ছল।।
কাননে মধুর বলে কোন্‌ খানে কোন্‌ দিলে
আগে আছে ভাগবতে লেখা।
পূরবে সে এককালে মধুকরি আনি ছলে
তিন জনা আনি দিল দেখা।।
সেই তিন বসি তথা কহিতে কানন-কথা
সেই মধু গাগরিতে ছিল।
তিন জন অভিপ্রায় ঢালে মধু তথায়
সকল ঢালিয়া তায় দিল।।
মধুবনে সেই মধু ঢালি দিন কোন বিধু
সেই মধু উপজিল কায়।
হইয়া নারীর কায় দিব্য স্নিগ্ধ রূপ পায়
সেই রামা হইল রস ছায়।।
তবে তার শুন কথা কোন কর্ম্ম সখী হেথা
বড় পুণ্যবতী সেই নাীর।
দিল তার পরিচয় মনে মনে কথা কয়”
চণ্ডীদাস বলে বলিহারী।।