শ্রীমন্মহাপ্রভুর শুভাগমন স্মরণ কীর্ত্তন

‘‘শ্রীগুরু-প্রেমানন্দে নিতাই-গৌর-হরিবোল।’’
‘‘ভজ নিতাই গৌর রাধে শ্যাম।
জপ হরে কৃষ্ণ হরে রাম।।’’
‘‘জয় জয় শ্রীগৌরসুন্দর সর্ব্বগুরু।’’

প্রাণেভরে জয় দাও ভাই

ভাইরে আমার,–সর্ব্বগুরু গৌরহরির—প্রাণভরে জয় দাও ভাই

[মাতন]

ভাইরে আমার,–জগদ্‌গুরু গৌরহরির—প্রাণভরে জয় দাও ভাই

[মাতন]

‘জগদ্‌গুরু গৌরহরি’—
নিত্যানন্দ-হৃদ্‌বিহারী—জগদ্‌গুরু গৌরহরি

প্রাণভরে জয় দাও ভাই

জয় হে ‘‘জয় জয় ভক্তজন-বাঞ্ছা-কল্পতরু।।’’

জয় জয়,–গৌরহরি জগদ্‌গুরু

ভক্তজন-বাঞ্ছা-কল্পতরু—জয় জয়,–গৌরহরি জগদ্‌গুরু

‘‘জয় জয় ন্যাসী মণি শ্রীবৈকুণ্ঠনাথ।
গৌর হে,–‘‘জীব প্রতি কর প্রভু শুভ দৃষ্টিপাত।।’’

একবার,–চাও হে নয়ন-কোণে

আমার,–প্রেমাবতার গৌরহরি—একবার,–চাও হে নয়ন-কোণে
এই,–অশান্ত-জগৎ-পানে—একবার,–চাও হে নয়ন-কোণে
তোমার এই,–ত্রিতাপে দগ্ধ জগৎ-পানে—একবার,–চাও হে নয়ন-কোণ

ত্রিতাপানলে জগৎ জ্বলে

কাল-কলির পীড়ন-ফলে—ত্রিতাপানলে জগৎ জ্বলে

বিশ্বম্ভর রাখ জগতেরে

চাহি কৃপা নয়ন-কোণে—বিশ্বম্ভর রাখ জগতেরে

‘‘ভক্তগোষ্ঠী সহিতে গৌরাঙ্গ জয় জয়।
জয় জয় শ্রীকরুণাসিন্ধু দয়াময়।।
শেষ খণ্ড কথা ভাই শুন একমনে।
শ্রীগৌরসুন্দর বিহরিলেন যেমনে।।’’
‘‘ঠাকুরো থাকিয়া কথোদিন নীলাচলে।
পুনঃ গৌড়দেশে আইলেন কুতূহলে।।
গঙ্গাতীরে—তীরে প্রভু লইলেন পথ।
স্নান-পানে গঙ্গার পূরিল মনোরথ।।
গৌড়ের নিকটে রামকেলি গ্রামে গেলা।
নাটশালা হৈতে প্রভু পুনঃ ফিরি আইলা।।’’

প্রভু চলিলেন মথুরাতে

বাহির হয়ে নীলাচল হতে—প্রভু চলিলেন মথুরাতে
পানিহাটি রামকেলি হয়ে—প্রভু চলিলেন মথুরাতে

ফিরলেন কানাই নাটশালা হতে

বহু লোকসঙ্খট্ট ঙয়ে—ফিরলেন কানাই নাটশালা হতে

আইলেন পুনঃ রামকেলিতে

নীলাচল যাবার লাগি—আইলেন পুনঃ রামকেলিতে

ব্রজে যাবার আজ্ঞা দিলেন

শ্রীরূপ সনাতন দুইজনে—ব্রজে যাবার আজ্ঞা দিলেন
প্রকাশিতে লুপ্ত লীলাস্থানে—ব্রজে যাবার আজ্ঞা দিলেন
লুপ্ত-ব্রজ প্রকাশ-তরে—ব্রজে যাবার আজ্ঞা দিলেন

‘‘একদিন প্রভু নিজ প্রিয়গণ লৈয়া।
নাচে সঙ্কীর্ত্তনে মহাপ্রেমে মত্ত হৈয়া।।
নিরখিয়া শ্রীখেতরী গ্রাম দিশাপানে।
অদ্ভুত আনন্দধারা বহে দুনয়নে।।
নরোত্তম বলিয়া ডাকয়ে বারে বারে।
ভক্তবাৎসল্যেতে স্থির হৈতে না পারে।।’’
‘পদ্মার তীরে আসি কহে ধরে প্রেম লহ।
নরোত্তম নামে প্রেম তারে তুমি দিও।।’’


একদিন প্রাণ গৌরহরি নিজ নামানন্দে মেতে
সঙ্কীর্ত্তন-নৃত্যাবেশে—নিজ নামানন্দে মেতে

ডেকেছিলেন নরু নরু বলে

হেমদণ্ডবাহু তুলে—ডেকেছিলেন নরু নরু বলে
খেতরী গ্রামের পানে চেয়ে—ডেকেছিলেন নরু নরু বলে

রামকেলি হতে ফিরবার কালে

নরোত্তমে আকর্ষিয়ে—রামকেলি হতে ফিরবার কালে
ভাগীরথীর তীরে তীরে—রামকেলি হতে ফিরবার কালে

আসি প্রভু পদ্মাতীরে
রাখিলেন নিজ-প্রেম

ভাগ্যবতী পদ্মার কাছে—রাখিলেন নিজ-প্রেম

এই ধর লও পদ্মাবতী

তোমার,–দিলাম আমার প্রেম-সম্পত্তি—এই ধর লও পদ্মাবতী

রেখো,–অতি গোপনে যতন করে
আমার,–নরু জন্মিবে অবিলম্বে

তোমার তীরে খেতরী গ্রামে—আমার,–নরু জন্মিবে অবিলম্বে

আসিলে তোমা অবগাহনে

নরু তার মায়ের সনে—আসিলে তোমা অবগাহনে
তারে দিও এই প্রেমধনে—আসিলে তোমা অবগাহনে

প্রেম রাখি পদ্মাবতীর কাছে
পুনঃ আইলেন গঙ্গাতীরে

‘‘হেনমতে রহিয়া রহিয়া গঙ্গাতীরে।
কথোদিনে আইলেন অদ্বৈত-মন্দিরে।।’’

উপনীত শান্তিপুরে

গঙ্গাতীরে আসতে আসতে—উপনীত শান্তিপুরে
শ্রীসীতানাথের ঘরে—উপনীত শান্তিপুরে

শান্তিপুরে আইলা শচীনন্দন

সঙ্গে,–নিত্যানন্দ-আদি প্রিয়গণ—শান্তিপুরে আইলা শচীনন্দন

আনন্দে হইলেন মত্ত

নিজ,–নাথে পেয়ে শ্রীঅদ্বৈত—আনন্দে হইলেন মত্ত

হইল পরমানন্দ
আসি মিলিল যত ভকত

মধুলুব্ধ ভ্রমরের মত—আসি মিলিল যত ভকত
হেরিবারে প্রাণ শচীসুত—আসি মিলিল যত ভকত

সবাই মিলিলেন আসি

চারিদিক হতে ভক্তগণ—সবাই মিলিলেন আসি
দেখিবারে প্রাণ গোরাশশী—সবাই মিলিলেন আসি

আইলেন সব নদীয়াবাসী

শচীমাতা সঙ্গে লয়ে—আইলেন সব নদীয়াবাসী
তাদের,–আঁখি চকোর আছে উপবাসী—আইলেন সব নদীয়াবাসী

হইল মহা সম্মিলন

প্রভু-সনে ভক্তগণের—হইল মহা সম্মিলন

সবাই হইলা উনমত

দেখি প্রাণশচীসুত—সবাই হইলা উনমত

দশদিন রহিলেন শান্তিপুরে

প্রভু শ্রীসীতানাথের প্রীতে—দশদিন রহিলেন শান্তিপুরে
কীর্ত্তন-নটন-রঙ্গে—দশদিন রহিলেন শান্তিপুরে
সবারে ভাসালেন প্রেম-পাথারে—দশদিন রহিলেন শান্তিপুরে

শান্তিপুরে স্থিতিকালে
করিলেন মহামহোৎসব

মাধবপুরীর আরাধনা দিনে—করিলেন মহামহোৎসব
সাঙ্গোপাঙ্গে গৌরহরি—করিলেন মহামহোৎসব
‘সাঙ্গোপাঙ্গে গৌরহরি’—
নিত্যানন্দ সঙ্গে করি—সাঙ্গোপাঙ্গে গৌরহরি

করিলেন মহামহোৎসব
জানাইলেন অদ্বৈত-তত্ত্ব

মহা ঐশ্বর্য্যের বিকাশ দেখায়ে—জানাইলেন অদ্বৈত-তত্ত্ব

শান্তিপুর হতে বাহির হয়ে
চলে গোরা কুতূহলী

শ্রীঅদ্বৈত শিব বলি—চলে গোরা কুতূহলী

‘‘কতদিন থাকি প্রভু অদ্বৈতের ঘরে।
আইলা কুমারহট্ট শ্রীবাস-মন্দিরে।।’’

আইলেন প্রবু কুমারহট্টে

শান্তিপুর হতে বাহির হয়ে—আইলেন প্রভু কুমারহট্টে
শ্রীবাস-পণ্ডিতের ঘরে—আইলেন প্রভু কুমারহট্টে

পরীক্ষা করলেন তার

তার,–নিজ-নিষ্ঠা জানাবার তরে—পরীক্ষা করলেন তারে

শ্রীবাস পণ্ডিত জানাইলা

আপনার গৌরাঙ্গ-নিষ্ঠা—শ্রীবাস-পণ্ডিত জানাইলা
হাতে তিন তালি দিয়ে—শ্রীবাস-পণ্ডিত জানাইলা

করিব তিন উপবাস

যাব না কাহার পাশ—করিব তিন উপবাস

যদি,–তিন উপবাসে অন্ন নাহি মিলে
ঝাঁপ দিব গঙ্গাজলে
তখন,–আবেশে বলেন গৌরহরি
কি কথা বল শ্রীবাস

অন্নাভাবে হবে তোর উপবাস—কি কথা বললি শ্রীবাস

অভাব ঘটিবে না তোরে

যদি,–লক্ষ্মী কখনও ভিক্ষা করে—অভাব খটিবে না তোরে

[মাতন]
নিজ,–নিষ্টা জানালেন জগতেরে

শ্রীবাসের তাঁর প্রতি নিষ্ঠা—জানালেন জগতেরে

কুমারহট্টে এই খেলা খেলি
রসময় গোরা বনমালী
নিত্যানন্দাদি সঙ্গে করি

‘‘কতদিন থাকি প্রভু শ্রীবাসের ঘরে।
তবে গেলা পানিহাটি রাঘব-মন্দিরে।।’’

আইলেন প্রভু পানিহাটিতে

রাঘব-পণ্ডিতের ঘরে—আইলেন প্রভু পানিহাটিতে

[মাতন]

‘‘রাঘব-পণ্ডিত প্রতি শ্রীগৌরসুন্দর
নিভৃতে কহিলা কিছু রহস্য উত্তর।।’’

নিজ-গূঢ়-রহস্য প্রকাশিলেন

নিভৃতে রাঘব-পণ্ডিতের কাছে—নিজ-গূঢ়-রহস্য প্রকাশিলেন
রাঘবের,–নিতাইগত প্রাণ জেনে—নিজ-গূঢ়-রহস্য প্রকাশিলেন

‘‘রাঘব তোমারে আমি নিজ গোপ্য কই।’’

গোপনে রেখেছিলাম আপন প্রাণে

‘যা’,–প্রকাশ করি নাই কারো স্থানে—গোপনে রেখেছিলাম আপন প্রাণে

সে মরম,–কথা কই তোমার স্থানে

তোমার,–প্রীতি দেখি নিতাই-ধনে—সে মরম, কথা কই তোমার স্থানে
‘যা’,–কভু বলি নাই জানে না আনে—সে মরম,–কথা কই তোমার স্থানে

‘‘আমার দ্বিতীয় নাই নিত্যানন্দ বই।।’’

আমার,–দ্বিতীয় নাই নিতাই বই

রাঘব তোমায় নিজ-গোপ্য কই—আমার,–দ্বিতীয় নাই নিতাই বই

‘‘এই নিত্যানন্দ যেই করায়েন আমারে।
সেই করি আমি এই বলিল তোমারে।।’’


আমি,–নিতাই-চাঁদের খেলার পুতুল
যেমন নাচায় তেমনি নাচি—আমি,–নিতাই-চাঁদের খেলার পুতুল

‘‘আমার সকল কর্ম্ম নিত্যানন্দ-দ্বারে।
এই আমি অকপটে কহিল তোমারে।।’’

আমার,–সকল কর্ম্ম নিতাই হতে

এই,–সত্য কহিলাম তোমার নিভৃতে—আমার,–সকল কর্ম্ম নিতাই হতে

আর জগতে কেউ নাই

আমার,–কর্ম্ম করতে বিনে নিতাই—আর জগতে কেউ নাই

কেউ নাই আর ভুবনে

আমার,–কর্ম্ম করতে নিতাই বিনে—কেউ নাই আর ভুবনে

আমার কার্য্য যে কিছু করে

এই গূঢ় জেনো অন্তরে—আমার কার্য্য যে কিছু করে

সে,–নিশ্চয় নিতাই বুকে ধরে
সে আমার,–কার্য্য করে অবহেলে

নিতাই যার বুকে খেলে—সে আমার,–কার্য্য করে অবহেলে

আমার,–কাজ করবার যার আছে সাধ

সে,–বুকে ধরুক নিতাইচাঁদ—আমার,–কাজ করবার যায় আছে সাধ

সেই—আমার কার্য্য করতে পারে

জগদ্‌গুরু নিতাই যে হৃদে ধরে—সেই,–আমার কার্য্য করতে পারে

‘‘যেই আমি, সেই নিত্যানন্দ, ভেদ নাই।।’’

এই গৌরবাক্য করি স্মরণ
আবেশে বললেন ঠাকুর লোচন

প্রাণগৌরাঙ্গের এই মরম—আবেশে বললেন ঠাকুর লোচন

অভিন্ন চৈতন্য-তনু

আমার ঠাকুর অবধূত—অভিন্ন চৈতন্য-তনু

অভিন্ন চৈতন্য-তনু-নিতাই

ঠাকুর লোচন বললেন তাই—অভিন্ন চৈতন্য-তনু নিতাই

‘‘তোমার ঘরেই সব জানিবা এথাই।।’’
‘‘মহা যোগেন্দ্রেরও যাহা পাইতে দুর্ল্লভ।
নিত্যানন্দ হৈতে তাহা হইব সুলভ।।
এতেকে হইয়া তুমি মহা সাবধান।
নিত্যানন্দ সেবিহ যেহেন ভগবান।।’’

আমার পূজা করা হবে

আমার নিতাই ভজ তবে—আমার পূজা করা হবে [মাতন]

‘‘হেনমতে পানিহাটি গ্রাম ধন্য করি।
আছিলেন কথোদিন গৌরাঙ্গ শ্রীহরি।।
তবে প্রভু আইলেন বরাহনগরে।
মহা ভাগ্যবন্ত এক ব্রাহ্মণের ঘরে।।’’

প্রাণগৌর আইলা বরাহনগরে

পানিহাটি গ্রাম ধন্য করে—প্রাণগৌর আইলা বরাহনগরে
রঘুনাথ বিপ্রের ঘরে—প্রাণগৌর আইলা বরাহনগরে

[মাতন]

‘‘সেই বিপ্র বড় সুশিক্ষিত ভাগবতে।
প্রভু দেখি ভাগবত লাগিলা পড়িতে।।’’

পড়িতে লাগিলা শ্রীভাগবত

দেখি ভাগবত মূরতি শচীসুত—পড়িতে লাগিলা শ্রীভাগবত

ভাগবত স্ফুর্ত্তি পেল রঘুনাথের

ভাগবতের মূর্তি দেখে—ভাগবত স্ফুর্তি পেল রঘুনাথের

‘‘শুনিয়া তাহান ভক্তি যোগের পঠন।’’

তার ভাগ্যের সীমা নাই

যার মুখে,–ভাগবত শুনেন চৈতন্য গোসাঞি—তার ভাগ্যের সীমা নাই

‘‘আবিষ্ট হইলা গৌরচন্দ্র নারায়ণ।।’’

হৈলা ভাব উনমত

ভাবনিধি শচীসুত—হৈলা ভাব উনমত

আস্বাদিত এসেছে এবার

গোবিন্দ গৌরাঙ্গ হয়ে—আস্বাদিতে এসেছে এবার
নিজ-নাম-রূপ-গুণ-লীলা—আস্বাদিতে এসেছে এবার

আর তাই হলেন উনমত

ভক্তমুখে শুনি নিজ-কথামৃত—আজ তাই হলেন উনমত

‘‘বোল বোল বোলে প্রভু বৈকুণ্ঠের রায়।’’

গৌরমুখেও নয় বোল বোল

যেন,–প্রেমসিন্ধু হল উতরোল—গৌরমুখেও নয় বোল বোল

ভাবে মত্ত হৈল গোরা

শুনি,–নিজকথা পীযূষ ধার—

‘‘হুঙ্কার গর্জ্জন করেন সদায়।।
সেহো বিপ্র পড়ে পরানন্দে মগ্ন হৈয়া।’’

পরানন্দ-পাথারে দেয় সাঁতার

ভাগ্যবান বিপ্র আজ—পরানন্দ-পাথারে দেয় সাঁতার
যার কথা তারে শুনায়—পরানন্দ-পাথারে দেয় সাঁতার
তার সুখের ওর নাই আর—পরানন্দ-পাথারে দেয় সাঁতার

তার,–ভাগবত পাঠ আজ হল সার্থক

যা শুনতে—ভাগবত আসি হল মূর্ত্ত—তার,–ভাগবত পাঠ আজ হল সার্থক

‘‘প্রভুও করেন নৃত্য বাহ্য পাসরিয়া।।’’

নাচে গোরা ন্যাসিমমি

রঘুনাথের মুখে ভাগবত শুনি—নাচে গোপা ন্যাসিমণি

নাচে আনন্দে মাতিয়া

প্রভু আপনায় ভুলিয়া—নাচে আনন্দে মাতিয়া
আপনার কথা শুনিয়া—নাচে আনন্দে মাতিয়া

ভাবভরে নাচে শচীসুত

শুনি,–রঘুনাথ-মুখে ভাগবত—ভাবভরে নাচে শচীসুত

‘‘ভক্তির মহিমা শ্লোক শুনিতে শুনিতে।’’

আস্বাদিছেন গৌরহরি

নিজ-ভক্তি-মাধুরী—আস্বাদিছেন গৌরহরি

‘‘পুনঃ পুনঃ আছাড় পড়েন পৃথিবীতে।।’’

ও ত’ আছাড় পড়া নয়

ধরণীর সৌভাগ্য বাড়ায়—ও ত’ আছাড় পড়া নয়

ভাগ্যবতী বরাহনগর ভূমি

যার রজে,–গড়ি যায় গৌর গুণমণি—ভাগ্যবতী বরাহনগর ভূমি

ধন্য ধন্য বরাহনগর ভূমি

প্রাণগৌর বুকে ধরেছ তুমি—ধন্য ধন্য বরাহনগর ভূমি

আজ,–হৃদে ধরে বরাহনগর ভূমি

রাই সম্পুটে নীলমণি—আজ,–হৃদে ধরে বরাহনগর ভূমি

বুঝি হয়েছে সৌভাগ্যবতী

ব্রজ-রাসস্থলী হতে—বুঝি হয়েছে সৌভাগ্যবতী

এ মূরতি ত পায় নাই বুকে

বৃন্দাবনের রাসস্থলী—এ মূরতি ত পায় নাই বুকে

সে ত ছাড়াছাড়ি ছাড়াছাড়ি

এ যে জড়াজড়ি জড়াজড়ি—সে ত ছাড়াছাড়ি ছাড়াছাড়ি

অনুভব কর ভাই রে

শ্রীগুরুচরণ হৃদে ধরে—অনুভব কর ভাই রে

নেচেছে কি রাসস্থলীতে

প্রেমবৈচিত্ত্য মূরতি ধরে—নেচেছে কি রাসস্থলীতে

আজ বুকেতে ধরিছে সুখে

বরাহনগর ভূমি—আজ বুকেতে ধরিছে সুখে
রাইকানু মিলিত—মূরতি—আজ বুকেতে ধরিছে সুখে
মহা,–রাসবিলাসের পরিণতি—আজ বুকেতে ধরিছে সুখে
‘মহা,–রাসবিলাসের পরিণতি’—
রাইকানু একাকৃতি—মহা,–রাসবিলাসের পরিণতি

আজ বুকেতে ধরিছে সুখে

সাক্ষাৎ বিলাস বিবর্ত্ত—আজ বুকেতে ধরিছে সুখে
বিবর্ত্তে বিলাস-রঙ্গী—আজ বুকেতে ধরিছে সুখে

তাই বলি,–তুমি অতি ভাগ্যবতী

বরাহনগর পুন্যভূমি—তাই বলি—তুমি অতি ভাগ্যবতী
বুকে—ধরেছ গৌর নাটুয়া মূরতি—তাই বলি,–তুমি অতি ভাগ্যবতী

‘‘হেন সে করেন প্রভু প্রেমার বিকাশ।
আছাড় দেখিতে সর্ব্বলোকে পায় ত্রাস।।
এইমত রাত্রি তিন-প্রহর-অবধি।
ভাগবত শুনিয়া নাচিলা শুণনিধি।।’’

তিনপ্রহর-অবধি নাচিল গোরা

ভাগবত শুনে প্রেমে হয়ে ভোরা—তিনপ্রহর-অবধি নাচিল গোরা

আস্বাদিছে স্বমাধুরী

এ যে আশ মিটান-লীলারে –আস্বাদিছে স্বমাধুরী
ভক্তভাব অঙ্গীকার করি—আস্বাদিছে—স্বমাধুরী
কেউ যেন মনে করো না একদিন নেচেছিলেন

আজ সেই দিন বটে

তার,–ত্রিকাল-সত্য লীলায়—আজ সেই দিন বটে

নেচেছিলেন তিন প্রহর

ভাগবত পাঠ শুনে—নেচেছিলেন তিন প্রহর
সেই নটন বন্ধ হয় নাই আজও প্রভু নাচিছে
তার,–ত্রিকাল-সত্য-লীলায়—আজও প্রভু নাচিছে

ভাগ্যবান জনে দেখছে

যার,–প্রেম-নেত্রের বিকাশ হয়েছে—ভাগ্যবান জনে দেখছে

এখনও নাচছে
প্রত্যক্ষ করে গেছে

নৃত্যের ইঙ্গিত—প্রত্যক্ষ করে গেছে
এই আসনে নূপুররে কড়াই—প্রত্যক্ষ করে গেছে
ভাগ্যবান ডবুবাবু—প্রত্যক্ষ করে গেছে

প্রমাণ ত রেখে গেছে
শ্রীমন্দিরে রয়েছে

নূপুরের কড়াই—শ্রীমন্দিরে রয়েছে

এখনও নাচছে

নটন নয় সীমাবদ্ধ—এখনও নাচ্‌ছে

‘‘ভাগবত শুনিয়া নাচিলা গুণনিধি।।
বাহ্য পাই বসিলেন শ্রীশচীনন্দন।
সন্তোষে বিপ্রেরে করিলেন আলিঙ্গন।।’’

রঘুনাথে কৈলেন কোলে

ভাগবত শুনি সন্তোষে—রঘুনাথে কৈলেন কোলে
আইস আইস আইস বোলে—রঘুনাথে কৈলেন কোলে
‘আইস আইস আইস বোলে’—
আমায় এ কি সুখ দিলে—আইস আইস আইস বোলে

রঘুনাথে কৈলেন কোলে
আলিঙ্গিয়ে দিলেন সেই মহাধন

যা ব্রজে মঞ্জীরা পায় নাই—আলিঙ্গিয়ে দিলেন সেই মহাধন

চেয়ে কেবল দেখেছে

মঞ্জরীরা জড়াজড়ি—চেয়ে কেবল দেখেছে
পায় নাই বুকে ধরতে—চেয়ে কেবল দেখেছে

আজ সেই জড়াজড়ি

ভাগবত-আচার্য্যের বক্ষোপরি—আজ সেই জড়াজড়ি

‘‘প্রভু বোলে ভাগবত এমত পড়িতে।
কভু নাহি শুনি আর কাহারও মুখেতে।।
এতেকে তোমার নাম ‘ভাগবতাচার্য্য’।
ইহা বৈ আর কোন না করিহ কার্য্যে।।’’

কোন কার্য্য করো না

ভাগবত পাঠ বিনে—কোন কার্য্য করো না

পড়ো তুমি ভাগবত

পূর্ণ হবে মনোরথ—পড়ো তুমি ভাগবত

‘‘বিপ্র-প্রতি প্রভুর পদবী যোগ্য শুনি।
সভে করিলেন মহা জয় হরিধ্বনি।।’’

সবে করে হরিধ্বনি

ভাগবতাচার্য্য পদবী শুনি—সবে করে হরিধ্বনি

বলে,–জয় জয় রঘুনাথ

তোমায়,–গৌর কৈলেন আত্মসাৎ–বলে,–জয় জয় রঘুনাথ (মাতন)

প্রাণ কেঁদে কেঁদে উঠ্‌ছে

এই পুণ্য ভূমিতে এসে—প্রাণ কেঁদে কেঁদে উঠ্‌ছে
শ্রীগুরুদেবের কৃপা-প্রেরণায়—প্রাণ কেঁদে কেঁদে উঠ্‌ছে

এই সেই পুণ্য ভূমি

ভাগবতাচার্য্যের ভবন—এই সেই পুণ্য ভূমি
যেথা নাচিলেন গৌর-গুণমণি—এই সেই পুণ্য ভূমি

এ যে,–গৌর-নাচা ভূমি রে

ভাগ্যবান ভাগবতাচার্য্যের পাট—এ যে,–গৌর-নাচা ভূমি রে

আজ সেই দিন রে
প্রভু আইলা বরাহনগরে

আজ,–পানিহাটি গ্রাম হতে—প্রভু আইলা বরাহনগরে
রঘুনাথ-বিপ্রের ঘরে—প্রভু আইলা বরাহনগরে
তাঁর প্রকট-বিহার-লীলায়—প্রভু আইলা বরাহনগরে
নিতাই সনে যুগল হয়ে—প্রভু আইলা বরাহনগরে
ভক্তগণ সঙ্গে লয়ে—প্রভু আইলা বরাহনগরে

নেচেছিলেন তিন প্রহর অবধি

রঘুনাথ-মুখে ভাগবত শুনি—নেচেছিলেন তিনি প্রহর অবধি

বয়েছিল প্রেমের পাথার

গৌর আগমনে বরাহনগরে—বয়েছিল প্রেমের পাথার

দেখিতে ত পেলাম নারে

তখন জন্ম হল না—দেখিতে তা পেলাম নারে
নটন-পর শচীদুলালে—দেখিতে ত পেলাম নারে
এই বারহনগর, ভাগবতাচার্য্যের ঘরে—দেখিতে ত পেলাম নারে

সেই একদিন আর এই একদিন
প্রাণ কেঁদে কেঁদে উঠছে
এই সেই নাচবার দিন
এই সে পুণ্য ভূমি
শ্রীগুরু-মুখে শুনেছি মোরা

ত্রিকাল-সত্য গৌর লীলা—শ্রীগুরু-মুখে শুনেছি মোরা

গৌরের,–সে লীলা প্রকট সেখানে

যে দিন যে লীলা করেছেন যেখানে-গৌরের,–সে লীলা প্রকট সেখানে

অনুভব করে ভাগ্যবান জনে

যে হৃদে ধরেছে শ্রীগুরু-চরণে—অনুভব করে ভাগ্যবান জনে

আজও হতেছে সেই লীলা
গৌর নাচিছে প্রেমভরে

এই,–ভাগবতীচর্য্যের ঘরে—গৌর নাচিছে প্রেমভরে
ত্রিকাল-সত্য-লীলায়—গৌর নাচিছে প্রেমভরে

‘‘গৌর-প্রেম-বন্যায় ভাসে বরাহনগর।
আজ,–রঘুনাথ-বিপ্রের ঘরে গৌরাঙ্গ-সুন্দর।।’’

আজ,–এসেছি বড় আশা করে

শ্রীগুরু-বাক্য হৃদে ধরে—আজ,–এসেছি বড় আশা করে
‘শ্রীগুরু-বাক্য হৃদে ধরে’—
ত্রিকাল-সত্য গৌরলীলা—শ্রীগুরু-বাক্য হৃদে ধরে

আজ,—এসেছি বড় আশা করে

শ্রীগুরু-বাক্য হৃদে ধরে—আজ,–এসেছি বড় আশা করে
‘শ্রীগুরু-বাক্য হৃদে ধরে’—
ত্রিকাল-সত্য গৌরলীলা—শ্রীগুরু-বাক্য হৃদে ধরে

আজ,–এসেছি বড় আশা করে

আজ গৌরের,–আগমন দিনে জেনে—আজ,–এসেছি বড় আশা করে
‘আজ গৌরের,–আগমন দিন জেনে—
এই,–পুণ্যভূমি বরাহনগরে—আজ-গৌরে,-আগমন দিনে জেনে

আজ,–এসেছি বড় আশা করে
দেখিব মোরা নয়নভরে

নয়ন-রঞ্জন—গোরা রঘুনাথের ঘরে—দেখিব মোরা নয়নভরে

আজ,–নিশ্চয় এসেছ তুমি

হা,–প্রাণ গৌড়গুণমণি,–আজ,–নিশ্চয় এসেছে তুমি
এই বরাহনগরে,–ভাগবতাচার্য্যের ঘরে—আজ,–নিশ্চয় এসেছে তুমি

পেয়েছি তার নিদর্শন

তুমি,–করেছ হেথা আগমন—পেয়েছি তার নিদর্শন

এসেছেন শ্রীমহাপ্রসাদ

মধুর নীলাচল হতে—এসেছিন শ্রীমহাপ্রসাদ
লীলাশক্তির প্রেরণায়—এসেছেন শ্রীমহাপ্রসাদ

বুঝি,–পাঠায়েছেন প্রতাপরুদ্র্র

এই মনে হয়—বুঝি,–পাঠায়েছেন প্রতাপরুদ্র
তোমার,–আগমন দিন জেনে—পাঠায়েছেন প্রতাপরুদ্র

নিশ্চয় এসেছ তুমি
নৈলে,–এসেছে কার আকর্ষণে

শত শত নরনারী—নৈলে,–এসেছে কার আকর্ষণে
যাদের,–আঙ্গিনা বিদেশ তারা—নৈলে,–এসেছে কার আকর্ষণে
দেহ ধর্ম্ম পাসারিয়ে—নৈলে,–এসেছে কার আকর্ষণে

কে তাদের এনেছে টেনে

দেহ গেহ ভুলাইয়ে—কে তাদের এনেছে টেনে
প্রাণগৌর তোমা বিনে—কে তাদের এনেছে টেনে

যদি,– টেনে এনেছ নিজগুণে

শত শত নরনারীগণে—যদি,–টেনে এনেছ নিজগুণে

একবার দেখা দাও
ভোগ লালসা তাদের ঘুচায়ে দাও

প্রাকৃত—রূপরসগন্ধস্পর্শশব্দের—ভোগ লালসা তাদের ঘুচায়ে দাও

সবাই এসের পিছে পিছে ছুটে

ছায়া দেখে মুগ্ধ হয়ে—সবাই এদের পিছে পিছে ছুটে
কোথা গেলে পাব বলে—সবাই এদের পিছে পিছে ছুটে
দিবানিশি দুঃখ ভোগ করে—সবাই এদের পিছে পিছে ছটে

তাদের এই দুঃখ ঘুচাও

একবার দেখা দাও—তাদের এই দুঃখ ঘুচাও

নিশিদিশি মরমে ঝুরি

জগবাসী নরনারী—নিশিদিশি মরমে ঝুরি
হেরি তোমার,–অখিল রসামৃত মূরতি—নিশিদিশি মরমে ঝুরি
প্রাকৃত,–ভোগবাসনা পাসরি—নিশিদিশি মরমে ঝরি

একবার দেখা দাও

হা গৌর প্রাণ গৌর—একবার দেখা দাও

আর কতদিনে থাকব মেতে

প্রাকৃত,–রূপরসগন্ধ স্পর্শশব্দে—আর কতনি থাকব মেতে

আজ,–মনে বড় আশা হয়েছে

তোমায় দেখতে পাব বলে—আজ,–মনে বড় আশা হয়েছে
এত লোকের আগমন দেখে—আজ,–মনে বড় আশা হয়েছে

একবার দেখা দাও

‘‘একবার,–দাঁড়াও রসের বদন হেরি হে।।’’

একবার দাঁড়াও

ওহে,–সীতানাথের আনানিধি—একবার দাঁড়াও
ওহে,–নদীয়া বিনোদিয়া—একবার দাঁড়াও
ওহে,–প্রাণ শচীদুলালিয়া—একবার দাঁড়াও
ওহে,–শ্রীবাস-অঙ্গনের নাটুয়—একবার দাঁড়াও
ওহে,–রসরাজ গৌরাঙ্গ নট—একবার দাঁড়াও
কোথা হে,–সঙ্কীর্ত্তন সুলম্পট—একবার দাঁড়াও
কোথা হে,–গদাধরের প্রাণবঁধুয়া—একবার দাঁড়াও
কোথা হে,-–কীর্ত্তন-কেলিরস-বিনোদিয়া—একবার দাঁড়াও
কোথা,—নরহরির চিতচোর—একবার দাঁড়াও
কোথা,–রসময়-গৌরকিশোর—একবার দাঁড়াও
কোথা আমার,–নিতাই-পাগল-করা গোরা—একবার দাঁড়াও
কোথা আমার,–পাগলের চিতচোর—একবার দাঁড়াও
‘কোথা আমার,–পাগলের চিতচোর’—
যার মুখে,–শুনেছি তোমার গুণের কথা —কোথা আমার,–পাগলের

চিতচোর—একবার দাঁড়াও

‘‘একবার,–দাঁড়াও রসের বদন হেরি হে।।’’


একবার দেখা দাও চকোর আঁখি উপবাসী আছে
তোমার,–মুখ-সুধা পিবে বলে—চকোর আঁখি উপবাসী আছে

একবার দেখা দাও
দেখিতে ত দাও নাই

যখন,–প্রকট-লীলায় বিহরিলে—দেখিতে ত’ দাও নাই
‘যখন,–প্রকট-লীলায় বিহরিলে’—
এই,–সুরধনীর তীরে তীরে—যখন,–প্রকট-লীলায় বিহরিলে

দেখিতে ত’ পাই নাই

তখন জনম দাও নাই—দেখিতে ত পাই নাই
গমনে নটন বচনে গান—দেখিতে ত’ পাই নাই

নিশিদিশি জ্বলছে হিয়ায়

সেই লীলা-অদর্শন-শেল—নিশাদিশি জ্বলছে হিয়ায়

দগ্ধ হৃদয় জুড়াব বলে
শ্রীগুরুবাক্য হৃদে ধরে

ত্রিকালসত্য তোমার লীলা—এই,–শ্রীগুরুবাক্য হৃদে ধরে

ছুটে যাই ভাই ভাই মিলে

যেখানে,–যখন তোমার লীলাকাল—ছুটে যাই ভাই ভাই মিলে
গৌর তোমায় দেখব বলে—ছুটে যাই ভাই ভাই মিলে

কিন্তু,–দেখতে পাই না নিজ-দুর্দ্দৈব-দোষে
এই যে আমরা খুঁজে এলাম

গঙ্গাতীর ঘুরে ঘুরে—এই যে আমরা খুঁজে এলাম

গিয়েছিলাম শান্তিপুরে

শ্রীসীতানাথের ঘরে—গিয়েছিলাম শান্তিপুরে

বড় সাধ ছিল মনে

প্রভু তোমায় দেখব নয়নে—বড় সাধ ছিল মনে
পাগল। প্রভু নিতাই সনে—বড় সাধ ছিল মনে
মাধবপুরীর আরাধনা দিনে—বড় সাধ ছিল মনে
মহামহোৎসব-রঙ্গে—বড় সাধ ছিল মনে

দেখতে ত পেলাম না
হতাশ প্রাণে ফিরে এলাম

বুকের ব্যথা বুকে ধরে—হতাশ প্রাণে ফিরে এলাম

আবার গেলাম আশা করে

তোমার ভক্ত শ্রীবাসের ঘরে—আবার গেলাম আশা করে
তোমার আগমন দিনে জেনে—আবার গেলাম আশা করে

ব্যাকুল হয়ে ডাকলাম
কোথায় আছ শ্রীবাস পণ্ডিত
একবার দেখাও হে

তোমার অঙ্গনের নাটুয়া মুরতি—একবার দেখাও হে

দেখাও নাই দেখতে পাই নাই

কেঁদে কেঁদে ফিরে এলাম—দেখাও নাই দেখতে পাই নাই

কাল গেলাম পানিহাটিতে

তোমার আগমন দিন জেনে—কাল গেলাম পানিহাটিতে
ব্যাকুল হয়ে ডাকলাম কোথা আছ রাঘব পণ্ডিত

একবার দেখাও হে

তোমার,–গৃহবিহারী গৌরহরি—একবার দেখাও হে

বড়সাধে এলাম মোরা
গুনব নিতাই-রহস্য-কথা

গৌরহরি বলবেন তোমায়—শুনব নিতাই-রহস্য-কথা

কোন সাড়া পেলাম না
দেখা পেলাম না তোমধনে

ফিরে এলাম হতাশ-প্রাণে—দেখা পোলাম না তোমাধনে

আজ,– এসেছি বড় আশা করে

পুনঃ পুনঃ বাধা পেয়ে—আজ,–এসেছি বড় আশা করে
প্রাণ-গৌর তোমায় দেখব বলে—আজ,–এসেছি বড় আশা করে
এখানে তোমার আগমন জেনে—আজ,–এসেছি বড় আশা করে

একবার দেখা দাও

হা গৌর প্রাণ গৌর—একবার দেখা দাও

কোথা আছ ভাগবতাচার্য্য
একবার দেখাও হে

তোমার ঘরের নাটুয়া গৌরে—একবার দেখাও হে
সেই,–চিতচোর চূড়ামণিরে—একবার দেখাও হে

কোথা নাচাইছ তারে

শ্রীভাগবত শুনাইয়ে—কোথা নাচাইছ তারে

তোমারই ত’ অধিকার

তোমার ঘরে এসেছেন—তোমারই ত’ অধিকার
তুমি দেখালে দেখাতে পার—তোমারই ত’ অধিকার

দয়া করে দেখালে দেখি

তোমার–হাতে ধরা গৌর-গুণনিধি—দয়া করে দেখালে দেখি
আমাদের,–গৌর দেখবার নাই শকতি—দয়া করে দেখালে দেখি

গৌর দেখবার নাই কোন বল

একমাত্র কৃপা সম্বল—গৌর দেখবার নাই কোন বল

একবার দেখাও হে
আজ,–এসেছি বড় আশা করে

তোমার,–ঘরে গৌর আগমন জেনে—আজ,–এসেছি বড় আশা করে

ভাগবতাচার্য্য কোথা তুমি

এই ত তোমার বসতি ভূমি—ভাগবতাচার্য্য কোথা তুমি

কোথা পড়িতেছ ভাগবত
কোথা নাচিতেছেন শচীসুত

তোমার মুখে,–শুনি ভক্তির মহিমা শ্লোক—কোথা নাচিতেছেন শচীসুত

কোথা,– নাচিতেছেন গোরা গুণমণি

কোথা ভাগবত পড়িছ তুমি—কোথা,–নাচিতেছেন গোরা গুণমণি

একবার দেখাও হে

গৌরপ্রিয় ভাগবতাচার্য্য—একবার দেখাও হে
কনক-রুচির গৌর—একবার দেখাও হে
কনক-রুচির গৌর—একবার দেখাও হে
সর্ব্বচিত্তৈক চৌর—একবার দেখাও হে
প্রকৃতি মধুর-দেহ—একবার দেখাও হে
পূর্ণ লাবণ্য-গেহ—একবার দেখাও হে
সৌন্দর্য্যের সার মাধুর্য্যের পার—একবার দেখাও হে
মহাভাবের আধার—একবার দেখাও হে

ভয় নাই আমরা লয়ে যাব না

তোমার গৌর তোমারই থাকবে—ভয় নাই আমরা লয়ে যাব না

কি দিয়ে তারে বেঁধে রাখব

দুর্ব্বাসনার কিঙ্কর মোরা—কি দিয়ে তারে বেঁধে রাখব
কপটতার মূরতি মোরা—কি দিয়ে তারে বেঁধে রাখব
ভালবাসতে জানি না—কি দিয়ে তারে বেঁধে রাখব

ভয় নাই আমরা লয়ে যাব না
শুধু একবার দেখব
প্রাণে প্রাণে ভোগ করিব

মুরতি দেখব—প্রাণে প্রাণে ভোগ করিব

তার,–মূরতি কত শকতি ধরে

যার,–নামে ঘরের বাহির করে—তার,–মূরতি কত শকতি ধরে

(মাতন)
একবার দেখাও হে
কথা যে কইছ না
তবে কি তারে দেখাবে না

তোমার,–ঘরে এসেছে গৌরসোণা—তবে কি তারে দেখাবে না

কত,–আশা করে এলাম তোমার ঘরে

দেখব বলে চিতচোর—কত,–আশা করে এলাম তোমার ঘরে
তুমিও যে কথা কইলে না হে—কত,–আশা করে এলাম তোমার ঘরে

আর কার কাছে যাব

কে প্রাণগৌর দেখাইবে—আর কার কাছে যাব

বল বল ওগো সুরধুনী
বলে দে বলে দে

ওগো ধনী সুরধুনী-বলে দে বলে দে
প্রাণগৌর কোথা আছে—বলে দে বলে দে

তুমিও যে কথা কইছ না
আর কার কাছে যাব
কোথা আছ প্রভু নিতাই

পরাণ গৌরাঙ্গ লয়ে—কোথা আছ প্রভু নিতাই

একবার দেখা দাও
তুমিও ত কথা কইলে না

অগতির গতি দাতা—তুমিও ত কথা কইলে না

আর কার কাছে যাব
কে এমন বান্ধব আছে

লায়ে যাবে গৌরের কাছে—কে এমন বান্ধব আছে

সেই ত আছে জগমাঝে

আমাদের আপন বলতে—সেই ত আছে জগমাঝে
যে,–যেচে এসে হাত ধরেছে—সেই ত আছে জগমাঝে

অঙ্গীকার করেছে

অশেষ-দোষের দোষী জেনে—অঙ্গীকার করেছে

নাম উপদেশ করেছে

সাধ্য সাধন নির্ণয় করা-নাম উপদেশ করেছে
আর ভয় নাই বলে—নাম উপদেশ করেছে

সেই ত আমাদের আপন বটে
ওগো আমার দরদী
ওগো আমার ব্যথার ব্যথী
ওগো তুমি কোথায় গো
বেড়াইছ লুকাইয়ে

গৌর সন্ধান বলে দিয়ে—বেড়াইছ লুকাইয়ে

সন্ধান ত পাই নাই

খুঁজে খুঁজে হলাম সারা—সন্ধান ত পাই নাই

তুমি ত তার সঙ্গেই আছে

কত রঙ্গে বিহরিছ—তুমি ত তার সঙ্গেই আছ

সঙ্গেই ত এসেছ

ত্রিকালসত্য—লীলায় বরাহনগরে—সঙ্গেই ত এসেছ

একবার দেখাও হে
তুমি ত বাঁধা পড়েছ

যেদিনে হাত ধরেছ—তুমি ত বাঁধা পড়েছ

নিস্কৃতি ত নাই তোমার

অভাব নিয়ে গৌর না দিলে—নিষ্কৃতি তা নাই তোমার

তাই বলি একবার দেখাও
তারে একবার দেখাও হে

যার,–নাম শুনায়ে ঘরের বাহির করেছ—তারে একবার দেখাও হে

গৌর সনে দেখা দাও
হৃদিপটে এঁকে নেব

শ্রীগুরু-গৌরাঙ্গ-বিহার—হৃদিপটে এঁকে নেব

না, না—পরে হৃদিপটে আঁকব
তার আগে শুধাব
একটা কথা শুধাব
তারে দেখি কিবা ভোগ করি

ভোগের স্বভা নাই আমাদের—তারে দেখি কিবা ভোগ করি

একটা কথা শুধাব

চোখের দেখা দেখব—একটা কথা শুধাব

হা গৌর প্রাণ গৌর
সকল সুখেই করছ বঞ্চিত

প্রকট-লীলা ত দেখাও নাই—সকল করছ বঞ্চিত

আশাপথ চেয়ে আছি

শ্রীগুরু-মুখের কথা স্মঙরি—আশাপথ চেয়ে আছি

শ্রীমুখে বলছেন শ্রীগুরুদেব
প্রতিজ্ঞা করেছ তুমি

‘‘এই,–পৃথিবীর মধ্যে আছে যত দেশ গ্রাম রে।
সর্ব্বত্র প্রচার হইবে মোর নাম রে।।’’

সেদিনের আর কদিন বাকী

এই কথা শুধাব—সে দিনের আর কদিন বাকী
বল বল প্রাণগৌর—সে দিনের আর কদিন বাকী
আমরা দেখতে পাব না কি—সে দিনের আর কদিন বাকী

দেখি না ত’ অনুকূল রীতি

তোমার বাক্য পূর্ণ হবার—দেখি না ত’ অনুকূল রীতি
এষা সব যে বিপরীত দেখি—দেখি না ত’ অনুকূল রীতি

অশান্তি-অনলে জগৎ জ্বলে

কালকলির পীড়নে—অশান্তি-অনলে জগৎ জ্বলে

প্রতিকার কি হবে না

হা নাথ বিশ্বম্ভর—প্রতিকার কি হবে না

কবে আশা পূর্ণ হবে

নাম-প্রেমে বিশ্ব ভরবে—করে আশা পূর্ণ হবে

না না,–তোমায় বলে কিবা হবে
তারেই ত বলতে হবে

তোমার কার্য্য যার দ্বারে—তারেই ত বলতেহবে

সে ত তোমার সঙ্গে আছে
আর একবার বলে দাও

তোমার,–অভিন্ন-তনু নিতাই-চাঁদে–আর একবার বলে দাও
তেমনি করে,–হাতে ধরে কেঁদে কেঁদে—আর একবার বলে দাও
তোমার,–বিশ্বম্ভর নাম পূর্ণ করতে—আর একবার বলে দাও

মেতে আছে তোমায় লয়ে

তোমার,–আজ্ঞা পালন করে নাই সে—মেতে আছে তোমায় লয়ে
জীবেরে দশা ভুলে গেছ—মেতে আছে তোমায় লয়ে

আর একবার পাঠায়ে দাও
কোথা আছ প্রভু নিতাই

বড় দুঃখ হতেছে মোদের—কোথা আছ প্রভু নিতাই
বিশ্বম্ভর নামে যে কলঙ্ক রটছে—কোথা আছ প্রভু নিতাই

ঘুচাও নামের কালিমা ঘুচাও
কোথা আছ আত্ম গোপন করে

তোমার ধর্ম্ম পাসরিয়ে—কোথা আছ আত্ম গোপন করে

তোমার,–হাতে ধরে বলে দিয়েছে

তোমার প্রভু বিশ্বম্ভর—তোমার,–হাতে ধরে বলে দিয়েছে
নাম-প্রেম দিতে আচগুালে—তোমার,–হাতে ধরে বলে দিয়েছে

তারা কি গো তোমার নয়

আসুরিক বৃত্তি যাদের—তারা কি গো তোমার ন

ঘুচাইতে কি পার না

তাদের আসুরিক স্বভাব—ঘুচাইতে কি পাব না

তুমি সর্ব্ব-শক্তি ধর

তোমার,–হৃদে বিহরে বিশ্বম্ভর—তুমি সর্ব্ব-শক্তি ধর

তেমনি করে আবার চল

প্রাণ-গৌর-আজ্ঞা শিরে ধরে—তেমনি করে আবার চল
আজ্ঞা পালন হয় নাই তোমার—তেমনি করে আবার চল

নাম-প্রেমে জগৎ মাতাও

তেমনি করে সেধে যেচে—নাম-প্রেমে জগৎ মাতাও

কিন্তু তোমায় বলব না

কলিজীবের পাপতাপ নিতে—কিন্তু তোমায় বলব না

প্রাণ কেঁদে উঠে গো

সে দিনের কথা মনে হলে—প্রাণ কেঁদে উঠে গো

তোমার অঙ্গ কালি হল

দুই ভায়ের পাপ নিয়ে—তোমার অঙ্গ আলি হল

আর তোমায় বলব না

জগজীবের পাপ নিতে—আর তোমায় বলব না

তুমি কেন পাপতাপ নিবে

তুমি গৌর-সেবা বিগ্রহ—তুমি কেন পাপতাপ নিবে
আমরা,–তোমার চির কিঙ্কর থাকতে—তুমি কেন পাপতাপ নিবে
‘আমরা,–তোমার চির কিঙ্কর থাকতে’—
তোমার দাস—অঙ্গীকার করেছে মোদের—আমরা,–তোমার চির

কিঙ্কর থাকতে
তোমায়,–পাপ নিতে দিব না

আমরা থাকতে পাপের বোঝা—তোমায়,–পাপ নিতে দিবে না

গরবেতে বলি গো

তোমার দাসের দাস এই—গরবেতে বলি গো

আমরা আছি পাপের খনি

আমরা তোমার সম্বন্ধ রাখি—আমরা আছি পাপেপ খনি

কুড়ায়ে লয়ে দাও আমাদের

জগজীবের পাপতাপ—কুড়ায়ে লয়ে দাও আমাদের

আমরা নরকে যাব

জগবাসীর দুর্দ্দৈব লয়ে—আমরা নরকে যাব
তুমি,–নাম-প্রেমে জগৎ মাতও—আমরা নরকে যাব

যদি,–উদ্ধারিতে সাধ থাকে

আমা হেন পতিত-জনে—যদি,–উদ্ধারিতে সাধ থাকে
পতিত-পাবন নাম সার্থক করতে—যদি,–উদ্ধারিতে সাধ থাকে

তবে,–শুন শুন আমার কথা

যদি,–করতে চাও নামের সার্থকতা—তবে,–শুন শুন আমার কথা

নাম ধরেছ পতিত-পাবন

নাম,–সার্থক করবার উপায় শুন—নাম ধরেছে পতিত-পাবন

জগৎ উদ্ধার কর আগে
আমি যাব না তোমার কাছে

জগতের একজনও বাকী থাক্‌তে—আমি যাব না তোমার কাছে

যেদিন দেখ্‌ব কেউ বাকী নাই

গৌর-নাম-প্রেমে মত্ত সবাই—যেদিন দেখব কেউ বাকী নাই

সেদিন তোমার হব নিতাই
গরব করে বলব

পতিত-পাবন-বাণী উড়াইব—গরব করে বলব

আমার প্রভু নিত্যানন্দ

আমার আমার আমার আমার—আমার প্রভু নিত্যানন্দ
গৌর-নাম-প্রেমে জগৎ মাতাল—আমার প্রভু নিত্যানন্দ

কেউ নাই এ জগতে

অগতিরে গতি দিতে—কেউ নাই এ জগতে
আমার,–প্রভু নিত্যানন্দ বিনে—কেউ নাই এ জগতে

এই কর আমার নিতাই-সোণা

আর কোন নাই বাসনা—এই কর আমার নিতাই-সোণা

চাই না তোমার গৌর চাই না

গৌর পাবার অধিকার নাই—চাই না তোমার গৌর চাই না

কোন গুণে সেই গৌর পাব

সে যে,–রূপ-সনাতনের সাধনের ধন—কোন গুণে সেই গৌর পাব
সে যে,–দাস রঘুনাথের সাধ্য-নিধি—কোন গুণে সে গৌর পাব

এই কর প্রভু নিতাই
যেখানে যাব দেখতে পাব
ঘরে ঘরে সবাই ঝুরছে

ম্লেচ্ছ-যবনাদি নরনারী—ঘরে ঘরে সবাই ঝুরছে
দ্বেষাদ্বেষ ভুলে গিয়ে—ঘরে ঘরে সবাই ঝুরছে
হা গৌর প্রাণ গৌর বলে—ঘরে ঘরে সবাই ঝুরছে

সব,–একপ্রাণ হয়ে গেছে

বিরোধ মিটে গেছে—সব,–একপ্রাণ হয়ে গেছে

স্বভাব জেগেছে

সবাই এক প্রভুর দাস—স্বভাব জেগেছে

অনুরাগে সবাই বলছে

ভোগের স্বরূপ জেগে উঠেছে—অনুরাগে সবাই বলছে

‘‘দণ্ডে দণ্ডে তিলে তিলে গোরারূপ না হেরিলে,
মরমে মরিয়া যেন থাকি।
সাধ হয় নিরন্তর, হেমকান্তি কলেবর,
সতত হিয়ার মাঝে রাখি।।
তিলেক না দেখি তায়, পাঁজর ধসিয়া যায়,
ধৈরয ধরিতে নাহি পারি।
অনুরাগের ডুরি দিয়া, অন্তরে কি করে সিয়া,
না জানি তার কতই ধার ধারি।।’’

অনুরাগে সবাই বলছে

স্বভাব জেগেছে—বিরোধ গেছে—অনুরাগে সবাই বলছে

‘‘সুরধুনীর কূলে গিয়া, কুল দিব ভাসাইয়া,
অনল জ্বালিয়া দিব লাজে।
গৌরাঙ্গ সম্মুখে করি, হেরিব নয়নভরি,
দিন যায় মিছামিছি কাজে।।’’

তবে ঘুচবে মনের ব্যথা

ওহে ও প্রেম-বিতরণ-ধাতা—তবে ঘুচবে মনের ব্যথা

বেদনা কি ঘুচবে না
আমরা কি দেখতে পাব না

সবাই ভজবে গৌরসোণা—আমরা কি দেখতে পাব না

জগভরি উঠবে রোল

গৌরহরি-হরিবোল-জগভরি উঠবে রোল

গৌরনামের ধ্বনি শুনে
পাগল হয়ে বেড়াব

ভাই ভাই একপ্রাণে—পাগল হয়ে বেড়াব

যারে দেখব তার বলব

‘‘ভজ নিতাই গৌর রাধে শ্যাম।
জপ হরে কৃষ্ণ হরে রাম।।’’

গৌর নাচে প্রেমভরে

ভাগবত-আচার্য্যের ঘরে—গৌর নাচে প্রেমভরে

(মাতন)

‘‘নিতাই-গৌরহরিবোল, হরিবোল, হরিবোল, হরিবোল।।’’
‘‘শ্রীগুরু-প্রেমানন্দে নিতাই-গৌর-হরিবোল।।’’



অভিসার আক্ষেপানুরাগ কুঞ্জভঙ্গ খণ্ডিতা গীতগোবিন্দ গোষ্ঠলীলা দানলীলা দূতী ধেনুবৎস শিশুহরণ নৌকাখন্ড পূর্বরাগ বংশীখণ্ড বিপরীত বিলাস বিরহ বৃন্দাবনখন্ড ব্রজবুলি বড়াই বড়াই-বচন--শ্রীরাধার প্রতি মাথুর মাধবের প্রতি দূতী মান মানভঞ্জন মিলন রাধাকৃষ্ণসম্পর্ক হীন পরকীয়া প্রেমের পদ রাধা বিরহ রাধিকার মান লখিমাদেবি শিবসিংহ শ্রীকৃষ্ণকীর্তন শ্রীকৃষ্ণের উক্তি শ্রীকৃষ্ণের পূর্বরাগ শ্রীকৃষ্ণের মান শ্রীকৃষ্ণের স্বয়ংদৌত্য শ্রীগুরু-কৃপার দান শ্রীরাধা ও বড়াইয়ের উক্তি-প্রত্যুক্তি শ্রীরাধার উক্তি শ্রীরাধার প্রতি শ্রীরাধার প্রতি দূতী শ্রীরাধার রূপবর্ণনা শ্রীরাধিকার পূর্বরাগ শ্রীরাধিকার প্রেমোচ্ছ্বাস সখীতত্ত্ব সখীর উক্তি সামোদ-দামোদরঃ হর-গৌরী বিষয়ক পদ