“শুন গো, বড়াই, হেথা।
কহ কহ শুনি সে জন কেমন
তার পরসঙ্গ-কথা।।
কোন নাম তার সে কোন দেবতা
সে কেনে ঘাটেতে বসি।”
বড়াই কহিছে — “এখনি জানিবে
সঙ্গে আছে তার বাঁশী।।”
বাঁশীর নিশান জানিয়া তখন
হাসি বিনোদিনী রাধা।
“তা সনে কিসের পরিচয় মোর,
কি আর করহ বাধা।”
“সে জন-চাতুরী তাহার মাধুরী,
তার নাম কালা কানু।
যা চাহ তা দেই ইথে আন নাই
অতি সেরসের তনু ।।”
রাধা বলে — “শুন, বড়াই বেদনী,
চলিতে না চলে পা।”
বড়াই বলিছে রাই পানে চেয়ে
“তোমার রসের গা।।
বুড়ীরে কি বল যে বল সে বল
বুড়ীর নাহিক লাজ।
(যুবতী জনার পরশিতে তনু
চলই দানের মাঝ।।”
চণ্ডীদাস বলে– “নিয়া দান-ছলে
ভেটই নাগর রায়।
(শ্যাম সুনাগর রসের সাগর
কদম্ব-তরুর ছায়।।”