“শুন গো মরমসখি তোরা ।
নিশি অবশেষে কালে ঘুমে অচেতন ভালে
সপনে দেখিল চিতচোরা।।
একে নবঘনস্যাম পিতবাস অনুপাম
বান্ধা চূড়া নানা ফুল দিয়া।
হাসিয়া নাগর রায় আসিয়া বৈঠল ঠায়
দুটি করে কর আরোপিয়া।।
একে হাম বিরহিনি কহিল কঠিন বানি
কোপে দিল কর ছাড়াইয়া।
পুনরপি করে ধরি সেই না রসিক হরি
বসাইলা জতন করিয়া।।
সুতল চতুর হরি মোহে নিজ কোরে করি
আলিঙ্গন করি আচম্বিতে।
দারুণ কোকিল-নাদ মনে না পুরল সাধ
বুঝিলাঙ হইল প্রভাতে।।
যেমন সতিনি প্রায় সঘনে ডাকয়ে রায়
মনে না পুরল কোন আসা।
ননদিনি পাপমতি জানয়ে দেখিয়ে কতি
হেন বুঝি নিসি ভেল উষা।।
তুরিতে রসিকরাজ রাখিয়া নুপূর সাজাই
বড় দুখ রহল মরমে।
হেনক সময়কালে ভাঙ্গি সুখ অবহেলে
মেলি আখি দূর গেল ঘুমে।।
নিসির সপন এই দেখিল মরম সই
পিয়া সনে না পারি বঞ্চিতে।”
চণ্ডীদাস বলে বানি মিলিব নাগর-মনি
হেন বুঝি আসিব তুরিতে।।