পদাবলীর কবিত্বরস পরিপূর্ণভাবে উপভোগ করতে হলে লীলাতত্ত্বেরও জ্ঞান থাকা চাই ৷ পদাবলীকে সাধারণ নরনারীর প্রাকৃত প্রেমের কবিতা মনে করে উপভোগ যে করা যায় না তা নয় ৷ নরনারীর প্রেম-জীবনের বীজনিহিত অঙ্কুর থেকে চরম পরিণতি পর্যন্ত সমস্ত বৈচিত্র্যের এমন সূক্ষ্মানুসূক্ষ্ম বিশ্লেষণ ও বিলাস জগতের অন্য কোন প্রেমসাহিত্যে আছে কিনা জানি না ৷ পদাবলী সর্বযুগের সর্বদেশের প্রেমিক-প্রেমিকার মর্মের গভীরতম প্রদেশের সকল অনুভূতিকে ভাষা দিয়েছে৷ প্রেমের এমন গভীর আর্তি, আকুলতা, আকূতি, আত্মবিস্মরণ ও আত্মবিসর্জন কোন সাহিত্যে পাওয়া যায় না ৷ যে আবেদনের সর্বজনীনতা ও অভিব্যক্তির চিরন্তনতা উৎকৃষ্ট সাহিত্যের প্রধান লক্ষণ — পদাবলীতে তার অভাব নেই ৷ সাহিত্যরসিকের পক্ষে এটাই যথেষ্ট ৷
কিন্তু “এহো বাহ্য, আগে কহ আর ৷”