সভারে সকল কাজে নিয়োজিয়া
আনন্দে নন্দের রাণী।
কানুর শয়ন- ভবনে আসিয়া
কহয়ে মধুর বাণী।।
উঠহ বাছনি মু যাঙ নিছনি
আলস করহ দূর।
আসিয়া ছাওয়াল আঙ্গিনা ভরল
উদয় করিল সূর।।
রামের বসন পরিলা কখন
কে নিল বসন তোর।
রাতা উতপল নয়ন যুগল
কি লাগি দেখিয়ে ভোর।।
নীল-নলিন আতপে মলিন
কেন না এমন দেহ।
উনমত হৈয়া বুলহ ধাইয়া
কু দিঠি দিলে বা কেহ।।
হিয়ার উপর কন্টক আঁচড়
গিয়াছিলা কোন বনে।
আমার কপালে না জানি কি ফলে
পরাণে মরিব মেনে।।
দেবতা কতেক দানব যতেক
ফিরয়ে গহন বনে।
সে সব দেখিল তাহা যে হইল
হেনই বাসই মনে।।
দেবের কারণে মঙ্গলাচরণে
পূজিব সিনান করি।
এ দধি ওদন ব্রাহ্মণে যতনে
ভূঞ্জাব উদর ভরি।।
মায়ের বচনে জাগিয়া তখনে
হাসয়ে গোকুল-রায়।
দেবতা সেবিনী আইলা তখনি
যশোদা বন্দিল পায়।।
রাণীর নন্দন গৌরীর চরণ
সঘনে জপন করে।
শেখরযুগতি শুন যশোমতি
কি ভয় তাহার তরে।।