পদাবলীকে রসের দিক দিয়ে তিনটি প্রধান শ্রণিতে ভাগ করা যায় : বাৎসল্যরসের পদ, সখ্যরসের পদ ও মধুররসের পদ। এইগুলো ছাড়া কতগুলো প্রার্থনার পদ আছে। আর কতগুলো পদ আছে সেগুলোর সাথে হয় বৃন্দাবনী প্রকৃতির নয় তো বৃন্দবনবাসীদের সম্বন্ধ। এগুলোতে শ্রীকৃষ্ণের ভাগবতোক্ত বিবিধ লীলার কথা বলা হয়েছে। মধুররসের পদাবলীই কবিত্বরসে সর্বশ্রেষ্ঠ এবং আসল পদাবলী বললে মধুররসের পদাবলীই বোঝায়।
মধুররসের পদাবলী পূর্বরাগ,ওভিসার, মান, রসোদ্গার, আক্ষেপানুরাগ, মাথুর, ভাবসম্মেলন ইত্যাদি বিভিন্ন প্রকরণ শাখায় বিভক্ত। শ্রীরাধাকে মুগ্ধা, মধ্যা, প্রগল্ভা, কলহান্তরিতা, প্রোষিতভর্তৃকা, স্বধীনভর্তৃকা ইত্যদি বিবিধ ধরণের নায়িকারূপে পরিকল্পনা করে পদাবলী রচিত হয়েছে— অতএব নায়িকাভেদেও পদাবলীর একটা বিভাগ ঘটে যায়।