হিয়ায় আগুনি ভরা আঁখে বহে বহু ধারা
দুখে বুক বিদরিয়া যায়।
ঘর পর যে না জানে সে জন্য চলিল বনে
এ তাপ কেমনে সহে মায়।।
আমার জীবন দুলালিয়া।
কিবা ধন নাহি মোরা কেনে বনে যারি তোরা
রাখালে রাখিবে ধেনু লৈয়া।।ধ্রু।।
আমার নয়নের তারা হা পুতীর পুত তোরা
আন্ধল করিয়া যাবি মোরে।
দুধের ছাওয়াল হৈয়া বনে যাবি ধেনু লৈয়া
কি দেখি রহিব আমি ঘরে।।
ননী জিনি তনুখানি আতপে মিলায় জানি
সে ভয়ে সঘন প্রাণ কাঁপে।
বাড়ব অনল পারা বিষম রবির খরা
কেমনে সহিবে তার তাপে।।
কুশের অঙ্কুর বড় শেলের সমান দড়
শুনিতে সিঞ্চিড়া পড়ে গায়।
শিরীষ কুসুমদল জিনিয়া চরণতল
কেমনে ধাইয়া যাবে তায়।।
আর এক শুনি কথা অসুর আছয়ে তথা
ছাওয়াল ধরিয়া ফিরে বনে।
সকল গোয়াল মেলি আমারে কহিল কালি
সে কথা পড়িয়া গেল মনে।।
মায়ের করুণবাণী শুনিয়া গোকুলমণি
কত মত মায়েরে বুঝায়।
বিষাদ না কর মনে কিছু ভয় নাহি বনে
ইথে সাখী এ শেখর রায়।।