“সই, কে যাবে মথুরাপুর।
এ হেন যাতনা তারে নিবেদিয়ে
তবে পরিহরি দূর।।
কেনে বা অবলা করিয়া বিকলা
সেই সে আছয়ে ভাল।
বরজ-রমণী কূলের কামিনী
তাহার পরাণ গেল।।
কে যাবে যাহ ত কানুর সম্মুখে
তারে দিব এ হার।
গজমতি ছড়া গাথুনি সুসারি
গণনা নাহিক যার।।
এহ হার তার গলায়ে পরাব
কে এত আছয়ে হিতু।”
এক নবরামা কহে ধীরে ধীরে–
“তোরে নিবেদিয়ে কিছু।।
অল্প কটাক্ষে গুপথে যাইব
কেহ সে লখিতে নারে।
দেখাই হইলে যাহাই কহিব
যেবা সে আছে অন্তরে ।।”
সেই নবরামা করিল পয়ান
যেখানে রসিক রায়।
চণ্ডীদাস বলে– “কানু অন্বেষণে
তুরিত গমনে যায়।।”