“হাতে হইতে পিছলিআ কুথারে পড়িল গিআ
কোন খানে দেখিতে না পাই।”
আকুল হইআ চিত্তে– “গেলা শিশু কোন ভিতে
মাঝ পথে তুমারে হারাই।।”
কান্দে উচ্চ সুরএ– “পরাণ বের‍্যাতে চাএ
শিশু হয়া এমত বঞ্চনা।
মোথুরা জাইতে সাধ দিলে এত বিসম্বাদ
মাঝ দরিআতে দিলে হানা।।
কি বলিব ঘরে গিআ হেন পুত্র হারাইআ
দৈবকীরে কি বোল বলিব।
মাঝ-পথ জমুনাতে শিশু এড়ি আই তাথে
শুনি হিআ কেমনে পত্যাব।।
ভাল ছিল কংস-পতি জাইথ করিথ গতি
আমি সে করিল কোন কাজ।
আকাশ ভাসিল মুণ্ডে পড়ি জেন এক দণ্ডে
আচানচউক পড়ে বাজ।।
পুন নৌকা আনি জলে ডুবাইল অবহেলে
কি লইআ জাব নিজ-ঘর।
হিআ হইতে নীলমণি কাড়িআ লইল জানি
পাঞ্জরে বিদ্ধিআ লাখ শর।।”
কান্দয়ে করুণা স্বরে হিআ বিদরিআ মরে
তিল মাত্র সোয়াস্ত না পায়।
চৌউদিকে খুঁজিআ বুলে না পাইআ সে ছাআলে
বসুদেব কান্দে উভরায়।।
বাপের করুণা শুনি দআ উপজিল পুনি
দআর দরিআ জদুরায়।
পুন হাতাড়িআ দেখি আসিআ করেতে ঠেকি
শিশু পায়্যা আনন্দ হিআঅ।।
“ঘুচিল অশেষ তাপ কুথারে গেছিলে বাপ
অভাগারে বধিয়া পরাণে।।”
চণ্ডিদাস কহে তায়– “শুন বসুদেব রায়
ঝাট লঞা করহ গমনে।।”