হেন বেলে প্রবেশিল পুরে।
শুনি শকটের রোল করে সবে উতরোল
চলে সবে শ্যাম দেখিবারে।।
যশোদা রোহিণী ধায় মৃত তরু যেন প্রায়-
“কোথা কৃষ্ণ হলধর মোর।
দেখিয়ে নয়ন ভরি বদন চুম্বন করি
সুখের নাহিক কিছু ওর।।”
গোপগোপী পুরবাসী চলে সবে প্রেমে ভাসি
কৃষ্ণ-হলধর পূরে।
গিয়ে যমুনার ধারে দেখিল শকট ‘পরে
তাথে নাই কৃষ্ণ-হলধরে।।
বিস্মিত হইয়া চিতে কহে যশোমতী চিতে–
“মোরে তেজি রহে দুই ভাই।।
কি আর পুছহ তোরা কৃষ্ণ বলরাম হারা
রাত্রি দুহুঁ মথুরা-নগরী।
মোর মাথে পড়ে বাজ সাধিতে আপন কাজ
মোরে দিল ডারিয়া পাথারি।।”
শকট হইতে নন্দ পড়িয়ে বিনিয়ে কান্দে
লোরে আঁখি দেখিতে না পায়।
ধরে নন্দঘোষে তুলি চণ্ডীদাস বেয়াকুলি
সব জন ধরিয়া রহায়।।