শ্রীমতী ললিতাসখী দাসীর সূচক-কীর্ত্তন

(কার্ত্তিক-কৃষ্ণাচতুর্দ্দশী)

‘‘শ্রীগুরু-প্রেমানন্দে নিতাই গৌর হরিবোল’’
‘‘ভজ নিতাই গৌর রাধে শ্যাম।
জপ হরে কৃষ্ণ হরে রাম।

‘‘শ্রীগুরু-চরণাশ্রিতা, জয় দাসী শ্রীললিতা,
শ্রীগুরুনিষ্ঠা-সেবার মূরতি।’’

প্রাণভরে জয় দাও

শ্রীগুরুচরণ হৃদে ধরে—প্রাণভরে জয় দাও
শ্রীগুরুসেবার মূরতি সঙরিয়ে—প্রাণভরে জয় দাও

জয়,–জয় দাসী শ্রীললিতা

জয় জয় জয় জয়—জয়,–জয় দাসী শ্রীললিতা
শ্রীগুরু-চরণাশ্রিতা—জয়,–জয় দাসী শ্রীললিতা

[মাতন]

‘‘শ্রীগুরুনিষ্ঠা-সেবার মূরতি।’’

যেন,–মূরতি ধরে এসেছিল

শ্রীগুরু-সেবা-নিষ্ঠা—যেন,–মূরতি ধরে এসেছিল

‘‘শ্রীগুরুনিষ্ঠা-সেবার মূরতি।
‘‘শ্রীরাধারমণ যাঁর’’

যাঁর,–‘শ্রীচরণদাস’ খ্যাতি

সেই,–‘‘শ্রীরাধারমণ যাঁর’’, সর্ব্বারাধ্য-সেবা-সার,
সাধ্য তাঁর শ্রীচরণে রতি।।’’

সেই সে উত্তমা গতি

ঠাকুর-নরোত্তম বলেছেন—সেই সে উত্তমা গতি
শ্রীগুরু-চরণে রতি—সেই সে উত্তমা গতি

[মাতন]
আর কিছু জানত না

শ্রীগুরু-বৈষ্ণব-সেবা বিনে—আর কিছু জানত না

যা করিত শ্রীগুরু-সুখের লাগি’

‘‘সাধ্য তাঁর শ্রীচরণে রতি।।
‘‘সর্ব্বোত্তম সাধন, শ্রীগুরু-বৈষ্ণব-সেবন,
আজীবন কায়-বাক্য-মনে।
শ্রীগুরুচরণে রতি, সেই সে উত্তমা গতি,
শিখাইলা আচরি’ আপনে।।’’

শ্রীগুরুচরণে রতি পাবার লাগি’

শ্রীগুরু-বৈষ্ণব-সেবা সাধন যাঁর—শ্রীগুরুচরণে রতি পাবার লাগি’
শ্রীগৌর-গোবিন্দ-বিহার-ভূমি—শ্রীগুরুচরণে রতি পাবার লাগি’

সাধ্য,–শ্রীগুরুচরণে রতি

সাধন,–শ্রীগুরু-বৈষ্ণব-সেবা-প্রীতি—সাধ্য,–শ্রীগুরুচরণে রতি

দেখাইলা নিজ-জীবনে

শ্রীগুরুদেবের কৃপা বলে—দেখাইলা নিজ-জীবনে

শ্রীগুরুচরণে রতি মিলে

নিজ-জীবনে আচরি’ শিখাইলা—শ্রীগুরুচরণে রতি মিলে
অকপটে,–শ্রীগুরু-বৈষ্ণব-সেবা কৈলে—শ্রীগুরুচরণে রতি মিলে
অকপটে,–গৌর-গোবিন্দ-সেবার ফলে—শ্রীগুরুচরণে রতি মিলে

[মাতন]
আচরণ করে শিখাইলা

বড়,–ভাগ্যবতী দাসী-শ্রীললিতা—আচরণ করে শিখাইলা
শ্রীগুরুচরণে রতি উত্তমাগতি—আচরণ করে শিখাইলা

নৈলে,–কেবা জানত রে

শ্রীগুরু-সেবার ক্রম—নৈলে,–কেবা জানত রে

সে কেন,–গৌর-গোবিন্দ-সেবা করে

গুরুপদ-সেবা সার যার—সে কেন,–গৌর-গোবিন্দ-সেবা করে

তাঁর,–যাতে সুখ হয় সেবক তাই ত’ করে

শ্রীগুরু—মুখপানে চেয়ে থাকে—তাঁর,–যাতে সুখ হয় সেবক তাই ত’ করে

‘‘শিখাইলা আচরি’ আপনে।।’’

শ্রীগুরু-স্বরূপ-খানি

আমার,–গৌর-গোবিন্দ-বিহার-ভূমি—শ্রীগুরু-স্বরূপ-খানি

‘‘জনমি’ উত্তমকুলে, কৌলিন্য পাণ্ডিত্য ভুলে,
সুদুস্ত্যজ ধন-জন-মান।
তেয়াগিয়া মন-সাধে, শ্রীরাধারমণ-পদে,
বিকাইলা হইয়া অকিঞ্চন।।’’

শ্রীগুরু-ভজন-বলে অবাধে

তেয়াগিয়া মন-সাধে, শ্রীরাধারমণ-পদে,
বিকাইলা হইয়া অকিঞ্চন।।’’

ঝাঁপ দিতে কি পারাযায়

সর্ব্বস্ব ত্যাগ না হইলে—ঝাঁপ দিতে কি পারাযায়

‘‘প্রাণ শ্রীরাধারমণ, জানি’ কৃপা-যোগ্য-জন,
পূর্ণ-কৃপাশক্তি সঞ্চারিলা।’’

জগজ্জীবে দেখাইতে

সেবা-নিষ্ঠা কারে বলে—জগজ্জীবে দেখাইতে

সুযোগ্য আধার জেনে
কৃপা-গ্রহণের আধার জেনে

‘‘পূর্ণ-কৃপাশক্তি সঞ্চারিলা।
অপার কৃপার দান,’’

আমরি,–ধারণা ত’ করা যায় না

প্রাকৃত-মন-বুদ্ধিতে যা—ধারণা ত’ করা যায় না
শ্রীগুরুদেবের অপার করুণা—ধারণা ত’ করা যায় না
যাঁর—সৃষ্টি-বিপরীত-ক্রিয়া—ধারণা ত’ করা যায় না

‘‘অপার কৃপার দান, পুরুষ-দেহ অভিমান,’’

যে অভিমানে জগত মত্ত
যে অভিমানে,–জগত বাঁদা পড়ে আছে
যা ব্রহ্মার সৃষ্টি এই,–পুরুষ-দেহ-অভিমান

‘‘অপার কৃপার দান, পুরুষ-দেহ-অভিমান
তাহা,–ভুলাইয়া কৈলা ব্রজবালা।।

তারই ত’ অনুভব আছে

যে তার সঙ্গ করেছে—তারই ত’ অনুভব আছে

এ ত,–সাধনের ফল নয়
ভাই সাধনের ত’ ক্রম আছে

কয়-জনার বা ভাগ্যে ঘটে—সাধনের ত’ ক্রম আছে

এ যে সৃষ্টি-ছাড়া-কথা

পুরুষ-অভিমান ভুলে দাসী-অভিমান—এ যে সৃষ্টি-ছাড়া-কথা

তাহা,–‘‘ভুলাইয়া কৈলা ব্রজবালা।।


নীলাচলে লীলাকালে,’’

শ্রীগুরু শ্রীরাধারমণ

‘‘নীলাচলে লীলাকালে, শ্রীরাধারমণ-কুঞ্জে মিলে,
জয়গোপালে গোপীভাব দিলা।’’

সে’ ত বটে সংসারের নাম
যার,–জয়গোপাল নাম ছিলা

তারে—ললিতাদাসী-স্বভাব দিলা—যার,–জয়গোপাল নাম ছিলা

[মাতন]

‘‘জয়গোপালে গোপীভাব দিলা।


সখী-সাজে সাজাইয়া,’’

এ ত’ শুধু সাজা নয়

সাজ ত’ অনেকেই সাজে—এ ত’ শুধু সাজা নয়

স্বভাব জাগায়ে দিলা

বাইরে কেবল সাজ-সাজা নয়—স্বভাব জাগায়ে দিলা

এই অভিমানে দিলা

লীলা-অভিনয়-ছলে—এই অভিমান দিলা
সেই স্মৃতি ঘুচাইয়া—এই অভিমান দিলা
আমি ত’ হই রাধাদাসী—এই অভিমান দিলা

‘‘সখী-সাজে সাজাইয়া, স্বরূপ স্বভাব জাগাইয়া,’’

একেই ত’ বলে সাজান

ভিতরে বাহিরে স্বরূপ জাগান—একেই ত’ বলে সাজান

বালাই লয়ে মরে যাই

জয়গোপালে গোপীভাব দিলা—বালাই লয়ে মরে যাই

বেশের,–সঙ্গে সঙ্গে স্বভাব জাগিল

রাধাদাসী-অভিমান পেল—বেশের,–সঙ্গে সঙ্গে স্বভাব জাগিল

‘‘সখী-সাজে সাজাইয়া, স্বরূপ স্বভাব জাগাইয়া,
শ্রীললিতাদাসী প্রকটীলা।।
ভাব-গদগদ-স্বরে, ধরি তার দুটী-করে,’’

পরমকরুণ-শ্রীগুরু শ্রীরাধারমণ

‘‘ভাব-গদগদ-স্বরে, ধরি তারে দুটী-করে,’’
গুরুদেব,– ‘‘আদেশিলা মধুর-বচনে।
শ্রী,–রাধারাণীর কৃপাধনে, সমর্পিনু সাবধানে,
কায়মনে রেখ সযতনে।।’’

কখনও যেন চিন্তায় আসে না

পুরুষ-অভিমানের কথা—কখনও যেন চিন্তায় আসে না
কায়মনোবাক্যে—কখনও যেন চিন্তায় আসে না

তোমায় সমর্পণ কৈনু

রাধারাণীর কৃপাধন—তোমায় সমর্পণ কৈনু
এই,–রাধাদাসী-অভিমান—তোমায় সমর্পণ কৈনু

‘‘কায়মনে রেখ সযতনে।।
পাইবে আনন্দধন, সে-আদেশ আজীবন,
অনুক্ষণ অকপটে পালি’।
গোপীভাব-যাজন, রাগানুগা-ভজন,
জানাইলা শ্রীললিতা-আলি।।
গুরু-কৃপা অনুক্ষণ, রাধাদাস্যে মগ্ন-মন,
আত্ম-সুখ-ইচ্ছা পরিহরি’।
নিষ্কাম-গোপীভাবে, দাসী-ভাবে সদা সেবে,
সর্ব্বজীবে গুরুজ্ঞান করি’।।’’

করজোড়ে প্রার্থনা করে
তারে,–প্রণতি করি’ প্রার্থন করে

সম্মুখেতে যারে হেরে—তারে,–প্রণতি করি’ প্রার্থনা করে

এই কৃপা কর সবে

গৌর-পদাঙ্কিত-ভূমি-নিবাসী—এই কৃপা কর সবে
যেন,–আজ্ঞা-পালন করিতে পারি
অকপটে শ্রীগুরুদেবের—যেন,–আজ্ঞা-পালন করিতে পারি

‘‘সর্ব্বজীবে গুরুজ্ঞান করি’।।
বৈষ্ণব কৃষ্ণ অভিন্ন, অবিচল নিষ্ঠা ধন্য,
গুরুকৃপায়,–‘‘বেশোচিত স্বভাব উদার।
স্বপনেও নাহি আন, আপনাকে—গোয়ালিনী অভিমান,
তদবস্থা তদ্‌গত হৃদয়।।’’

শুধু কি—গোসালিনী অভিমান,

তদবস্থা তদ্‌গত হৃদয়।’’

শুধু কি,–মুখের কথায় ভাব মিলে

কায়মনোবাক্যে না ভজিলে—শুধু কি,–মুখের কথায় ভাব মিলে

এ-ত,–বলে বুঝাবার কথা নয়
এ-ত,–বলে বুঝান যায় না

যে,–সঙ্গ করেছে তার অনুভব আছে—এ-ত,–বলে বুঝান যায় না
যার,–অনুভব হয়েছে সে বুঝেছে—এ-ত,–বলে বুঝান যায় না

‘‘তদবস্থা তদ্‌গত হৃদয়।
সম্মুখে যাহারে হেরে, তাহারই চরণে পড়ে
করযোড়ে কৃপাকণা যাচে।’’

যেন রক্ষা করিতে পারি

শ্রীগুরু,–কৃপাদত্ত-স্বভাব-ধন—যেন রক্ষা করিতে পারি
‘শ্রীগুরু,–কৃপাদত্ত-স্বভাব-ধন’—
শ্রী,–রাধাদাসী এই অভিমান—শ্রীগুরু,–কৃপাদত্ত-স্বভাব-ধন

যেন রক্ষা করিতে পারি

‘‘করযোড়ে কৃপাকণা যাচে।
লঘু গুরু নাহি জানে, সবাকারে পূজ্যমানে,
যোগ্যাযোগ্য-জন নাহি বাছে।।’’

কেমন করে বিচার করবে বল

যোগ্য কি অযোগ্য—কেমন করে বিচার করবে বল
যার,–কৃপাবলে স্বভাব জেগেছে—কেমন করে বিচার কর্‌বে বল

সবাকারেই যোগ্য মানিছে

নিজে অযোগ্য মনে জানিছে—সবাকারেই যোগ্য মানিছে

‘‘যোগ্যাযোগ্য-জন নাহি বাছে।।’’

শ্রীগুরু-কৃপা-লাভের এই ত’ দশা
সকলেই যোগ্য মানে

আপনারে অযোগ্য মানে—সকলেই যোগ্য মানে

তাই,–‘‘যোগ্যাযোগ্য-জন নাহি বাছে।।
ধনী গুরু-কৃপাধনে, শ্রীবিগ্রহ নিত্যজ্ঞানে,
অষ্টকালে অপূর্ব্ব সেবন।’’

কেউ ত’ প্রকাশক নয়

শ্রীবিগ্রহের—কেউ ত’ প্রকাশক নয়
স্বপ্রকাশ স্বরূপ বটে—কেউ ত’ প্রকাশক নয়

‘‘ধনী গুরু-কৃপা-ধনে, তাই,–শ্রীবিগ্রহে নিত্যজ্ঞানে,
অষ্টকালে অপূর্ব্ব সেবন।’’

স্বভাব দিয়েছেন শ্রীগুরুদেব

শ্রীবিগ্রহরূপে,–নিত্য-লীলায় সেবা করিতে—স্বভাব দিয়েছেন শ্রীগুরুদেব
তাই জেনে,–‘‘অষ্টকালে অপূর্ব্ব সেবন।
রসরাজ রসবতী,

প্রাণ রাধা রাধারমণ

‘‘রসরাজ রসবতী, যুগল-পিরীতি-রীতি,
রতিরস-বিলাসে মগন।।’’

নিশিদিশি মগ্ন থাকেন

শ্রীগুরুদেবের আনুগত্যে—নিশিদিশি মগ্ন থাকেন
যুগল-পিরীতি-রসে—নিশিদিশি মগ্ন থাকেন

‘‘রতিরস-বিলাসে মগন।।
প্রাণেশ্বর প্রাণেশ্বরী, প্যারো প্যারী মেরি,’’

মধুর-স্বরে আহ্বন করে

‘‘প্রাণেশ্বর প্রাণেশ্বরী, প্যারো প্যারী মেরি,
কিশোর কিশোরী মন-ধন।
সেবনে জীবন ধন্য, স্বপনে নাহিক অন্য,
প্রাণ রাধা শ্রীরাধারমণ।।’’

কখনও কাণে শুনে না

নিজ-জনে মানা করেছে—কখনও কাণে শুনে না

কখনও ত’ বলেবে না

নিজ-জনে মানা করেছে—কখনও কাণে শুনে না
কখনও ত’ বলবে না
নিজ-স্বভাবেতে বাদা পড়েছে—কখনও ত’ বলবে না
পুরুষ-অভিমানের কথা—কখনও ত’ বলবে না

‘‘সেবনে জীবন ধন্য, স্বপনে নাহিক অন্য,
বিনা,–প্রাণ রাধা শ্রীরাধারমণ।।’’

তাদের,–লীলানুশীলনেই সদাই মগ্ন

‘‘জলকেলি ঝুলন-লীলা,’’

নিত্য আর নৈমিত্তিক লীলা

‘‘জলকেলি ঝুলন-লীলা,’’ মহারাস রসমেলা,
হোলি-খেলা অতুল ভুবনে।’’

যা দেখেছে তার অনুভব আছে

সেই-দেশে চলে গেছে—যা দেখেছে তার অনুভব আছে

‘‘নৃত্যরঙ্গ-মাধুরীতে, স্বরূপ বেকত তাতে,
লীলা প্রকট হয় সঙ্কীর্ত্তনে।।’’

দেখলে কেউ,–আন মনে করিতে পারত না

বরজ-গোপীকা বিনা—দেখলে কেউ,–আন মনে করিতে পারত না
নৃত্যরঙ্গ-মাধুরী দেখে—দেখলে কেউ,–আন মনে করিতে পারত না

কত’—অনুভবী-জনে মনে করিত

শ্রীগুরু-কৃপা-বলে বলী—কত’—অনুভবী-জনে মনে করিত

এবার,–তারাই বুঝি ফিরে এল

দেখি’ সে-ভাবাবেশে মধুর-নটন—এবার,–তারাই বুঝি ফিরে এল

যাতে,–‘‘লীলা প্রকট হয় সঙ্কীর্ত্তনে।।
রাসবিলাসের পরিণতি, রাই কানু একাকৃতি,
মোহন-মূরতি চিতচোরা।
রসরাজ মহাভাব, দুয়ে এক অভিনব,
নিতাই-গৌরাঙ্গ-রূপে ভোরা।।’’

ঐ মূরতি দেখেই ভোগ করে

এই,–নিতাই-গৌরাঙ্গ-স্বরূপ—ঐ মূরতি দেখেই ভোগ করে

‘‘নিতাই রাধা, গৌর শ্যাম, সাজাইয়া প্রাণারাম,
শোভা হেরি’ হিয়া গরগর ।’’

শ্রীবিগ্রহেতে ভোগ করিত
বিগ্রহ দেখে ভোগ করিত

নিতাই-গৌরাঙ্গ-যুগল—বিগ্রহ দেখে ভোগ করিত
নাগরী-নাগর সাজাইয়ে—বিগ্রহ দেখে ভোগ করিত

প্রাণে প্রাণে ভোগ করিত

অনুরূপ-সাজে সাজাইয়ে—প্রাণে প্রাণে ভোগ করিত

‘‘শোভা হেরি’ হিয়া গরগর।’’
বলে—আমরি মরি কি মাধুরী

প্রাণেশ্বরী প্রাণেশ্বর হেরি’—বলে,–আমরি মরি কি মাধুরী

আনন্দ আর ধরে না

বিবর্ত্ত-বিলাস-রঙ্গ দেখে—আনন্দ আর ধরে না

‘‘শোভা হেরি’ হিয়া গরগর।
প্রেম রস মূরতি দুটী, প্রেমসেবা পরিপাটী,
অভিনব নাগরী নাগর।।
নিতাই গৌর রাধে শ্যাম, হরে কৃষ্ণ হরে রাম,
যেন,–নামমালা প্রকট প্রকাশ।
নিতি নিতি নব নব, সেবা সঙ্কীর্ত্তনোৎসব,
অতুলন সেবন-পিয়াস।।’’

নিতি নিতি,–নব নব সাধ উঠিত

প্রাণ-যুগল-সেবার লাগি’—নিতি নিতি,–নব নব সাধ উঠিত

‘‘অতুলন সেবন-পিয়াস।।
এই,–মধুর-নবদ্বীপ-ধামে,’’

এ যে,–নিভৃত-কুঞ্জের নিভৃত-কুঞ্জ
যেখানে,–গৌর-স্বরূপ বনে ছিল

মহারাস-বিলাসের পরিণতিতে—যেখানে,–গৌর-স্বরূপ বনে ছিল
আমি তুমি ভুলে গিয়ে—যেখানে,–গৌর-স্বরূপ বনে ছিল

‘‘মধুর-নবদ্বীপে-ধামে, ‘রাধারমণ-বাগ’ নামে,
শ্রীগুরু-আশ্রয়ে নিত্যস্থিতি।’’

শ্রীগুরু-কৃপা ধরি’ হৃদি

আশ্রমেতে সদাই স্থিতি—শ্রীগুরু-কৃপা ধরি’ হৃদি

তাই,–‘‘ত্যাজিয়া আশ্রম-চত্বরে, নাহি গতি স্থানান্তরে,
অলঙ্ঘ্য-নিয়ম-নিষ্ঠাবতী।।’’

তাঁর,–এই মনে সঙ্কল্প ছিল
একপদও যায় নাই কোথায়
কখনও বাহিরে যেত না

শ্রীবিগ্রহের আনুগত্য বিনা—কখনও বাহিরে যেত না
শ্রীগুরুধাম তেয়াগিয়ে—কখনও বাহিরে যেত না

যাই রে নিষ্ঠার বলাই যাই

‘‘অলঙ্ঘ্য-নিয়ম-নিষ্ঠাবতী।।
সমাগত সর্ব্বজনে, সুমধুর আপ্যায়নে,’’

আপন পর জ্ঞান ছিল না

‘‘সমাগত সর্ব্বজনে, সুমধুর আপ্যায়নে,
স্নেহডোরে বাঁধি’ চিরতরে।’’

অনেকেই বাঁধা পড়েছিল

এই সুমধুর-আপ্যায়নে—অনেকেই বাঁধা পড়েছিল

সে কখনও ভুলতে পারে নাই

যারে ডেকে সম্বন্ধ করেছে—সে কখনও ভুলতে পারে নাই

‘‘স্নেহডোরে বাঁধি’ চিরতরে।
দুর্ল্লভ গুরুভক্তিধন, গৌর-গোবিন্দ ভজন,
স্বশকতি সবারে সঞ্চারে।।’’

যেন অনুগত হয় রে

আমি তোমার হলাম বলে—যেন অনুগত হয় রে

ভাগ্যবান্ তার আধারে ধরে

অন্য-জন বিচার করে মনে—ভাগ্যবান তার আধারে ধরে

‘‘স্বশকতি সবারে সঞ্চারে।।
সর্ব্বশাস্ত্র তুণ্ডে স্ফুরে,’’

এ ত’ নহে পাণ্ডিত্যের বল

এ যে শ্রীগুরুকৃপা কেবল—এ ত’ নহে পাণ্ডিত্যের বল

কি বলব তার গুণের কথা
তার,–ভাব-রাজ্যের কি অনুভব আছে

‘‘সর্ব্বশাস্ত্র তুণ্ডে স্ফুরে, সুসিদ্ধান্ত-সুধাধারে,
সবাকার সংশয় নাশয়।’’

এ ত’ নয় পাণ্ডিত্যের বল

কেবল,–গুরুনিষ্ঠ-কৃপার ফল—এ ত’ নয় পাণ্ডিত্যের বল

‘‘সবাকার সংশয় নাশয়।
পরম-পাণ্ডিত্য-প্রভা’’

সে জানে না প্রকাশ হয়েছে

ভক্তিরাজ্যের এই ত’ স্বভাব—সে জানে না প্রকাশ হয়েছে

সে,–মনে প্রাণে এই ত’ জানে

যে লাভ করে গুরু-কৃপাধনে—সে,–মনে প্রাণে এই ত’ জানে

‘‘পরম-পাণ্ডিত্য-প্রভা, সর্ব্বতোমুখী প্রতিভা,
সঙ্গ-গুণে অজ্ঞ বিজ্ঞ হয়।।’’

তারই ত’ অনুভব আছে

যে অকপটে সঙ্গ করেছে—তারই ত’ অনুভব আছে

‘‘সঙ্গ-গুণে অজ্ঞ বিজ্ঞ হয়।।’’

কি বলব সে স্বভাবের কথা
প্রাণ যে কেঁদে উঠছে

‘‘পতিত দুঃখিত দেখি, ছল ছল করে আঁখি,
বলে,–জয়গুরু শ্রীগুরু রসনায়।’’

প্রাণে প্রাণে প্রার্থনা করে

আনন্দময়-শ্রীগুরুচরণে—প্রাণে প্রাণে প্রার্থনা করে

ওগো শ্রীগুরু দয়াময়
যোগ্যতা দাও ইহায়

নিজগুণে,–অযোগ্যতা ঘুচাইয়ে—যোগ্যতা দাও ইহায়

তাই বলে,–‘‘জয়গুরু শ্রীগুরু রসনায়।
কত কলিহত জন, হইল ভক্ত মহাজন,
কটাক্ষ-ঈক্ষণ-করুণায়।।


জীবের বৈমুখ্য বাধা, ঘুচাইতে ‘চরিত-সুধা,’
বিতরিলা জীবের কল্যাণে।’’

‘চরিত-সুধা’ বর্ণন কৈলা

সুসিদ্ধান্ত জানাইতে—‘চরিত-সুধা’ বর্ণন কৈলা
সকল সন্দেহ ঘুচাইতে—‘চরিত-সুধা’ বর্ণন কৈলা

‘চরিত-সুধা’ প্রকাশ কৈলা

শ্রীগুরুদেবের কৃপা-প্রেরণায়—‘চরিত-সুধা’ প্রকাশ কৈলা

তারই ত’ অনুভব আছে

যে,–আনুগত্য লয়ে পাঠ করেছে—তারই ত’ অনুভব আছে

এখনও শুনতে পাই কাণে

যারা,–‘চরিত-সুধা’ অনুশীলন করে—তাদের কাছে,–

এখনও শুনতে পাই কাণে
এমন,–অপূর্ব্ব-সিদ্ধান্ত দেখি নাই
সকল সংশয় দূরে যায়

‘চরিত-সুধা’ পাঠ করিলে—সকল সংশয় দূরে যায়

তাই,–‘‘বিতরিলা জীবের কল্যাণে।
‘সঙ্গীত-মাধব’ টিপ্পনী, ‘সুরত-কথামৃত’ খনি,

যা,–সুরসিক-জানে আলাপন করে

সেই,–‘‘সঙ্গীত-মাধব টিপ্পনী’ ‘সুরত-কথামৃত’ খনি
অতুলন দান জগজনে।।’’

যে,–রসিক-জন সেই ত’ জানে

আনে বা বল জানবে কেমনে—যে,–রসিক-জন সেই ত’ জানে

‘‘অতুলন দান জগজনে।।
‘‘পদামৃত’ ‘স্তবাবলী’, ‘অষ্টক’ যুগল-কেলি,
লীলারস-বিলাস বর্ণন।
অবিচারে অভাজনে, ধন্য কৈলা কৃপাগুণে,
দীনে দিলা অমূল্য রতন।।’’

আমাদের অনুভব হল না

সম্বন্ধের পরিচয় দেই বটে—আমাদের অনুভব হল না
অপূর্ব্ব কৃপার দান—আমাদের অনুভব হল না

যে যোগ্য সেই জেনেছে

সেই অপূর্ব্ব-দানের কথা—যে যোগ্য সেই জেনেছে
সে,–প্রাণে প্রাণে লুকায়ে রেখেছে—যে যোগ্য সেই জেনেছে

‘‘দীনে দিলা অমূল্য রতন।।
যুগল-পিরীতি-ঘন, নিকঞ্জে নিতি ভিয়ান,
পরিবেশন নদীয়া-নগরে।
রাধারমণ-মহোৎসবে, সবে সে প্রসাদ-সেবে,
শ্রীললিতা সগণে বিতরে।।’’

সেই আশ্চর্য্য মেনেছে

প্রসাদ বিতরণ যে দেখেছে—সেই আশ্চর্য্য মেনেছে

প্রাণে প্রাণে অনুভব করেছে

বিতরণের চতুরতা—প্রাণে প্রাণে অনুভব করেছে

প্রাণে প্রাণে অনুভব করেছে

যে অনুভবী-জন তার—প্রাণে প্রাণে অনুভব করেছে

নিজ-শক্তি সঞ্চার করে

মহাপ্রসাদ-পরিবেশন-ছলে—নিজ-শক্তি সঞ্চার করে

‘‘শ্রীললিতা সগণে বিতরে।।
ভাবাবেশে একদিনে, কৃষ্ণকথা আলাপনে,
কৃষ্ণ প্রকাশ প্রত্যক্ষ দেখায়।
আসন ছিল সম্মুখে, বিস্বয়ে সকলে দেখে,
যুগল-পদচিহ্ন-পড়ে তায়।।’’

যুগলের পদ-চিহ্ন পেড়েছে

যুগল রহস্য বলতে বলতে—যুগলের পদ-চিহ্ন পড়েছে

ভাগ্যে দর্শন ঘটেছে

যুগল-পদ-চিহ্নময়-ভাগ্যে দর্শন ঘটেছে

‘‘যুগল-পদ-চিহ্ন পড়ে তায়।’’

আর কিবা বলব ভাই

তার কৃপার চরিত্রের কথা—আর কিবা বলব ভাই
কিবা বলিব কিবা জানি
শ্রীললিতা-দাসীর গুণের কথা—কিবা বলিব কিবা জানি

‘‘গুরুনিষ্ঠা কৃষ্ণে রতি, বৈষ্ণব-সেবনে প্রীতি,
নাম-মহাপ্রসাদে বিশ্বাস।’’

শুধু,–শ্রীগুরু-কৃপা বলে নয়

এ যে,–অকপটে সেবার ফল হয়—শুধু,–শ্রীগুরু-কৃপা বলে নয়

‘‘নাম-মহাপ্রসাদে বিশ্বাস।
জগজীবে উদ্ধারিতে, মূর্ত্তিমতী অবনীতে,
শ্রীললিতারূপে পরকাশ।।’’

বলে বুঝাবার কথা নয়
সেই ত’ জানে প্রাণে প্রাণে

যে অকপটে সঙ্গ করেছে—সেই ত’ জানে প্রাণে প্রাণে

আমার ভাগ্যে মিলিল না

সেই,–সেবার স্বরূপ চলে গেল—আমার ভাগ্যে মিলিল না
অপূর্ব্ব কৃপার দান—আমার ভাগ্যে মিলিব না

যে ভাগ্যবান তার ভাগ্যে মিলিল

অনেকেই বঞ্চিত হল—যে ভাগ্যবান তার ভাগ্যে মিলিল

আনের কথা কিবা বলব
আমারই ত’ বঞ্চিত হলাম

মনে সদা বিচার কৈলাম—আমরাই ত’ বঞ্চিত হলাম

‘‘শ্রীললিতারূপে পরকাশ।।
গোবিন্দ-কৃপারখনি, নবদ্বীপ-আশ্রয়িণী,
চৈতন্য-সেবন-ধেন-ধনী।’’

এই তিন ধনে ধনী ছিল
শ্রীমুখে বলেছেন শুনেছি
ললিতা-দাসীর এই ধন মিলেছে

চৈতন্য অকপটে-সেবার ফলে—ললিতা-দাসীর এই ধন মিলেছে

‘‘কুসুম রসরঙ্গিনী, কিশোরী প্যারী সঙ্গিনী,
রাধারমণ-সেবন-জীবনী।।
রাধারমণ বিনোদিনী, সর্ব্বগুণ-স্বরূপিণী,
কি জানি গুণ কত বা বাখানি।
না কি জানি কি ভাগ্যগুণে, পেয়েছিনু তোমা-ধনে,
গুণ-স্মরি’ বিদরে পরাণী।।
দয়ালের শিরোমণি, শ্রীরাধারমণ দানী,
দিয়াছিলেন ললিতা-রতন।
তেরশ তিপ্পান্ন-সনে, কেশব-পঞ্চম-দিনে,
হরিলেন হইয়া অকরুণ।।’’

গুণনিধি শ্রীরাধারমণ

অহৈতুকী-কৃপার ধন—গুণনিধি শ্রীরাধারমণ

অহৈতুকী-কৃপার বশে দিয়েছিলেন

আমাদের দোষে কেড়ে নিলেন—অহৈতুকী-কৃপার বশে দিয়েছিলেন

জানলাম না বুঝলাম না

অকপটে সেবা করলাম না—জানলাম না বুঝলাম না
তাই,–‘‘হরিলেন হইয়া অকরুণ।।’’

এ ত’ অকরুণ নয় ভাই রে
ললিতাদাসীকে গোপন করেছে

সে,–সেবা ছেড়ে কোথায় গেছে—ললিতাদাসীকে গোপন করেছে

কোথাও ত’ যায় নাই
কেমন করে যাবে বল

যুগল-সেবা বিগ্রহ ছেড়ে—কেমন করে যাবে বল

লুকাইয়ে রেখেছে

আমাদের আর্ত্তি বাঢ়াবার লাগি’—লুকাইয়ে রেখেছে

‘‘সর্ব্বসিদ্ধ ত্রয়োদশী, অন্তে আসি চতুর্দ্দশী,
নিশি ষষ্ঠ-দণ্ড সুসময়।
কৃষ্ণপক্ষ গুরুবারে, কৃষ্ণপক্ষে অভিসারে,
সুগলন মিথুন উদয়।।
বরজ-প্রেমিক-মিথুনে, মিলাইবেন সঙ্গোপনে,
অনঙ্গানন্দদা-কু্ঞ্জে তায়।
শ্রীগুরু মঞ্জরী অনঙ্গ, যূথেশ্বরী-ললিতা-সঙ্গ,
শ্রীললিতাদাসীর বিজয়।।’’

কুঞ্জসেবায় প্রবেশিলা

এই সুমঙ্গল-দিনে—কুঞ্জসেবায় প্রবেশিলা

তাই,–গুরুবারে লুকাইলা

শ্রীগুরুপদে একান্ত আশ্রয়—তাই,–গুরুবারে লুকাইলা

এই সুসময়ে সুলগনে

করিলেন আত্ম গোপনে—এই সুসময়ে সুলগনে
কেউ ত’ কোথায় যায় নাই

যেতে ত’ পারে না

যদি শ্রীবিগ্রহ নিত্য হয়—যেতে ত’ পারে না

কোথাও ত’ যায় নাই
অদ্যাপিও ভোগ করিছে

যুগল-সেবা-রহস্য—অদ্যাপিও ভোগ করিছে
অনঙ্গানন্দদা-কুঞ্জে—অদ্যাপিতও ভোগ করিছে
রতি-মঞ্জরীর আনুগত্যে—অদ্যাপিও ভোগ করিছে

সেই ত’ অনুভব করিছে

যে অনুগত হয়েছে—সেই ত’ অনুভব করিছে

প্রাণভরে জয় দাও
জয় সখী শ্রীললিতা

শ্রীগুরুচরণাশ্রিতা—জয় সখী শ্রীললিতা

[মাতন]
এই কৃপা কর গো
যেন,–কণ্ঠহার করতে পারি

শ্রীগুরু-কৃপাদত্ত-নামমালা—যেন,–কণ্ঠহার করতে পারি

যেন,–প্রাণভরে গাইতে পারি

শ্রীগুরু-কৃপাদত্ত-নামাবলী—যেন,–প্রাণভরে গাইতে পারি

‘‘ভজ নিতাই গৌর রাধে শ্যাম।
জপ হরে কৃষ্ণ হরে রাম।।’’
নিতাই-গৌর-হরিবোল, হরিবোল, হরিবোল, হরিবোল।।


প্রেমসে কহো শ্রীরাধে শ্রীকৃষ্ণ বলিয়ে—প্রভুনিতাই-শ্রীচৈতন্য-শ্রীঅদ্বৈত-শ্রীরাধারাণী কী জয়!
প্রেমদাতা-পরমদয়াল-পতিতপাবন-শ্রীনিতাইচাঁদ কী জয় !
করুণাসিন্ধু-গৌরভক্তবৃন্দ কী জয় !
শ্রীশ্রীনাম সংকীর্ত্তন কী জয় !
শ্রীখোল-করতাল কী জয় !
শ্রীনবদ্বীপ ধাম কী জয় !
শ্রীনীলাচল ধাম কী জয় !
শ্রীবৃন্দাবন ধাম কী জয় !
চারিধাম কী জয় !
চারি সম্প্রদায় কী জয় !
অনন্ত কোটী বৈষ্ণব কী জয় !
আপন আপন শ্রীগুরুদেব কী জয় !
প্রেমদাতা-পরমদয়াল-পতিতপাবন-শিশুপশু-পালক-বালক-জীবন শ্রীমদ্‌ রাধারমণ কী জয় !

‘‘শ্রীগুররু-প্রেমানন্দে নিতাই-গৌর-হরিবোল।।’’


—–০—–



অভিসার আক্ষেপানুরাগ কুঞ্জভঙ্গ খণ্ডিতা গীতগোবিন্দ গোষ্ঠলীলা দানলীলা দূতী ধেনুবৎস শিশুহরণ নৌকাখন্ড পূর্বরাগ বংশীখণ্ড বিপরীত বিলাস বিরহ বৃন্দাবনখন্ড ব্রজবুলি বড়াই বড়াই-বচন--শ্রীরাধার প্রতি মাথুর মাধবের প্রতি দূতী মান মানভঞ্জন মিলন রাধাকৃষ্ণসম্পর্ক হীন পরকীয়া প্রেমের পদ রাধা বিরহ রাধিকার মান লখিমাদেবি শিবসিংহ শ্রীকৃষ্ণকীর্তন শ্রীকৃষ্ণের উক্তি শ্রীকৃষ্ণের পূর্বরাগ শ্রীকৃষ্ণের মান শ্রীকৃষ্ণের স্বয়ংদৌত্য শ্রীগুরু-কৃপার দান শ্রীরাধা ও বড়াইয়ের উক্তি-প্রত্যুক্তি শ্রীরাধার উক্তি শ্রীরাধার প্রতি শ্রীরাধার প্রতি দূতী শ্রীরাধার রূপবর্ণনা শ্রীরাধিকার পূর্বরাগ শ্রীরাধিকার প্রেমোচ্ছ্বাস সখীতত্ত্ব সখীর উক্তি সামোদ-দামোদরঃ হর-গৌরী বিষয়ক পদ