“সে হেন রসিক ফেলে রবি তথা
মলিন শ্রীমুখ চাঁদ।
যেন সেই বিধু তাহে নাহি মধু
কেবল বিষের ফাঁদ।।
বিষের কাছেতে অমিয়া ঢলকে
কেবল গরল সারা।
যে দেখি তোমার চরিত আবার
বিষম বিপাক ধারা।।
হেন লয় মন শুনহ বচন
এই সে বাসিএ ভাল।
সে হেন নাগর তোমার হুতাশে
বিরহে হয়্যাছে ঢল।।
শীতল পঙ্কজ দল বিছাইয়া
শয়ন করিতে চায়।
বিরহ হুতাশে সেই দল জল
খেণে শুকাইছে গায়।।
সে চুয়া-চন্দন মৃগমদ আদি
লেপন করিতে অঙ্গে।
তাহা খেণে খেণে গরল সমান
শুকাইল দেখ রঙ্গে।।
কমল নয়ান মলিন বয়ান
সঘনে তোঁহারি ধ্যান।
রাধা রাধা বই আন নাহি কই
কিছুই নাহিক জ্ঞান।।
তেজল অঙ্গের নানা আভরণ
ও নব মুকুট চূড়া ।
অতি প্রিয় বাঁশী তাহা পড়ে কতি
আর সে পীতের ধড়া।।
শুনহ সুন্দরী করহ গমন
বিলম্ব না কর রাধা।”
চণ্ডীদাস বলে– “তুমি নাহি গেলে
সকলি হইল বাধা।।”