সখি ঐ দেখ তরণী বাহিয়া যায় শ্যাম।
চূড়ায় ময়ূরের পুচ্ছ, মল্লিকা মালতী গুচ্ছ,
অলকা মিলিত তছু ঠাম।।
তিলক ঝলমল করে, মকর কু্ণ্ডল দোলে
মৃদুভাষ হাসে অনুপাম।
আকর্ণ নয়ন বাণ, কামিনী মরমে হান
সুবলন বাহুর সুঠাম।।
অধরে মুরলী ধরি, কক্ষে কেরোয়াল করি,
উরে মণি বনি বনমাল।
কটিতে কিঙ্কিণী বেড়া, শোভা করে পীতধড়া,
পদে শোভে নূপুর রসাল।।
চরণে চরণ থুইয়া, ললিত ত্রিভঙ্গ হইয়া,
নেহারই রাইক বয়ান।
নবীন গোপিনি-সারি হাতে কেরোয়াল করি,
তরণী বাহাই অবিরাম।।
ঝমকি ঝমকি ঘন ঘন পড়ে কেরোয়াল
রঙ্গিণি কঙ্কণ বাজ।
পদুমিণী যূথে যূথে পঞ্চম গায়ত
শেখর বড় কবিরাজ।।