আগেই বলেছি পদাবলী সাধারণ প্রেমকবিতা মাত্র নয় ৷ এর একটা আধ্যাত্মিক সার্থকতা আছে৷ এই সার্থকতা উপলব্ধি করতে পারলে পদাবলীর সাহিত্য-রসোপলব্ধি সম্পূর্ণাঙ্গ হবে ৷ তাহতে এটি উৎকৃষ্ট সাহিত্যের ব্যঞ্জনাঘন স্তরে আরো এক-গ্রাম উপরে উঠে যাবে ৷ পদাবলীর রচনার অঙ্গে সুস্পষ্ট আধ্যাত্মিক ইঙ্গিত কোথাও নেই ৷ এটি থাকলেও সাধক-কবিদের মতে রসাভাস ঘটত৷ আধ্যাত্মিক সার্থকতা পদাবলীর অঙ্গীভূত নয়— ব্যঙ্গীভূত ৷ এটি লীলাতত্ত্ব থেকে আরোপিত অথবা লীলা-তত্ত্বজ্ঞ পাঠকের মন থেকে সঞ্চারিত৷ তত্ত্বজ্ঞ পাঠকের কাছে রাধাকৃষ্ণের প্রেমলীলা— তরুণ-তরুণীর প্রেমবিলাসমাত্র নয়, সচ্চিদানন্দেরই লীলাবিলাস ৷