ব্রজলীলার পদে ঐশ্বর্যভাব মিশ্রিত থাকলে তাতে রসাভাসের সঞ্চার হয়— এটা একটা অনুশাসন ৷ এই অনুশাসন পদকর্তারা অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছেন ৷ কেবল তাই নয় ঐশ্বর্যভাব থেকে চিত্তকে বহু দূরে নিয়ে যাবার জন্য কবিরা শ্রীকৃষ্ণকে কেবল প্রাকৃত প্রেমমুগ্ধ মানুষ করে তোলেননি, কামুক লম্পট করেও তুলেছেন ৷ কৃষ্ণকীর্তনের কবি কেবল দেবত্ব হরণ করেননি, মনুষ্যত্ব পর্যন্ত হরণ করেছেন ৷ মোট কথা, শ্রীকৃষ্ণকে পুরো রক্তমাংসের মানুষ বানাবার জন্য কবিরাজরা মকরধ্বজের সহায়তা নিয়ে একটু বাড়াবাড়িও করেছেন ৷