‘‘ভজ নিতাই গৌর রাধে শ্যাম।
জপ হরে কৃষ্ণ হরে রাম।।’’
‘‘আজুরে শ্রীজগন্নাথের গুণ্ডিচামার্জ্জন।’’
ত্রিকালসত্য-লীলায় নিজগণ-সনে—চলিলেন প্রাণ-শচীনন্দন
করিবেন আজ গুণ্ডিচা মার্জ্জন
কুঞ্জশয্যা-আবেশেতে—করিবেন আজ গুণ্ডিচা মার্জ্জন
‘কুঞ্জশয্যা-আবেশেতে’—
পরাণবঁধু আসবে বলে—কুঞ্জশয্যা আবেশেথে
‘‘আজুরে শ্রীজগন্নাথের গুণ্ডিচামার্জ্জন।
হায়রে—হেনদিনে কোথা প্রভু শ্রীরাধারমণ।।’’
ভাই ভাই ভাই মিলে—আজ,–কার সঙ্গে যাব মোরা
গুণ্ডিচা-মন্দির-মার্জ্জনে—আজ,–কার সঙ্গে যাব মোরা
প্রাণগৌর-লীলা—গাইতে গাইতে—আজ,–কার সঙ্গে যাব মোরা
গুণ্ডিচা-মার্জ্জন-লীলা গাইতে গাইতে—আজ,–কার সঙ্গে যাব মোরা
‘প্রাণগৌর-লীলা গাইতে গাইতে’—
মধুর-নীলাচল-পথে—প্রাণগৌর-লীলা গাইতে গাইতে
হেলে দুলে প্রেমতরঙ্গে—আজ,–কার সঙ্গে যাব মোরা
মধুর-কীর্ত্তন-নটন-রঙ্গে—আজ,–কার সঙ্গে যাব মোরা
কেবা ভোগ করাইবে
ভাবাবেশে কীর্ত্তনরঙ্গে—কেবা ভোগ করাইবে
গুণ্ডিচা-মার্জ্জন-লালা—কেবা ভোগ করাইবে
ও,–পাগলা প্রভু রাধারমণ—একবার এস হে
ও,–নিতাই-গৌর-প্রেমের পাগল—একবার এস হে
তোমার,–প্রিয়গণ সঙ্গে লয়ে—তেমনি করে এস হে
আজ,–নিতাই-গৌর-প্রেমাবেশে—তেমনি করে এস হে
ভাবাবেশে,–গৌরলীলা গাইতে গাইতে—তেমনি করে এস হে
প্রাণগৌর-লীলা ভোগ করিতে—আজ,–কার সঙ্গে যাব মোরা
নিতাই-গৌর-প্রেমের পাগল—আজ,–তেমনি করে চল প্রভু
হেলে দুলে প্রেমতরঙ্গে—আজ,–তেমনি করে চল প্রভু
মধুর-কীর্ত্তন-নটন-রঙ্গে—আজ,–তেমনি করে চল প্রভু
প্রাণগৌর-লীলা গাইতে গাইতে—আজ,–তেমনি করে চল প্রভু
তোমার,–প্রিয়গণ সঙ্গে লয়ে—আজ,–তেমনি করে চল প্রভু
গৌরাঙ্গের,–ভাবোল্লাস-লীলা গাইতে গাইতে—আজ,–তেমনি করে চল প্রভু
প্রাণগৌরাঙ্গ-কিশোরীর—মধুর,–ভাবোল্লাস-লীলা গাইতে গাইতে
তোমার সঙ্গে যাব মোরা—আজ,–তেমনি করে চল প্রভু
গৌরাঙ্গের,–ভাবোল্লাস-লীলা গাইতে গাইতে—আজ,–তোমার সঙ্গে
হেলে দুলে প্রেমতরঙ্গে—আজ,–তোমার সঙ্গে যাব মোরা
মধুর কীর্ত্তন-নটন-রঙ্গে—আজ,–তোমার সঙ্গে যাব মোরা
মধুর,–ভাবোল্লাস-লীলা গাইতে গাইতে—আজ,–তোমার সঙ্গে যাব মোরা
তোমার সঙ্গে গাইব মোরা—ভাবাবেশে গাইবে তুমি
তোমার আনুগত্যে গাইব মোরা—ভাবাবেশে গাও তুমি
ভাবাবেশে,–গৌরলীলা গাইতে গাইতে—এস আমার পাগলা প্রভু
গুণ্ডিচা-মার্জ্জন-লীলা—ভাবাবেশে গান কর
তোমার সঙ্গে সঙ্গে গাইব মোরা—ভাবাবেশে গাও গৌরলীলা
বিরহে আকুল সদা—রাধাভাবে ভোরা গোরা
ভাবনিধি গৌরাঙ্গ আমার—রাধিকা-ভাবিত-মতি
স্বরূপ-রামানন্দে বলেন মধুর-বচন।।’’
গৌরাঙ্গ-কিশোরী বলে—ও ললিতে ও বিশাখে
বলে দোঁহার করে ধরি’—শুন শুন প্রাণসখি
কিশোরী-ভাবিত-মতি গৌর বলে—আজ,–নিশিশেষে দেখেছি সুস্বপন
ব্রজে আসবে ব্রজের জীবন—আজ,–নিশিসেষে দেখেছি সুস্বপন
এবে দেখি তার অনুকূল-আজ,–নিশিশেষে দেখেছি সুস্বপন
কাল নিশিপরভাতে—ব্রজে আসবে ব্রজের জীবন(মাতন)
কাল নিশিপরভাতে—আমার,–পরাণবঁধু আসবে ব্রজে
নিশিপরভাত হলে—আসবে আমার পরাণবঁধু
বহুদিন পরে ব্রজে—আসবে আমার পরাণবঁধু
আসবে আমার প্রাণবঁধুয়া—চল কুঞ্জ সাজাই গিয়া (মাতন)
আসবে আমার প্রাণবঁধুয়া—চল কুঞ্জ সাজাই গিয়া
প্রিয়নর্ম্ম-সখী-সাথে—চল কুঞ্জ সাজাই গিয়া
সজ্জা-সম্ভার সঙ্গে লয়ে
মৃৎকুম্ভ কাঁখে করি’
সম্মার্জ্জনী করে ধরি’
বলে,–চল প্রাণ-সহচরী
মার্জ্জন-সম্ভার করেতে ধরি’—বলে,–চল প্রাণ-সহচরী
কুঞ্জাসজ্জা সম্মার্জ্জনে—বলে,–চল প্রাণ-সহচরী
আসবে আমার প্রাণবঁধুয়া—চল কুঞ্জ সাজাই গিয়া [মাতন]
স্বরূপ,–রামরায়ের করে ধরি—নেচে যায় প্রাণ-গৌরহরি (মাতন)
সঙ্গে নিতাই-অনঙ্গমঞ্জরী—হেলে দুলে যায় গৌর-কিশোরী
দক্ষিণ মধুমতী-নরহরি—হেলে দুলে যায় গৌর-কিশোরী
পারিষদ-সহচরী ঘেরি’—হেলে দুলে যায় গৌর-কিশোরী
নিতাই,–গদাধর-নরহরির হাত ধরি’—হেলে দুলে যায় গৌর-কিশোরী
বিংশতিভাব-ভূষণ পরি’—হেলে দুলে যায় গৌর-কিশোরী
সঙ্গে লয়ে মনোবৃত্তি-সহচরী-হেলে দুলে যায় গৌর-কিশোরী
নীলাচল-ব্রজের পথে আলো করি’—হেলে দুলে যায় গৌর-কিশোরী
এই,–নীলাচল-ব্রজের পথে—হেলে দুলে যায় গৌর কিশোরী
নিকুঞ্জসেবা—সম্ভার সঙ্গে করি’—হেলে দুলে যায় গৌর-কিশোরী
আজ,–প্রেমময়—বাদর করি’—হেলে দুলে যায় গৌর-কিশোরী
আজ,–নিতাই-অনঙ্গের গলা ধরি’—হেলে দুলে যায় গৌর-কিশোরী
বিংশতি-ভাব-হিল্লোলে—হেলে দুলে যায় গৌর-কিশোরী
ঘিরে পারিষদ-সহচরী—হেলে দুলে যায় গৌর-কিশোরী
বিলাসকুঞ্জ সাজাইতে—হেলে দুলে যায় গৌর-কিশোরী
নিকুঞ্জসজ্জা-মনোরথে—যায় নীলাচল-ব্রজের পথে
রঙ্গিনী-সঙ্গিনী-সাথে—যায় নীলাচল-ব্রজের পথে
পারিষদ-সহচরী-সাথে—যায় নীলাচল-ব্রজের পথে
ওগো প্রাণ-সহচরী—চল কুঞ্জ সাজাই গিয়া
আসবে আমার প্রাণবঁধুয়া—চল কুঞ্জ সাজাই গিয়া
বলে,–পূরবে আমার মনসাধা—হেলে দুলে যায় গৌর-রাধা
পুরাতে অপূর্ণ-সাধা—হেলে দুলে যায় গৌর-রাধা
নিকুঞ্জ সাজাবে বলে—যায়,–গৌর-কিশোরী হেলে দুলে
কাল পরাবঁধু পাব—বলে,–আজ কুঞ্জ সাজাব
বিংশতি-ভাব-হিল্লোলে—যায়,–গৌর-কিশোরী হেলে দুলে
পুরবে আমার মনসাধা—মনে মনে এই গণে
পূরাবে আমার মনোরথ—আজ,–আসবে ব্রজের মন্মথ
গমন-নটন-লীলা
কিশোরী-ভাবিত-মতি গৌরাঙ্গের—গমন-নটন-লীলা
নাটুয়া-মূরতি নটন-গতি—চলে যেতে নেচে যেছে
বিংশতি-ভাব-হিল্লোলে—চলে যেতে নেচে যেছে
নটিনীর শিরোমণি—ভাবাবেশে হল নটিনী
প্রাণ-গৌরাঙ্গের, গমনই নটন বচনই গান—চলে যেতে নেচে যেছে
নটিনী-মূরতি গৌর আমার—চলে যেতে নেচে যেছে
কোকিলা-কলভাষিণী—সঙ্গীতেতে কথা কইছে
‘কোকিলা-কলভাষিণী’—
নটিনীর শিরোমণি—কোকিলা—কলভাষিণী (মাতন)
পঞ্চমরাগজিনি যেন—কতশত-কোকিল কূহরিছে
যেন,–আমিয়া সিন্ধু উথলিছে
জগৎ,–অমৃতময় করবে বলে—যেন,–অমিয়া সিন্ধু উথলিছে (মাতন)
একবার,–হরি বোলে যার পানে চাইছে—আজ,–তারই আঁখি মন হরিছে
একবার যার পানে চাইছে—তার স্বভাব জাগায়ে দিছে
বরজ-গোপিকার—স্বভাব জাগায়ে দিছে
নীলাচলে যত নরনারী—সবারে কৈল গোপনারী [মাতন]
জাগল স্বভাব বরজ-বধুর—গোরা-চাহনি কিবা মধুর (মাতন)
নীলাচল-ব্রজের পথে—হেলে দুলে যায় গৌরকিশোরী
কুঞ্জ-সজ্জা-মনোরথে—হেলে দুলে যায় গৌরকিশোরী
কর দিয়ে নিতাই-অনঙ্গের গলে—যায়,–গৌরকিশোরী হেলে দুলে
আমার,–পরাণবঁধু আসবে বলে—যায়,–গৌরকিশোরী হেলে দুলে
‘পরাণবণধু আসবে বলে’—
আজ নিশি গেলে কাল সকালে—পরাণ বঁধু আসবে বলে
আবেশে বলে গৌরকিশোরী
স্বরূপের কর ধরি’—আবেশে বলে গৌরকিশোরী
কেমনেতে ধৈর্য্য ধরি
কাল আসবে বংশীধারী—আজ,–কেমনেতে ধৈর্য্য ধরি
সীতানাথ-পৌর্ণমাসী—তখন,–হাসি হাসি মিলল আসি’
‘সীতানাথ-পৌর্ণমাসী’—
যা হতে এইসব খেলা—সেই,–সীতানাথ-পৌর্ণমাসী
বলে,–কোথা যাও দিবাভাগে
পৌর্ণমাসী,–করে ধরে বলে ও-কিশোরী—কোথা যাও দিবাভাগে
রঙ্গিনী, সঙ্গিনী সাথে—কোথা যাও দিবাভাগে
সখী-সঙ্গে অনুরাগে—কোথা যাও দিবাভাগে
মনোরথে ব্রজের পথে—কোথা যাও সঙ্গিনী-সাথে
বলে,–শুনগো মা পৌর্ণমাসী
দুঃখের নিশি পোহাল আসি’
আজ, নিশি শেষে দেখেছি স্বপন
কাল,–আসবে প্রাণের বংশীবদন—আজ,–নিশি শেষে দেখেছি স্বপন
ব্রজে আসবে ব্রজের জীবন—আজ,–নিশি শেষে দেখেছি স্বপন
আজ,–পোহাইলে দুঃখের নিশি—ব্রজে আসবে কালশশী
কুঞ্জ-সজ্জা-মনসাধে—তাই চলেছি দিবাভাগে
সখী-সঙ্গে অনুরাগে—তাই চলেছি দিবাভাগে
কুঞ্জ-সজ্জা-মনসাথে—তাই,–দিবাভাগে ব্রজের পথে
কাল পরাণ-বঁধু পাব—আজ কুঞ্জ সাজাব
নিকুঞ্জের-সাজাবে বলে—যায়,–গৌরকিশোরী হেলে দুলে
গৌরকিশোরীর কথা শুনে—পৌর্ণমাসী সুখে ভাসে
মৃদু মন্দ মন্দ হাসে—পৌর্ণমাসী সুখে ভাসে
রাইকানু একাসনে—আবার দেখব কুঞ্জবনে
নিকুঞ্জ সাজাব বলে—যায়,–গৌরকিশোরী হেলে দুলে
পারিষদ সব সহচরী মিলে—যায়,–গৌরকিশোরী হেলে দুলে
নিকুঞ্জ সাজাব বলে—যায়,–গৌরকিশোরী হেলে দুলে
হেরিতে,–ব্রজ-নব—যুবরাজে—আজ,–কুঞ্জ সাজাব নবসাজে
সহচরী চলগো সবে—আজ,–কুঞ্জ সাজাব নবসাজে
কাল,–আসবে ব্রজের মনমথ—আজ,–কুঞ্জ সাজাব মনের মত (মাতন)
কাল,–প্রভাতে পাব প্রাণবঁধুকে—আজ কুঞ্জ সাজাব সুখে
ভাবোন্মাদে ভোরা গোরা বলে—আজ কুঞ্জ সাজাব সুখে
রাধাভাবে ভোরা গোরা—আসিয়া গুণ্ডিচার দ্বারে
ভাবোল্লাসে ভোরা গোরা—আসিয়া গুণ্ডিচার দ্বারে
ডাক ত্বরা বৃন্দাদেবীকে
আবেশে বলেন গৌরকিশোরী
যেন,–সম্মুখে বৃন্দাদেবী হেরি—আবেশে বলেন গৌরকিশোরী
আজ,–নিশিশেষে দেখেছি সুস্বপন
ব্রজে আসবে ব্রজের জীবন—আজ,–নিশিশেষে দেখেছি সুস্বপন
কাল নিশি পরভাবে—ব্রজে আসবে ব্রজের জীবন
যাও যাও ত্বরা করি’—সবাই কুঞ্জ সাজাও গিয়া
আসবে আমার প্রাণবঁধুয়া–সবাই কুঞ্জ সাজাও গিয়া
ব্রজে আসবে ব্রজের জীবন—কর মঙ্গল আচরণ
নিকুঞ্জের প্রতিদ্বারে—পূর্ণঘট কর স্থাপন
পূর্ণঘট কর স্থাপন—কর কদলী আরোপণ
সাজাও সবে কুঞ্জ ভরি’—বাঁধ,–আম্রপল্লব সারি সারি
আসবে ব্রজের মনমথ—সাজাও সবে কুঞ্জপথ
ও ললিতে ও বিশাখে—সাজাও সবে কুঞ্জপথ
সুগন্ধি-সুকোমল-ফুলে—সাজাও সবে কুঞ্জপথ
সুকোমল-পুষ্প দাও বিছায়ে—যেন,–চলে যেতে লাগে না পায়ে
কুঞ্জবনে বনে বনে—পুষ্প চয়ন কর গিয়া
সুগন্ধি-সুকোমল-পুষ্প—সবে বৃন্তচ্যুত করি’
যেন,–লাগে না আমার বঁধুর পদে—সাজাও সবে কুঞ্জপথ
‘যেন,–লাগে না আমার বঁধুর পদে’—
যখন আসবে কুঞ্জপথে—যেন,–লাগে না আমার বঁধুর পদে
সাজাও নিভৃত নিকুঞ্জ
মনসাধে সবাই মিলে—সাজাও নিভৃত-নিকুঞ্জ
কুঞ্জে আসবে কুঞ্জবিহারী—সাজাও সবে ত্বরা করি’
আজ নিশি পরভাতে—পরাণবঁধু আসবে ব্রজে(মাতন)
দুঃখের নিশি পোহাইবে—ব্রজের জীবন ব্রজে আসবে
ব্রজের জীবন ব্রজে আসবে—সুখের প্রভাত উদয় হবে
পূরাইতে গোপীর মনোরথ—আসবে ব্রজের মনমথ(মাতন)
আসবে আমার প্রাণবঁধুয়া—চল কুঞ্জ সাজাই গিয়া
আসবে আমার প্রাণবঁধুয়া—চল কুঞ্জ সাজাই গিয়া
কাল পাব প্রাণনাথে—কুঞ্জ সাজাই মনোরথে,
কাল পরাণ-বঁধু ধরব বুকে—আজ কুঞ্জ সাজাব সুখে
ব্রজে আসবে ব্রজের জীবন—কাল,–ব্রজবাসী জীবন পাবে (মাতন)
কাল পাব প্রাণনাথে—নীলাচল-ব্রজের পথে
হেরি,–কেলিকদম্ব-মূলে কালা—জুড়াবে গোপীর মনজ্বালা
কাল পরাণ-বঁধু পাব—আজ কুঞ্জ সাজাব গিয়া
স্বরূপ-রামরায়ের করে ধরি’
বলে,–ও ললিতে ও বিশাখে
কুঞ্জ-শয্যা কর সবে
নিজ-নিজ-গণ লয়ে—কুঞ্জ-শয্যা কর সবে
সাজাই সবে মনসাধে
মৃৎকুম্ভ লয়ে কাঁধে
সম্মার্জ্জনী ধরি’ করে—মৃৎকুম্ভ লয়ে কাঁখে
কর হে গুণ্ডিচা মার্জ্জন
গুণ্ডিচা মার্জ্জন কর
গুণ্ডিচামার্জ্জন করে আনন্দ অন্তর।’’
গৌরাঙ্গকিশোরী আমার—গুণ্ডিচা-মার্জ্জন করে
সঙ্গে লয়ে পারিষদ-সহচরী—গুণ্ডিচা,–মার্জ্জন করে গৌরকিশোরী
সাবই,–হরি বলি’ করে মার্জ্জন
সবার মুখে হরিধ্বনি
সবার করে সম্মার্জ্জনী—সবার মুখে হরিধ্বনি (মাতন)
ভাবোন্মাদে ভোরা গোরা
পারিষদ—সহচরী-সঙ্গে—ভাবোন্মাদে ভোরা গোরা
গুণ্ডিচামার্জ্জন আবেশে—ভাবোন্মাদে ভোরা গোরা
পরাণবঁধু আসবে ব’লে—নিকুঞ্জসজ্জা আবেশে
‘পরাণবঁধু আসবে ব’লে—
কাল নিশি পরভাতে—পরাণবঁধু আসবে বসে
নিজ,–পারিষদ-সঙ্গে রঙ্গে ইন্দ্রদ্যুম্নে যায়।।’’
গুণ্ডিচা মার্জ্জন করি’—ইন্দ্রদ্যুম্নে যায় গৌরহরি
গুণ্ডিচা মার্জ্জন করি’—ইন্দ্রদ্যুম্নে যায় রে
‘গুণ্ডিচা মার্জ্জন করি’—
কিশোরী-ভাবাবেশে—গুণ্ডিচামার্জ্জন করি’
মত্ত গোরা ভাবোল্লাসে
কিশোরী-আবেশে –মত্ত গোরা ভাবোল্লাসে
পরাণবঁধু আসবে বলে মত্ত গোরা ভাবোল্লাসে
কুঞ্জ-সজ্জা-আবেশে—মত্ত গোরা ভাবোল্লাসে
লয়ে নিজগণ-সহচরী—ইন্দ্রদ্যুম্নে যায় গৌরকিশোরী
গুণ্ডিচা মার্জ্জন করি—ইন্দ্রদ্যুম্নে যায় গৌরকিশোরী
গৌরাঙ্গকিশেরী আমার—হেলে দুলে যায় রে
লয়ে পারিষদ—গোপনারী—মাঝে নেচে যায় গৌরকিশোরী
যেন,–গোপীমণ্ডলী ঘেরা ভানুদুলারী—মাঝে নেচে যায় গৌরকিশোরী
ব্রজ-মাঝে,–নেচে যেছে গৌরকিশোরী—আমরি কি শোভা মরি মরি
যেন,–গোপীমণ্ডলী-মাঝে ভানুদুলারী—আমরি কি শোভা মরি মরি
স্বরূপ,–রামরায়ের কাঁধে হাত দিয়ে—হে দুলে যায় রে
রাধাভাবে ভোরা প্রাণগোরা—হেলে দুলে যায় রে
বঁধুর,–আগমন কথা কইতে কইতে—হেলে দুলে যায় রে
শোভার বালাই লয়ে মরে যাই—হেলে দুলে যায় রে
যমুনার কালজল হেরি একদিঠে চায়।।’’
রাধাভাবে ভোরা প্রাণগোরা—একদিঠে চায় রে
ইন্দ্রদুম্নের কালজল-পানে—একদিঠে চায় রে
আনন্দে জলকেলি করে নিজগণ-সনে।।
ইন্দ্রদ্যুম্ন-নীরে গোরা পারিষদ-সঙ্গে।
মধুর জলকেলি করে প্রেমতরঙ্গে।।’’
ইন্দ্রদ্যুম্নের নীল-নীরে—গোরা জলকেলি করে
শ্রীরাধাকৃষ্ণৃ-প্রেমবিকারের বারি, উঠতেছে ঢেউ নিরন্তর।
তাতে অদ্বৈত মকর, খেলছে নিরন্তর,
তা দেখে কামকুম্ভীরিণী, হতেছে অন্তর,
নিত্যানন্দপ্রেম-বাতাসেতে, উঠতেছে ঢেউ আনিবার।
শ্রীবাসাদিগদাধর, ঠাকুর-নরহরি আর,
বাসুদেব মুকুন্দদত্ত, স্বরূপদামোদর,
তারা সবে হংস হয়ে, সেই সরোবরে দেয় সাঁতার।
যত নদেনাগরী, তারা যায় সারি সারি,
কার হাতে স্বর্ণ ঝারি, কক্ষে গাগরী,
তারা,–সরোবরে জল আনতে গিয়ে ফিরে আসতে নারে আর।
সেই সরোবরেতে, কি শোভা হয় তাতে,
নীলকমল ঢাকা আছে, স্বর্ণপদ্মেতে।
মধুপানে মত্ত নবীন, মাধাই না পায় কিছু তার।’’
‘‘ইন্দ্রদ্যুম্ননীরে গোরা পারিষদ সঙ্গে।
মধুর জলকেলি করে প্রেমতরঙ্গে।।’’
ইন্দ্রদ্যুম্নে জলকেলি করি গোরারায়।
নিজগণ সঙ্গে লয়ে আইটোটায় যায়।।’’
ইন্দ্রদ্যুম্নে স্নান করি’—আইটোটায় যায় গৌরহরি (
নিজগণ লইয়া করেন প্রসাদ ভোজন।।’’
নিজগণে গৌরহরি—বসাইলা সারি সারি
মহাপ্রসাদ-ভোজন-রঙ্গে—বসাইলা সারি সারি
চারিদিকে পারিষদ ঘেরি’—মাঝে বসিলেন গৌরহরি
নিজগণ-সনে শচীনন্দন—মহাপ্রসাদ করেন ভোজন
স্বরূপগোঁসাই করেন পরিবেশন—মহাপ্রসাদ করেন ভোজন
হরিবলি শ্রীশচীনন্দন—মহাপ্রসাদ করেন ভোজন
নীলাচলে আইটোটায়—আনন্দের পাথার বয়ে যায়
এই আইটোটার উপবনে—আনন্দের পাথার বয়ে যায়
মহাপ্রসাদ ভোজন-লীলায়—আনন্দের পাথার বয়ে যায়
‘‘শ্রীগুরুপ্রেমানন্দে নিতাইগৌরহরিবোল’’