”শুনহ নাগর কানু।
কে তোমা এ মাঠে দানী করিয়াছে
ধরিয়া মোহন বেণু।
হাসি হাসি চাহ কুল নিতে চাহ
আপন বড়াই রাখ।
তিলেকে ভাঙ্গিবে ঠাকুরালিপণা
আপনি দাঁড়ায়ে দেখ”।।
কানু বলে ”আগে যাহাই করিবে
তাহা আগে তুমি কর।
তবে সে তোমারে ছাড়ি দিব আমি
যাহার ভরসা কর।।
কংশের যোগানী বলিয়া তোমার
বড় অহংকার দেখি।
কোটী কোটী কংস করিয়াছি ধ্বংস
শুনহ কমলমুখি।।”
রাই বলে ”ভাল জানিয়ে তোমারে
রাখাল হইয়ে এত।
গরু না রাখিতে হাতে বাড়ি করি
তবে লে হইত কত।।”
কানু বলে ”মোর এই ব্যবহার
রাখি যে ধেনুর পাল।
গোপের গোধন ভূষণ চন্দন
তাহার জীবিকা যার।।”
”পরিয়াছ মালা গুঞ্জা আছে গলা
গাঁথিয়া পরম মালা।
এ বেশে এদেশে রমণী ভুলিব
যাহাই বরণ কালা।।
বনফুলে তুমি চুড়াটি বেঁধেছ
এই যে নাগরপণা।
যত বড় তুমি ঠাকুর বটহ
এবে যে গেলই জানা”।।
চণ্ডীদাসে বলে শুন গুণনিধি
অবলা না দিহ দুখ।
মথুরা যাইতে দেহ আন ভিতে
করিতে বিকির সুখ।।