কৃষ্ণ-বাসুদেবের বিকাশের ইতিহাস পুরাণ-সাহিত্য থেকে অল্পই জানা যায়৷ ডঃ হেমচন্দ্র রায়চৌধুরীর অভিমত যে, মোটামুটিভাবে (১) ছান্দোগ্য উপনিষৎ, (২) পতঞ্জলির মহাভাষ্য, (“হেতুমতি চ” –৩৷১৷২৬ পাণিনীয় সূত্রের ভাষ্যে মহর্ষি পতঞ্জলি কংসভক্ত ও বাসুদেব ভক্ত-সম্প্রদায়ের কথা উল্লেখ করেছেন ৷) (৩) বৌদ্ধ-ঘটজাতক ও জৈন উত্তরাধ্যয়ণসূত্র ( ৪) মহাভারত, ও হরিবংশ, (৫) কতকগুলি পুরাণ ও (৬) কোন কোন সম্প্রদায়গত উপনিষৎ থেকে কৃষ্ণ-বাসুদেব-সম্বন্ধে আমরা তথ্য সংগ্রহ করতে পারি৷ ডঃ শ্রীসুশীলকুমার দে প্রাচীন বিষ্ণুধর্ম ও মহাভারতের নারায়ণীয় আলোচনাসম্পর্কে “Early History of the Vaisnava-Faith and Movement in Bengal (1942)–গ্রন্থে বলেছেন ঃ “Stretching into the early Vaisnavism and Narayaniya worship of the Mahabharata, it loses itself in complex body of myth, legend, superstition, belief, sentiment and philosophy, but it emerges in a more or less definite from in the Bhugavatism and Krishma-Vasudeva worship of the Bagavad-Gita. On this basis, it was systematised and erected into a philosopheme in such late Bhakti-works as the Narada-Sandilya-Sutras, and it continued as a doctrine till about the end of eighth century A.D. when the theory of spiritual non-dualism and world-illusion promulgated by the great Sankaracharya and his followers appears to have imperilled its dualistic metaphysical foundation ৷” (Vide, p. 2)
বৌদ্ধযুগপূর্ব ছান্দোগ্য-উপনিষদে দেবকীপুত্র কৃষ্ণের উল্লেখ আছে ঃ “তদ্ধৈতদ্‌ঘোর-আঙ্গিরসঃ কৃষ্ণায় দেবকীপুত্রায়োক্ত্বোবাচ, অপিপাস এব স বভূব, * * তত্রৈতে দ্বে ঋচৌ ভবতঃ” (৩।১৭।৬) ৷ আচার্য শঙ্কর এয় ভাষ্যে লিখেছেন ঃ “তদ্ধৈতৎ যজ্ঞদর্শনং ঘোরো নামত আঙ্গিরসো গোত্রতঃ কৃষ্ণায় দেবকীপুত্রায় শিষ্যায় উত্ত্বা উবাচ * *” — অর্থাৎ অঙ্গিরা নামক ঋষির বংশজাত “ঘোর”-নামে ঋষি নিজ শিষ্য দেবকীপুত্র শ্রীকৃষ্ণকে যজ্ঞ-বিষয়ক জ্ঞানের উপদেশ দিয়ে তিনটি মন্ত্র দান করেছিলেন এবং সে তিনটি মন্ত্র হোল ঃ (১) অক্ষিতমসি, (২) অচ্যুতমসি, (৩) প্রাণসংশিতমসি ৷ এই মন্ত্র-তিনটির অর্থ (১) পরিপূর্ণ, (২) অক্ষয়, ও (৩) প্রাণরূপে সূক্ষ্মতত্ত্ব ৷ কিন্তু উপনিষদের এই পূর্ণ , অক্ষয় ও সূক্ষ্ম প্রাণমন্ত্রের অধিকারী দেবকীপুত্র কৃষ্ণ কে ? পণ্ডিত মোক্ষ-মূলার, গ্রিয়ারসন, গার্বে প্রভৃতি পাশ্চ্যত্য পণ্ডিতরা এই কৃষ্ণকেই পৌরাণিক গোপীজনবল্লভ শ্রীকৃষ্ণ বলে প্রতিপন্ন করেছেন, কিন্তু অধ্যাপক কিথ, ম্যাক্‌ডোনেল প্রভৃতি মনীষীরা এই মন্তব্য গ্রহণ করেন নি৷ অধ্যাপক কিথ প্রভৃতির অভিমতে ছান্দোগ্য-উপনিষদে উল্লিখিত “কৃষ্ণ” ব্রাহ্মণ্যধর্মের বৈর বা বিপরীতধর্মী ক্ষত্রিয়-উপদেষ্টা — “A Kshatriya teacher of morals, as opposed to Brahminism”৷ (স্বর্গত ডঃ বিমানবিহারী মজুমদারও শ্রীকৃষ্ণ-সম্বন্ধে (ঐতিহাসিক ও তাত্ত্বিক) আলোচনা করেছেন তাঁর গ্রন্থে (কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত)৷
ডঃ জিতেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় দেবকীপুত্র “কৃষ্ণ”-সম্পর্কে আলোচনাসূত্রে মোটামুটি অনুরূপ সিদ্ধান্তই করেছেন৷ তিনি বলেছেন ঃ “ঋগ্বেদের সূত্রসমূহে এবং অল্পপরবর্তী বৈদিক সাহিত্যে “বাসুদেব”-নামটির কোন উল্লেখ না থাকিলেও “কৃষ্ণ”-নামধারী বিভিন্ন গোত্রীয় ঋষিগণের নাম দেখিতে পাওয়া যায়৷ ঋগ্বেদে প্রথম মণ্ডলের ১১৬ এবং ১১৭সূক্তে বিশ্বকায়ের পিতা ঋষি-কৃষ্ণের নাম পাওয়া যায়, আবার ঐ বেদের অষ্টম মণ্ডলের ৯৬ সূক্তে অংশুমতীনদীতীরবর্তী জনপদনিবাসী অন্য এক -কৃষ্ণ -ঋষির নামের সন্ধান পাই৷ কৌশিতকীব্রাহ্মণের এক অংশে (৩০।৯) আঙ্গিরসগোত্রীয় এবং ঐতরেয়-আরণ্যকে (৩।২,৬) হারীতগোত্রসম্ভুত দুইজন কৃষ্ণের উল্লেখ আছে ৷ কিন্তু এই সব কৃষ্ণ-ঋষিগণের সহিত মহাকাব্যোক্ত সাত্ত্বত বা বৃষ্ণিবীর ভগবান বাসুদেব -কৃষ্ণের কোনরূপ সাক্ষাৎ সম্পর্ক থাকা সম্ভবপর বলিয়া মনে হয় না৷” (পঞ্চোপাসনা, পৃঃ ৪২-৪৩) শ্রীনিবাস আয়াঙ্গার, ডঃ রাধাকৃষ্ণণ প্রভৃতি মনীষীরা কিন্তু অংশুমতীতীরবাসী কৃষ্ণের সঙ্গে বাসুদেব-কৃষ্ণের ঐক্য স্বীকার করেছেন, কেননা তাঁদের মতে, অংশুমতী এবং যমুনা এক ও অভিন্ন নদী৷ আবার ডঃ বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন ঃ “কিন্তু হেমচন্দ্র রায়চৌধুরী মহাশয় যথার্থই বলিয়াছেন যে, অংশুমতী ও যমুনা যে বিভিন্ন নদী ইহা “বৃহদ্দেবতা”-গ্রন্থ হইতে সমর্থিত হয় এবং এজন্য ঋগ্বেদের অন্যতম কৃষ্ণের সহিত মহাকাব্যের বাসুদেব-কৃষ্ণের একীকরণ সমর্থনযোগ্য নহে৷” (পঞ্চোপাসনা, পৃঃ ৪৩)
ছান্দোগ্য-উপনিষদের ৩৷১৭৷৬ মন্ত্রে ঋষি ঘোর-আঙ্গিরসের শিষ্য দেবকীপুত্র কৃষ্ণের কথা আমরা উল্লেখ করেছি৷ মহাভারতেও অনুরূপ উল্লেখ পাওযা যায়৷ ডঃ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন ঃ “উপনিষদোক্ত কৃষ্ণ ও বাসুদেব-কৃষ্ণ যে একই ব্যক্তি সে বিষয়ে সন্দেহের বিশেষ কোন কারণ নাই, যেহেতু উভয়েই দেবকীর পুত্র বলিয়া বর্ণিত৷” তিনি আরো বলেছেন ঃ “গীতোক্ত ভগবান কৃষ্ণ এবং ছান্দোগ্য-উপনিষদের আঙ্গিরস-শিষ্য কৃষ্ণ যে একই ব্যক্তি উহা উভয়ে কেবল দেবকী-সন্তান বলিয়াই প্রমাণিত হইতেছে না৷ আঙ্গিরসগোত্রীয় ঘোষ-ঋষির নিকট হইতে কৃষ্ণ যে বিদ্যা ও জ্ঞান অর্জন করিয়াছিলেন, শ্রীমদ্ভাগবদ্‌গীতায় ভগবান শ্রীকৃষ্ণ-কর্তৃক অর্জুনকে প্রদত্ত উপদেশাবলীর মধ্যে উহা সমস্তই নিহিত আছে ৷ (Cf. Materials for the Study of the Early History of the Vaisnava Sect. (2nd ed.), pp. 78-82.) ঐতিহাসিক হেমচন্দ্র রায়চৌধুরীও অনুরূপ সিদ্ধান্ত করেছেন ৷ কিন্তু পূর্বেই উল্লেখ করেছি যে, অধিকাংশ পাশ্চত্য মনীষীরা এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন নি৷ ঋগ্বেদের ১৷১৫৪৷১-৬ — ১৷৫৬৷১-৬ মন্ত্রগুলির মতো ১৷২২৷১৮ — ১৯ মন্ত্রগুলিতেও ব্যাপনশীল “বিষ্ণু”-র নামের উল্লেখ আছে এবং সেখানে বলা হয়েছে “বিষ্ণুঃ গোপাঃ” ৷ ঋক্‌মন্ত্র ১৷২২৷৮-৯ হল —
ত্রীণি পদা বিচক্রমে বিষ্ণুঃ গোপাঃ অদাভ্যঃ ৷
অতো ধর্মানি ধারয়ন্‌ ৷ ১৮
বিষ্ণোঃ কর্মানি পশ্যত যতো ব্রতানিপস্পর্শে৷
ইন্দ্রস্যযুজ্যঃ সখা ৷ ১৯
ভাষ্যকার সায়ণ ১৷২২৷১৮ ঋক্‌মন্ত্রের প্রসঙ্গে বলেছেন ঃ অদাভ্যঃ কেনাপিহিংসিতুমশক্যঃ গোপাঃ সর্বস্য জগত্যেরক্ষকোবিষ্ণুঃ পৃথিব্যাদিস্থানেসু অত এতেষু ত্রীণি পদানি বিচক্রমে কিংকুর্বন্‌ * * ৷ গোপাঃ গোপামৃতস্যেত্যক্রোক্তম্ ৷”” ১৷২২৷২০-২১ ঋক্‌মন্ত্র -দুটিতেও বিষ্ণুর উদ্দেশ্যে “পরম” শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে৷ পূর্বেই আলোচিত হয়েছে যে, অনেক পণ্ডিতই “গোপ শব্দটির অর্থ করেছেন গোপালক — “গোপাল” ও “গোবিন্দ”৷ এই সম্বন্ধে আমরা পূর্বেও কিছুটা আলোচনা করেছি৷ কিন্তু ভাষ্যকার আচার্য সায়ণ ১৷১৫৪-১৫৬৷৪-৫ ঋক্‌মন্ত্রের অনুরূপ ১৷২২৷১৮-৯ ঋক্‌মন্ত্রেরও অর্থ করেছেন — ত্রিবিক্রম বামন-বিষ্ণু ৷ শতপথব্রাহ্মণেও (১৷২৷৫৷৫) বিষ্ণু “বামন” নামে অভিহিত এবং মহাভারতে (১২৷৪৩৷১২)কৃষ্ণকেই “বামন” বলা হয়েছে৷ বৌধায়নধর্মসূত্রে (২৷৫৷২৪) বিষ্ণুকে কৃষ্ণ ও বাসুদেবের পরিবর্তে “গোবিন্দ” বলা হয়েছে ৷ অধ্যাপক কিথ ও ম্যাকডোনেল বলেন যে, ঋগ্বেদের ঐ “বিষ্ণুঃ গোপাঃ” (১৷২২৷১৮) মন্ত্রের মধ্যেই বিষ্ণুর “গোবিন্দ”– নামের বীজ নিহিত রয়েছে ৷ খ্রীষ্টীয় ৪র্থ শতকে মহারাজ সমদ্রুগুপ্ত-কর্তৃক উৎকীর্ণ এলাহাবাদ-স্তম্ভলিপিতেও “বিষ্ণু-গোপ” নামের উল্লেখ দেখা যায়৷ এখানে “বিষ্ণু” বা “গোবিন্দ” কৃষ্ণ-বাসুদেব বা কৃষ্ণ নাম থেকে সাধারণত ভিন্ন বলে প্রতীত হলেও বৈদিক সাহিত্যের অনেক জায়গায় এবং পুরাণেও বিষ্ণুকে “কৃষ্ণ-বাসুদেব” নামে উল্লেখ করা হয়েছে৷ সর্বনাথের তাম্রলিপির কথা ছেড়ে দিলেও “চুল্লনির্দেশ” ও “মহানির্দেশ” নামে দুটি বৌদ্ধ-নির্দেশে স্পষ্টভাবে “বাসুদেব্বটিকা” ও “বলদেব্বটিকা” নামের উল্লেখ অছে৷ তাছাড়া সর্বনাথের তাম্রলিপি থেকে প্রমাণ হয় যে, আদিত্য ভট্টারক তথা সূর্যোপাসক সৌর-সম্প্রদায়ের পাশাপাশি ভগবত বা ভাগবত-সম্প্রদায়েরও অস্তিত্ব ছিল৷ চুল্লনির্দেশ ও মহানির্দেশ থেকে প্রমাণ হয়, বাসুদেব বা কৃষ্ণ-বাসুদেব ও বলদেব বা সঙ্কর্ষণ-দেবতাদের উপাসক-সম্প্রদায়েরাও বৌদ্ধযুগে তথা খ্রীষ্টপূর্ব যুগে বর্তমান ছিলেন৷ অধিকাংশ পণ্ডিতের অভিমত যে, সাত্ত্বতাদি ভাগবত ও পঞ্চরাত্র -নির্দিষ্ট বাসুদেব ও সঙ্কর্ষণই খ্রীষ্ট্রীয় শতকে পৌরাণিক যুগে কৃষ্ণ ও বলরাম বা বলদেবে রূপান্তরিত হয়েছিলেন৷ সুতরাং সকল দিক থেকে বিচার করলে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, বেদের যজ্ঞসম্পর্কিত সৌরদেবতা বিষ্ণুই বাসুদেব বা কৃষ্ণ-বাসুদেব শ্রীকৃষ্ণে রূপান্তরিত হয়েছিলেন৷
এই সম্পর্কে ডঃ সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত-লিখিত A History of Indian Philosophy, Vol II (1932) গ্রন্থে “Visnu, Vasudeva and Krisna” বিষয়ক আলোচনার কিছু অংশ উদ্ধৃত করি৷ ডঃ দাশগুপ্ত বলেছেন ঃ “Visnu, Bhagavat, Narayana Hari and Krishna are often used in a large section of Indian religious literature as synonymous names of the Supremen Lord. Of these, Visnu is an important god of the Rig-veda who is one of the adityas, and who makes three strides in the sky, probably as he manifests himself in the eastern horizon, as he rises to the zenith and as he sets in the west. He is also represented in the Rig-veda as a great fighter and an ally of Indra. It is further said that he has two earthy steps and another higher step which is known only to himself. But, in the Rig-veda, Visnu is certainly inferior to Indra,with whom he was often associated, as is evident from such names as Indra-Visnu (R.V. iv, 55.4;vii. 99.5, viii. 10 2, etc.). According to later tradition Visnu was the youngest, the twelfth of the adityas * *. Again is the Taittiriyasamhita, 1.7.5 4, in the Vajasaneya-samhita, 1.30; 1.68; V, 21, in the Atharva-veda, V. 16.7 VIII. 5.10 etc. Visnu isreferred to as the chief of the gods (Visnumultha deva). * * The word Vaisnava is used in the literal sense of “belonging to Visnu” in the Vajasaneya-samhita, 111. 38; Satapatha-brahmana, 1.1. 1.9; III. 532. etc., but the use of the word in the sense of sect of religion is ont to be found anywhere in the earlier literature. * * In the Satapatha-brahmana, XIV.3.4, Purusa isidentified with Narayana(“narayanam prajapatir uvacha”)**. The etymological definition of narayana as “one who has descended from man (nara)” as herein suggested in accordance with Panini, IV. 4.99, is not, however, accepted everywhere. Thus, I, 10, derives narayana from nara meaninig “water” and ayana meaning, abode, and nara (water),again, is explained as “that which has descended from nara”, or supreme man, The Mahabharata, III, 12, 952 and 15819 and XII 13. 198, accepts Manu”s derivation, but in V 2568, it saya that the supreme God is called narayana, because he is also the refuge of men. The Taittiriya-aranyaka XI 1 ^, identifies narayana with Vasudeva and Visnu.
“The word Bhagavata,in the sense of blissful and happy, is a very old one and is used in the Rig-veda, 1.194-40; VII.41, 4; 60. 12 and other such early literature, it came to denote Visnu or Vasudeva, and the word Bhagavata denoted the religious sect which regarded Visnu as their supreme god, * * ৷ (A History of Indian Philosophy,Vol. II (1932)pp. 535-44.) মহাভারতে বিষ্ণু বা নারায়ণের কৃষ্ণ, জনার্দন, কেশব, হরি প্রভৃতি নামের উল্লেখ পাওয়া যায়৷ তাই মনে হয় যে, বিষ্ণু, বাসুদেব, হরি, জনার্দন, নারায়ণ প্রভৃতি দেবতা পরবর্তীকালে ও বিশেষ করে শ্রীমদ্ভাগবতে ও গৌড়ীয়-বৈষ্ণবগ্রন্থাবলীতে কৃষ্ণ-দেবতায় পরিণত বা রূপান্তরিত হয়েছে৷ পরবর্তী কালে কৃষ্ণ ধাতুর অর্থ আকর্ষণ থেকে সর্বধারক ও সর্বপালক “কৃষ্ণ” বা শ্রীকৃষ্ণ-শব্দের সৃষ্টি হয়েছিল৷