সৌন্দর্য্য অমৃতসিন্ধু তাহার তরঙ্গবিন্দু
ললনার চিত্তাদ্রি ডুবায়।
কৃষ্ণের যে নর্ম্মকথা সুধু সুধাময় গাথা
কর্ণ তায় নদী হয়ে ধায়।।
কহ সখি কি করি উপায়।
কৃষ্ণেরদ মাধুরীছান্দে সর্ব্বেন্দ্রিয়গণে বান্ধে
বলে পঞ্চেন্দ্রিয় আকর্ষায়।।
নবাম্বুদ জিনি দ্যুতি বসন বিজুরী ভাতি
ত্রিভঙ্গিম রম্যবেশ তায়।
মুখ জিনি পদ্মচাঁদ নয়নকমল ফাঁদ
মোর দিঠি আরতি বাঢ়ায়।।
মেঘ জিনি কণ্ঠধ্বনি তাহে নূপুর কিঙ্কিণী
মুরলি মধুর ধ্বনি তায়।
সনর্ম্ম বচনভাতি রমাদির মোহে মতি
কৃষ্ণস্পৃহা তাহাতে রাঢ়ায়।।
কৃষ্ণের অঙ্গের গন্ধ মৃগমদ করে অন্ধ
কুঙ্কুম চন্দন দিল তায়।
অগুরু কর্পূর তাতে যাহাতে যুবতি মাতে
তাহে মোর নাসা আকর্ষায়।।
বক্ষস্থল পরিসর ইন্দ্রনীল মণিবর
কপাট জিনিয়া তার শোভা।
সুবাহু অর্গলছন্দ কোটিচন্দ্রশীত অঙ্গ।
সেই হয় মোর বক্ষ লোভা।।
কৃষ্ণাধরামৃতময় যার হয় ভাগ্যোদয়
তার লব সেই জন পায়।
কৃষ্ণচর্ব্য পানশেষ জিনিয়া অমৃতাশেষ
তাহে মোর জিহ্বা আকর্ষায়।।
রাধার উৎকন্ঠাবাণী বিশাখা যে তাহা শুনি
কৃষ্ণসঙ্গ উপায় চিন্তিতে।
হেন কালে শুন কথা তুলসী আইলা তথা
পুষ্পগুঞ্জামালার সহিতে।।
কৃষ্ণমাল্য পুষ্প লৈয়া তুলসী হরিষ হৈয়া
আইল অতি তুরিতগমনে।
তারে প্রফুল্লিতা দেখি রাই হইলা মহাসুখী
কহে দাস এ যদুনন্দনে।।