পদকর্তারা পদাবলীর তত্ত্বগত অনুশাসন লাভ করেছেন প্রধানতঃ বৃন্দাবনবাসী বৈষ্ণব রস-গুরুদের গ্রন্থ থেকে ৷
পদকর্তাদের গুরুস্থানীয় রূপ, সনাতন,জীব গোস্বামী, কবিকর্ণপুর, রায় রামানন্দ ইত্যাদি বৈষ্ণবাচার্যগণ সংস্কৃতে লীলাতত্ত্ব অবলম্বনে কাব্য ও নাটক রচনা করেছিলেন ৷ তাঁদের রচিত উজ্জ্বল -নীলমণি, ভক্তিরসামৃতসিন্ধু, অলঙ্কারকৌস্তুভ ইত্যাদি রসশাস্ত্রের পুস্তকগুলো ভক্তিতত্ত্বের অনুগত সাহিত্য-রচনারই রীতিপদ্ধতি ও পরিচালনা দান করেছে এবং সেই সাহিত্যেরই রসবিশ্লেষণে সহায়তা করেছে ৷ রূপ গোস্বামীর পদাবলী এবং নাটকান্তর্বর্তী শ্লোকগুলোতে তত্ত্ব অপেক্ষা আলঙ্কারিক চাতুর্য ও কবিত্বের মাধুর্যই প্রাধান্য লাভ করেছে ৷ সাহিত্যের পল্লবিত শ্যামল পেলবতায় ভক্তিরস পূজার পুষ্পের মতই বিকশিত হয়েছে ৷ ওগুলো থেকে অনেক পদকর্তা কলা-চাতুর্য ও মাধুর্য-সৃষ্টির আদর্শও লাভ করেছেন ৷