সুবলে পাইয়া হরষিত বিনোদিনি।
জিজ্ঞাসিলা যত কথা মধুরসবাণী।।
ধনী কহে ওরে সুবল মোর নিবেদন।
কি রূপে যাইব আমি কৈরাছি রন্ধন।।
সুবল বোলয়ে ধনি মোর নিবেদন।
মোর বেশ লৈয়া তুমি করহ গমন।।
আপনার চূড়া সুবল দিল খসাইয়া।
রাধার শিরেতে বান্ধে যতন করিয়া।।
আভরণ রাখে সুবল করিয়া যতনে।
গুঞ্জাহার মকরকুণ্ডল দিলা কানে।।
সুবলের ধড়া রাই কটিতে পরিলা।
অলকাআবৃত ভালে তিলক রচিলা।।
গলায় শ্যামের হার বিরাজিত তায়।
তাহাতে কতেক শোভা কহনে না যায়।।
রাঙ্গা লড়ি হাতে আর চরণে নূপুর।
রাখালের বেশ ধরি অতি সুমধুর।।
নব আভরণ সুবল পরিলা যতনে।
রাই বেশ ধরি সুবল রহিলা রন্ধনে।।
সুবলের বেশে রাই করিলা গমন।
জগন্নাথ দাস হেরি আনন্দিত মন।।

উৎসঃ শ্রীহরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত ‘বৈষ্ণব পদাবলী’ গ্রন্থ থেকে সংগৃহীত।