অভিসার কীর্ত্তন

শ্রীধাম নবদ্বীপ শ্রীরাধারমণ-বাগে—

(১৩৩0 সাল ১৭ই ফাল্গুন শুক্রবার রাত্র ৯-১২টা পর্যন্ত।)

‘ভজ, নিতাই গৌর রাধে শ্যাম।
জপ, হরে কৃষ্ণ হরে রাম।।’’

(আমাদের,–নিতাই রাধা, গৌর শ্যাম)

আমাদের আমাদের আমাদের গো।–

(আমাদের,–নিতাই রাধা, গৌর শ্যাম) [ঝুমুর]

ভিনু ভিনু তনু একই পরাণ।–

(আমাদের,–নিতাই রাধা, গৌর শ্যাম)

দোঁহার পরাণে পরাণ বাঁধা।–

(আমাদের,–নিতাই রাধা, গৌর শ্যাম)

দোঁহা দোঁহার অঙ্গ আধা।–

(আমাদের,–নিতাই রাধা, গৌর শ্যাম)

দোঁহার, মিলন লাগি’ দোঁহে ব্যাকুলিত চিত।–

(আমাদের,–নিতাই রাধা, গৌর শ্যাম)

দোঁহার,–দরশনে দোঁহে উৎকণ্ঠিত।–

(আমাদের,–নিতাই রাধা, গৌর শ্যাম)

এক-পলকে, অদর্শনে দোঁহে প্রলয় গণে।–

(আমাদের,–নিতাই রাধা, গৌর শ্যাম)

দোঁহার,–অদর্শনে দোঁহে প্রলয় গণে।–

(আমাদের,–নিতাই রাধা, গৌর শ্যাম)

দোঁহে দোঁহায়,–হিয়ায় রেখে হারায়ে যায় গো।–

(আমাদের,–নিতাই রাধা, গৌর শ্যাম)

মহাভাব-রসের মূরতি দুটী।–

(আমাদের,–নিতাই রাধা, গৌর শ্যাম)

আমাদের আমাদের আমাদের গো।–

(আমাদের,–নিতাই রাধা, গৌর শ্যাম)

[ঝুমুর]
‘‘সখী সঙ্গে ছিল রাই কৃষ্ণ-কথা আলাপনে।।’’

(আমাদের,–নিতাই রাধা, গৌর শ্যাম)

‘‘হেন কালে শ্যামের বাঁশী বাজ্‌ল বিপিনে।।’’—

(আমাদের,–নিতাই রাধা, গৌর শ্যাম)

বাঁশী বাজ্‌ল, জয় রাধে শ্রীরাধে বলে।।

(আমাদের,–নিতাই রাধা, গৌর শ্যাম)

বাঁশী শুনি’ চমকিয়া উঠ্‌ল ধনী।–

(আমাদের,–নিতাই রাধা, গৌর শ্যাম)

রাই যেন বাণে বেঁধা হরিণী।–

(আমাদের,–নিতাই রাধা, গৌর শ্যাম)

বাঁশরী শুনি’ কিশোরী উঠিল শিহরি’।–

(আমাদের,–নিতাই রাধা, গৌর শ্যাম)

‘‘খসিল নীবিবন্ধ, এলাল কবরী।’’–

(আমাদের,–নিতাই রাধা, গৌর শ্যাম)

‘‘ললিতার করে ধরে বলে ‘হরি হরি’।।‘

(আমাদের,–নিতাই রাধা, গৌর শ্যাম)

সহচরি,–আর যে ঘরে রইতে নারি।

(আমাদের,–নিতাই রাধা, গৌর শ্যাম)

ঐ শুন, বাজ্‌ল শ্যামের সঙ্কেত-বাঁশরী।

(আমাদের,–নিতাই রাধা, গৌর শ্যাম)

ঐ বাজে গোকূল-মঙ্গল-বংশী।–

(আমাদের,–নিতাই রাধা, গৌর শ্যাম)

আয় তোরা, কে যাবি গো আমার সঙ্গে।

(আমাদের,–নিতাই রাধা, গৌর শ্যাম)

কে কে যাবি বিপিন-বিহার-রঙ্গে।–

(আমাদের,–নিতাই রাধা, গৌর শ্যাম)

কে যাবি ভেটিতে শ্যাম-ত্রিভঙ্গে।–

(আমাদের,–নিতাই রাধা, গৌর শ্যাম)

এত বলি’ ধেয়ে চলিল ধনী।–

(আমাদের,–নিতাই রাধা, গৌর শ্যাম)

ধেয়ে চলিল রাই পাগলিনী।–

(আমাদের,–নিতাই রাধা, গৌর শ্যাম)

ললিতা বলে—অমনি কেন যাবি গো রাধে।–

(আমাদের,–নিতাই রাধা, গৌর শ্যাম)

ছি ছি, শ্যাম-নাগর দেখ্‌লে কী বা বল্‌বে।

(আমাদের,–নিতাই রাধা, গৌর শ্যাম)

বল্‌বে ও-মা, রাইএর বুঝি দাসী নাই গো।

(আমাদের,–নিতাই রাধা, গৌর শ্যাম)

কেন,–বনে যাবি গো একাকিনী।–

(আমাদের,–নিতাই রাধা, গৌর শ্যাম)

রাধে,–আমরা যে তোমার চির-সঙ্গিনী।–

(আমাদের,–নিতাই রাধা, গৌর শ্যাম)

আয় তোরে, ভাল করে সাজায়ে দিই গো।

(আমাদের,–নিতাই রাধা, গৌর শ্যাম)

তোর সেবা বিনে,–আমাদের আর কী ধন আছে।–

(আমাদের,–নিতাই রাধা, গৌর শ্যাম)

তোর,–সেবা লাগি’ ঘর পর করেছি।–

(আমাদের,–নিতাই রাধা, গৌর শ্যাম)

তোর,–সেবা লাগি’ রাতি দিবস করেছি–

(আমাদের,–নিতাই রাধা, গৌর শ্যাম)

তোর,–সেবা লাগি’ বন ঘর করেছি।

(আমাদের,–নিতাই রাধা, গৌর শ্যাম)

আয় তোরে,–ভাল করে সাজায়ে দিই গো।–

(আমাদের,–নিতাই রাধা, গৌর শ্যাম)

এত বলি,–ললিতা উল্লাস-প্রাণী।–

(আমাদের,–নিতাই রাধা, গৌর শ্যাম)

সুবর্ণের চিরুণী আনি।–

(আমাদের,–নিতাই রাধা, গৌর শ্যাম)

সাধে সাধে,–আঁচ্‌ড়ায় রাইএর চুলে।–

(আমাদের,–নিতাই রাধা, গৌর শ্যাম)

চুল আঁচ্‌ড়ায়, বাম-হাতে এক ফের দিয়ে।

(আমাদের,–নিতাই রাধা, গৌর শ্যাম)

পাছে, কমলিনীর মাথায় লাগ্‌বে বলে।

(আমাদের,–নিতাই রাধা, গৌর শ্যাম)

তখন,–বিশাখা সখী ধেয়ে এল।–

(আমাদের,–নিতাই রাধা, গৌর শ্যাম)

বলে,–একবার তুমি সর গো ললিতে।

(আমাদের,–নিতাই রাধা, গৌর শ্যাম)

ও’ ললিতে, আজ্‌কার সেবা আমি কি পাব না।

(আমাদের,–নিতাই রাধা, গৌর শ্যাম)

এত বলি,’—বিশাখা করবী বাঁধে।–

(আমাদের,–নিতাই রাধা, গৌর শ্যাম)

করবী বাঁধে, মনোহরের মনোমহন-ছাঁদে।

(আমাদের,–নিতাই রাধা, গৌর শ্যাম)

করবী বাঁধে, সারি সারি দিয়ে নানা-ফুলে।

(আমাদের,–নিতাই রাধা, গৌর শ্যাম)

তখন,–চিত্রা সখী সময় জানি’।–

(আমাদের,–নিতাই রাধা, গৌর শ্যাম)

আমরি,–সুবর্ণের সিঁথী আনি।–

(আমাদের,–নিতাই রাধা, গৌর শ্যাম)

পরায় রাইএর সিঁথী-মূলে।–

(আমাদের,–নিতাই রাধা, গৌর শ্যাম)

তখন,–চম্পকলতিকা ধনী।–

(আমাদের,–নিতাই রাধা, গৌর শ্যাম)

আমরি,–অপূর্ব্ব-সিন্দুর আনি।–

(আমাদের,–নিতাই রাধা, গৌর শ্যাম)

মন-সাধে, পরাওল রাইএর ভালে।

(আমাদের,–নিতাই রাধা, গৌর শ্যাম)

হল যেন, ভানুর উদয় রাই-চাঁদের কপালে।

(আমাদের,–নিতাই রাধা, গৌর শ্যাম)

চাঁদের কপালে ভানু হল পুষ্পবন্ত–

(আমাদের,–নিতাই রাধা, গৌর শ্যাম)

তখন,–সুদেবী হরিষ হইয়া।–

(আমাদের,–নিতাই রাধা, গৌর শ্যাম)

আমরি,–গজমতি-হার লইয়া।–

(আমাদের,–নিতাই রাধা, গৌর শ্যাম)

রাইএর,–গলায় দিয়ে চেয়ে রইল।

(আমাদের,–নিতাই রাধা, গৌর শ্যাম)

শোভা দেখে’ আঁখি পালটিতে নারে।

(আমাদের,–নিতাই রাধা, গৌর শ্যাম)

তখন,–নানা-রত্ন কর্ণ-মূলে।–

(আমাদের,–নিতাই রাধা, গৌর শ্যাম)

মন-সাধে,–রঙ্গদেবী পরাইলে।–

(আমাদের,–নিতাই রাধা, গৌর শ্যাম)

তার, কতই শোভা কহনে না যায়।

(আমাদের,–নিতাই রাধা, গৌর শ্যাম)

যত বাকী আভরণ ছিল।–

(আমাদের,–নিতাই রাধা, গৌর শ্যাম)

সে সব,–তুঙ্গবিদ্যা পরাইল।–-

(আমাদের,–নিতাই রাধা, গৌর শ্যাম)

ছুটে এসে,–ইন্দুরেখা নূপুর পরায়।

(আমাদের,–নিতাই রাধা, গৌর শ্যাম)

নূপুর পরায়, রাতুল-চরণ হৃদয়ে ধরে।

(আমাদের,–নিতাই রাধা, গৌর শ্যাম)

একবার একবার, রসের বদন-পানে চেয়ে।

(আমাদের,–নিতাই রাধা, গৌর শ্যাম)

বলে,–যা যা নূপুর তুই খসে যা রে।

(আমাদের,–নিতাই রাধা, গৌর শ্যাম)

খসে যারে,–নূপুর আমি আবার পরাই।–

(আমাদের,–নিতাই রাধা, গৌর শ্যাম)

পরাবার ছলে, খানিক চরণ হৃদয়ে রাখি।

(আমাদের,–নিতাই রাধা, গৌর শ্যাম)
(সাজল রে,–নিতাই রাধা, গৌর শ্যাম) [ঝুমুর]

সাজল ধনী চন্দ্রবদনী।–

(সাজল রে,–নিতাই রাধা, গৌর শ্যাম)

আমরি,–সাজল শ্যাম-দরশ-আশে।–

(সাজল রে,–নিতাই রাধা, গৌর শ্যাম)

যত,–সঙ্গিনীগণ রঙ্গিণী সব।–

(সাজল রে,–নিতাই রাধা, গৌর শ্যাম)

ঘেরল রাইএর চারি-পাশে।–

(সাজল রে,–নিতাই রাধা, গৌর শ্যাম)

‘‘শ্যাম-অভিসারে চলু বিনোদিনী রাধা।’’

(সাজল রে,–নিতাই রাধা, গৌর শ্যাম)

‘‘নীল-বসনে মুখ ঝাঁপিয়াছে আধা।’’

(সাজল রে,–নিতাই রাধা, গৌর শ্যাম)

রাই যেন,–থির-বিজুরী লুকায়ে যায় রে।–

(সাজল রে,–নিতাই রাধা, গৌর শ্যাম)

নীল-বসন-মেঘের আড়ে—রাই যেন,–থির-বিজুরী লুকায়ে যায় রে।—

(সাজল রে,–নিতাই রাধা, গৌর শ্যাম)

‘‘সুকুঞ্চিত ত-কেশে রাই বনায়েছে কবরী।’’

(সাজল রে,–নিতাই রাধা, গৌর শ্যাম)

‘‘কুন্তলে বকুলমালা গুঞ্জরে ভ্রমরী।।’’–

(সাজল রে,–নিতাই রাধা, গৌর শ্যাম)

ললিতা বলে, আঁচলে বদন ঢেঁকে চল গো।

(সাজল রে,–নিতাই রাধা, গৌর শ্যাম)

ঐ দেখ, চকোর বিধুন্তুদ লুব্ধ হতেছে।

(সাজল রে,–নিতাই রাধা, গৌর শ্যাম)

বদন ঢেঁকে আনত আনত চল।

(সাজল রে,–নিতাই রাধা, গৌর শ্যাম)

আমাদের,–রাইএর কনক-মূকুর-কাঁতি।–

(সাজল রে,–নিতাই রাধা, গৌর শ্যাম)

শ্যাম বিলসিতে তনু রাইএর।–

(সাজল রে,–নিতাই রাধা, গৌর শ্যাম)

আমরি,–সাজিয়াছে কত ভাতি।–

(সাজল রে,–নিতাই রাধা, গৌর শ্যাম)

যায়,–সখীরি অঙ্গে অঙ্গ হেলাইয়ে।

(সাজল রে,–নিতাই রাধা, গৌর শ্যাম)

যায়, ললিতা-বিশাখার কাঁধে হাত দিয়ে।

(সাজল রে,–নিতাই রাধা, গৌর শ্যাম)

যায়,–শ্যাম-বঁধূর কথা পরসঙ্গে।–

(সাজল রে,–নিতাই রাধা, গৌর শ্যাম)

প্রতি, পদ-বিক্ষেপে মূরছি কোটি-অনঙ্গে।

(সাজল রে,–নিতাই রাধা, গৌর শ্যাম)

যায় রে, মদনমোহন-মোহিনী ধনী।

(সাজল রে,–নিতাই রাধা, গৌর শ্যাম)

বলে সখী, আর যে আমি চলতে নারি।

(সাজল রে,–নিতাই রাধা, গৌর শ্যাম)

বল বল,–বৃন্দাবন আর কত দূরে।

(সাজল রে,–নিতাই রাধা, গৌর শ্যাম)

যায়,–সখীর অঙ্গে অঙ্গ হেলাইয়ে।–

(সাজল রে,–নিতাই রাধা, গৌর শ্যাম)

‘‘বৃন্দাবনে প্রবেশিল রাই শ্যাম-জয় দিয়ে।’’

(সাজল রে,–নিতাই রাধা, গৌর শ্যাম)

‘‘বৃন্দাবনে প্রবেশিয়া ধনী ইতি উতি চায়।’’

(সাজল রে,–নিতাই রাধা, গৌর শ্যাম)

‘‘মাধবীতরুর তলে দেখে শ্যাম-রায়।।’’

(সাজল রে,–নিতাই রাধা, গৌর শ্যাম)

শ্যাম-নাগর, একবার উঠ্‌ছে একবার বস্‌চে।

(সাজল রে,–নিতাই রাধা, গৌর শ্যাম)

শ্যামের, চূড়া এক ঠাঁই, বাঁশী এক ঠাই।

(সাজল রে,–নিতাই রাধা, গৌর শ্যাম)

শ্যাম,–পুত্র-শব্দে চমকি’ উঠ্‌ছে।–

(সাজল রে,–নিতাই রাধা, গৌর শ্যাম)

ঐ বুঝি রাই এল বলে-–শ্যাম,–পত্র্-শব্দে চমকি’ উঠ্‌ছে।–

(সাজল রে,–নিতাই রাধা, গৌর শ্যাম)

হেল-কালে,–‘‘নূপুরের রুণু-ঝনু পড়ে গেল সাড়া।’’—

(সাজল রে,–নিতাই রাধা, গৌর শ্যাম)

‘‘শ্যাম-নাগর উঠে বলে রাই এল পারা।।’’–

(সাজল রে,–নিতাই রাধা, গৌর শ্যাম)

‘‘শ্যাম-বামে মিলল রাই রসের মঞ্জরী।।’’

(সাজল রে,–নিতাই রাধা, গৌর শ্যাম)

ধেয়ে গিয়ে এলাম বলে দাঁড়াল বামে।

(সাজল রে,–নিতাই রাধা, গৌর শ্যাম)

এই আমি এলাম বলে দাঁড়াল বামে।

(সাজল রে,–নিতাই রাধা, গৌর শ্যাম)

‘‘শ্যাম-বামে মিলল রাই রসের মঞ্জরী।’’

(সাজল রে,–নিতাই রাধা, গৌর শ্যাম)

‘‘জ্ঞানদাস মাগে রাঙা-চরণ-মাধুরী।।’’

(সাজল রে,–নিতাই রাধা, গৌর শ্যাম)

বলে,–আমি যুগল-চরণ পেতে পারি।

(সাজল রে,–নিতাই রাধা, গৌর শ্যাম)

রাই মিলালাম করি’ কত চাতুরী।–

(সাজল রে,–নিতাই রাধা, গৌর শ্যাম)
(মিলল,–নিতাই রাধা গৌর শ্যাম)
(মিলল রে,–নিতাই রাধা গৌর নাম) [ঝুমুর]

মিলল,–‘‘নব-অনুরাগিণী নব-অনুরাগ।’’

(মিলল,–নিতাই রাধা গৌর শ্যাম)

‘‘তনু তনু মিলল গলে গল লাগ।’’মিলল রে,–নিতা রাধা, গৌর শ্যাম)
আজ কুঞ্জে,–মেঘ বিজুরী জড়াজড়ি রে।–

(মিলল,–নিতাই রাধা গৌর শ্যাম)

মিলন দেখে, ‘‘এক রঙ্গিণী পরম-রসাল।’’

(মিলল,–নিতাই রাধা গৌর শ্যাম)

‘‘দোঁহার গলে দিল এক ফুলমাল।।’’–

(মিলল,–নিতাই রাধা গৌর শ্যাম)

যুগলে সুখ দিতে কত-রঙ্গ জানে।–

(মিলল,–নিতাই রাধা গৌর শ্যাম)

যেন,–প্রেম-ডুরিতে বাঁধিল রে।–

(মিলল,–নিতাই রাধা গৌর শ্যাম)

মালা দেওয়া নয়—যেন,–প্রেম-ডুরিতে বাঁধিল রে।–

(মিলল,–নিতাই রাধা গৌর শ্যাম)

‘‘টুটব ভয়ে রহু দুঁহু একবন্ধ।’’–

(মিলল,–নিতাই রাধা গৌর শ্যাম)

পাছে মালা,–ছিঁড়বে বলে অমনি জড়ায়ে রইল।–

(মিলল,–নিতাই রাধা গৌর শ্যাম)

‘‘দৈবে ঘটাওল (আজ) প্রেম-আনন্দ।।’’

(মিলল,–নিতাই রাধা গৌর শ্যাম)

‘‘সখী মুখ হেরিতে দোঁহে হরষিত ভেল।’’—

(মিলল,–নিতাই রাধা গৌর শ্যাম)

‘‘দোঁহে মিলে সেই মালা সখীর গলে দিল।।’’

(মিলল,–নিতাই রাধা গৌর শ্যাম)

সখি আয় আয়,–কাছে আয় বলে মালা গলেতে দিল।

(মিলল,–নিতাই রাধা গৌর শ্যাম)

‘‘মরম-সোহাগিনী তার রাখিল নাম।’’

(মিলল,–নিতাই রাধা গৌর শ্যাম)

‘‘দূর হতে সখী অমনি করু পরনাম।।’’

(মিলল,–নিতাই রাধা গৌর শ্যাম)

যেন, এমনি দয়া থাকে বলে করু পরনাম।

(মিলল,–নিতাই রাধা গৌর শ্যাম)

‘‘দূরে গেল সখী, শিখণ্ড, পীতবাস।’’

(মিলল,–নিতাই রাধা গৌর শ্যাম)

সখীগন দূরে গেল কুঞ্জে মঞ্জরী এল।

(মিলল,–নিতাই রাধা গৌর শ্যাম)

‘‘দূরে রহি’ হেরত গোবিন্দদাস।।’’–

(মিলল,–নিতাই রাধা গৌর শ্যাম)

কুঞ্জের গবাক্ষ দিয়ে যুগল হেরে।–

(মিলল,–নিতাই রাধা গৌর শ্যাম)

আজ কুঞ্জে,–কে রাই কে শ্যাম চেনা ত’ যায় না।–

(মিলল,–নিতাই রাধা গৌর শ্যাম)

তনু তনু মিলে এক হয়েছে।–

(মিলল,–নিতাই রাধা গৌর শ্যাম)

রাই-অঙ্গচ্ছটা লেগে, শ্যাম গৌর হয়েছে।–

(মিলল,–নিতাই রাধা গৌর শ্যাম)
(মিলল,–নিতাই রাধা গৌর শ্যাম)
(আজু মিলল রে,–নিতাই রাধা, গৌর শ্যাম) [ঝুমুর]

‘‘নিতাই গৌর রাধে শ্যাম, হরে কৃষ্ণ হরে রাম,
নিতাই গৌর রাধে শ্যাম রাধে।।’’
শ্রী,–‘‘বৃন্দাবন রম্যস্থান, দিব্য-চিন্তামণি-ধাম,
সুমধুর-রসের আধার।’’ রে !’’

চিন্তামণিময় ভূমি

কল্পবৃক্ষময় বন—চিন্তামণিময় ভূমি

কোটি কোটি, –চিন্তামণিকেও তুচ্ছ করে

সেই,–ব্রজের একটি রজঃ-রেণু—কোটি কোটি,–চিন্তামণিকেও তুচ্ছ করে

গুল্ম হতে বাঞ্ছা করে

সৃষ্টিকর্ত্তা ব্রহ্মা যথায়—গুল্ম হতে বাঞ্ছা করে
রজঃপরশে ধন্য হবে বলে –গুল্ম হতে বাঞ্ছা করে

দীনতার মূরতি রে

সেই ব্রজের তরুলতা তারা—দীনতার মূরতি রে
ভকতি-রাণীর একমাত্র আন—দীনতার মূরতি রে
তাদের সদাই অবনত শিরঃ—দীনতার মূরতি রে

ইঙ্গিত করে জানাইছে

যাদের,–ব্রজবাসে সাধ আছে—তাদের, –ইঙ্গিত করে জানাইছে
যদি,–ব্রজবাসে সাধ থাকে গো
তৃণাদপি-আসনে উপবেশন কর—যদি,–ব্রজবাসে সাধ থাকে গো

‘‘সুমধুর-রসের আধার। রে !
মদনমোহন শ্যাম, দলিত-নীরদ-দাম,
প্রিয়া সহ সতত বিহার।।’ রে !!

বেদ-বিধির অগোচর

বিহরে,–রতন-বেদীর পর—দোঁহে,–বেদ-বিধির অগোচর

অনুভব-পার লীলা

রাই-কানুর প্রেমের খেলা—সে যে,–অনুভব-পার লীলা
প্রাকৃত-বাক্য-মন-বুদ্ধির—সে যে,–অনুভব-পার লীলা

আলোচনার অধিকার হয় না

সে,–কামগন্ধহীন ব্রজলীলা—আলোচনার অধিকার হয় না
এই,–প্রাকৃতদেহ-স্মৃতি থাকতে—সে লীলা,–আলোচনার অধিকার হয় না

একমাত্র গোপীভাবের গোচর

শ্রীগুরু-বৈষ্ণবের কৃপায়—একমাত্র গোপীভাবের গোচর

‘‘প্রিয়া সহ সতত বিহার।। রে !!
শ্যাম সহ সমরুচি, দামিনী-দমন-রুচি,
গোপীকার গাঢ়-আলিঙ্গনে।’’

যেন,–তড়িত-জড়িত-নবঘনে

রাই-কানুর মিলনে—যেন,–তড়িত-জড়িত-নবঘনে

‘‘গৌরবর্ণ-অভ্যন্তর, প্রকাশিলা মনোহর,
সম্ভে দিয়া শ্যাম-সুচিক্কণে।।’’

মাঝে মাঝে ঝলক দিছে

রাই-অঙ্গে,–শ্যাম-অঙ্গ ঢাকা পড়েছে—কিন্তু ,–মাঝে মাঝে ঝলক দিছে
শ্যামের,–উজ্জ্বল-নীলমণির ছটা—কিন্তু,–মাঝে মাঝে ঝলক দিছে

‘‘গৌরাঙ্গী-গোপিনী-সঙ্গে, নিরন্তর খেলা-রঙ্গে,
শ্যাম-অঙ্গ ঢাকি’ গৌর রায়।’’ রে !

গৌরাঙ্গ হল রে

রাই-অঙ্গচ্ছটা লেগে—শ্যাম,–গৌরাঙ্গ হল রে

‘‘শ্রীনবদ্বীপ-ধামে আসি প্রেম বিলায় রাশি রাশি,”

হয়ে,–রাই কানু মিশামিশি

উপরে রাই ভিতরে কাল-শশী—হয়ে,–রাই কানু মিশামিশি

উদিল গৌরাঙ্গ-শশী

নদীয়া-আকাশে আসি—উদিল গৌরাঙ্গ শশী

‘‘তরঙ্গে যার জগত ভাসায়।।’’ রে !!

ভাসালে ডুবালে

স্থাবর, জঙ্গম, গুল্ম, লতা—প্রেমজলে ডুবালে

ভেসে গেল সেই প্রেমের বন্যায়

সুরধুনীর দুই-কূল—ভেসে গেল সেই প্রেমের বন্যায়
অঙ্গ, বঙ্গ, কলিঙ্গ—ভেসে গেল সেই প্রেমের বন্যায়
হিমালয় হতে কুমারিকা—ভেসে গেল সেই প্রেমের বন্যায়

‘‘তরঙ্গে যার জগত ভাসায়।। রে !!
বিষ্ণুপ্রিয়া আদি করি’, নবদ্বীপ-সুনাগরী,
গোরারসে নিমগ্ন সদাই।’’ রে !

যত নদীয়া-নাগরী

গোরারসে আগরী—যত নদীয়া-নাগরী

‘‘নবদ্বীপ-নাগরী আগরী গোরারসে। গো !
কহিতে গৌরাঙ্গ কথা প্রেমজলে ভাসে।। গো !!
ভাব-ভরে ভাবিনী পুলুক-ভরে ভোরা।। গো !!
শ্রবণে নয়নে মনে গোরা গোরা গোরা।।’’ গো !!

গৌর বিনে আন শুনে না কাণে
গৌর বিনে আন দেখে না নয়নে
গৌর বিনে আন ভাবে না মনে

গৌর-ভাবিনী নদীয়া-রমণী—গৌর বিনে আন ভাবে না মনে

‘‘গোরা-রূপ-গুণ অবতংস পরে কাণে। গো !
দিবা নিশি গৌর বিনে অন্য নাহি জানে।।’’ গো !!

গৌর বিনে আন নাহিক জানে

শয়নে স্বপনে জাগরণে—গৌর বিনে আন নাহিক জানে

‘‘গোরোচনা নিবিড় করিয়া মাখে গায়। গো !
যতন করিয়া গোরা নাম লিখে তায়।।’’ গো !!

গৌর-নামের পানে চেয়ে বলে

নিজ-অঙ্গে গৌর-নাম লিখে—গৌর-নামের পানে চেয়ে বলে
তারা,–নামেতে মূরতি হেরে—গৌর-নামের পানে চেয়ে বলে
একবার,–মৃদু হেসে কথা কও—গৌর-নামের পানে চেয়ে বলে

‘‘গোরোচনা-হরিদ্রার পুতলি করিয়া। গো !
পূজয়ে চোখের জলে প্রাণ-ফুল দিয়া।।’’ গো !!


পুজে গোরা পদ-যুগলে
আঁখির জলে, প্রাণ-ফুলে—পূজে গোরার পদ-যুগলে

‘‘প্রেমনেত্রে প্রেমজল বহে দুনয়নে। গো !
তাহে অভিসিঞ্চে গোরার রাঙ্গা দুচরণে।।’’ গো !!


বালাই লয়ে মরে যাই
নদে-নাগরীর গৌর-পূজার—বালাই লয়ে মরে যাই
পূজে গৌরাঙ্গ-সুন্দরে
গোরারসে আগরী নদে-নাগরী—পূজে গৌরাঙ্গ-সুন্দরে
নিজ,–দেহেন্দ্রিয়-উপচরে—পূজে গৌরাঙ্গ-সুন্দরে

[মাতন]

পিরীতি নৈবেদ্য তাহে বচন তাম্বূল। গো !
পরিচর্য্যা করে ভাব-সময়—অনুকূল।। গো !!
অঙ্গকান্তি-প্রদীপে করয়ে আরত্রিকে। গো !
কঙ্কণ-শবদ ঘণ্টা আনন্দ অধিকে ।। গো !!
অঙ্গগন্ধ-ধূপ-ধুঁয়া বহে অনুরাগে গো !
পূজা করি দরশ-পরশ-রস মাগে।।’

বলে,–গৌর আমি তোমার হলাম

তুমি গৌর আমার হলে—আমি গৌর তোমার হলাম

‘‘বিষ্ণুপ্রিয়া-আদি করি,’ নবদ্বীপ-সুনাগরী,
গোরারসে নিমগ্ন সদাই গো !
তাদের অনুগা হব, নিতাই-পদরজঃ পাব,
নবদ্বীপদাস গায় তাই।। গো !!

নিতাই পেলেই সকল পাব

গৌরাঙ্গ-বিলাসের তনু—নিতাই পেলেই সকল পাব
গৌর-বশীকরণ-মন্ত্র-নিতাই পেলেই সকল পাব

আমরা,–নিতাই ভজে গৌর পাব

এ-কথা অন্যথা নবে—আমরা,–নিতাই ভজে গৌর পাব

‘‘একই গৌর-প্রেয়সী নারী। অন্য নায়িকারে কহিছে ঠারি’।।
আছয়ে অদত্তা তনয়া ঘরে। বল্,—কেমনে ওদন রোচয়ে তোরে।।’’

কেমনে অন্ন জল রোচে মা

বিবাহের,–যোগ্য কন্যা ঘরেতে রেখে—কেমনে অন্ন জল রোচে মা
আগে সম্বন্ধ না করিয়ে—কেমনে অন্ন জল রোচে মা

‘‘এখনও জানিয়া সম্বন্ধ কর। নইলে,–মরিলে হইবে বিষম ফের।।’

আবার,–চৌরাশী যোনি ভ্রমিতে হবে

সম্বন্ধ না করে মরলে,–আবার,–চৌরাশি যোনি ভ্রমিতে হবে

যদি বল কি তনয়া আছে

আছে,–‘‘মতি কুলবতী তনয়া বড়। গৌর-বিশ্বম্ভর-সনে সম্বন্ধ কর।’’

তোমার,–মতি-তনয়া বড় হয়েছে

এই বেলা,–যোগ্য-পাত্রে অর্পণ কর—তোমার,–মতি-তনয়া বড় হয়েছে

যোগ্য-পাত্রে অর্পণ কর

নইলে,–মতি ব্যভিচারিণী হবে—যোগ্য-পাত্রে অর্পণ কর

ও তার,–উপযুক্ত পাত্র বটে

যেমন তোমার মতি-তনয়া,–তার,–উপযুক্ত পাত্র বটে
শচীদুলাল গৌর বিশ্বম্ভর—তার—উপযুক্ত পাত্র বটে

দে দে মতি গৌরাঙ্গ দে

এমন সুপাত্র আর পাবি না—দে দে মতি গৌরাঙ্গ দে

তার পরিচয় বলি শুন মা

তার,–‘‘কুল, গুণ, শীল, অসীম-রূপ। সে,–বিদ্যা-বিদগধ রসিক-ভূপ।।’’

অনন্ত-ব্রহ্মাণ্ডে তুলনা নাই মা

অতুলন—কুল, গুণ, শীল, রূপের—অনন্ত-ব্রহ্মাণ্ডে তুলনা নাই মা

তাতে আবার সে রসের রাজা

অতুলন,–কুল, গুণ, শীল, রূপ—তাতে আবার সে রসের রাজা

‘‘কন্যা দেহ তারে এ-সব জানি। তোমার তনয়া হইবে রাণী।’’

তোমার ,–মতি-তনয়া রাণী হবে

গোরা-রসরাজে অর্পণ করলে—তোমার,–মতি-তনয়া রাণী হবে
আর,–কোনও অভাব রবে না গো—তোমার,–মতি-তনয়া রাণী হবে
‘‘ভাব-রত্নহার দিবেন নাথ। রাগ-পদ্মরাগ-মণির সাথ।।
কৃষ্ণ-গুণময় কুণ্ডল দিবে।কীর্ত্তন-কঙ্কণ ভূষণ হবে।।
অনুরাগ-বসন গৌর দিলে। তা’’—মলিন না হবে কোনই কালে।।’’

বরং,–দিনে দিনে বসন উজ্জ্ব হবে

মলিন হওয়া ত’ দূরের কথা—বরং,–দিনে দিনে বসন উজ্জ্বল হবে
উৎকণ্ঠা-লালসা-ঘর্ষণে—বরং,–দিনে দিনে বসন উজ্জ্বল হবে
‘‘অশ্রু, কম্প, স্বেদ, পুলক, হাসি। পরাবে সাত্ত্বিক-মুকুতা-রাশি।।’’

নিশিদিশি ভূষিতা থাকবে

অষ্ট-সাত্ত্বিক-ভূষণেতে—নিশিদিশি ভূষিতা থাকবে
‘‘আদর-চন্দন জগতে দিবে। হরিনামামৃত খাইতে পারে।।’’

সে দেখবে সে আদর করবে
আদর করে ডেকে বসাইবে

মুখে হরিবোল বলে—আদর করে ডেকে বসাইবে
এস,–গৌর-প্রেয়সী এস বলে—আদর করে ডেকে বসাইবে
‘‘অনেক কুটুম্ব মিলিবে তোরে। শ্রীগুরু বৈষ্ণব পাইবি ঘরে।।’’

খুঁজে খুঁজে তারা আপনি আসবে

যাদের,–সাধন করেও মিলে না গো—খুঁজে খুঁজে তারা আপনি আসবে
কে গো—গৌরাঙ্গে মতি দিয়েছে বলে—খুঁজে খুঁজে তারা আপনি আসবে
‘‘অদ্বৈত, নিতাই, মাধবসুত। শ্রীবাসাদি করি’ এই পঞ্চ তত্ত্ব।।
চৌষট্টি মহান্ত গোপাল বার। এ সব কুটুম্ব মিলিবে তোর।।
সবাই আপন করিয়া লবে। ভূবন ভরিয়া খেয়াতি রবে।।
অষ্ট-সিদ্ধি, নব-বিধি যে আছে, ভুক্তি, মুক্তি পড়ি রহিবে নাছে।।’’

কত সাধনের ধন—তারা,–দুয়ারে গড়াগড়ি যাবে তারা দুয়ারে গড়াগড়ি যাবে
আমায়,–গ্রহণ কর জকর বলে—তারা,–দুয়ারে গড়াগড়ি যাবে
‘‘কৃষ্ণানন্দ কহে শুন গো মাই। ইহার অধিক (আর) সম্বন্ধ নাই।।’’

দে দে মতি গৌরাঙ্গে দে

তোর,–হাতে ধরি পায়ে পড়ি—দে দে মতি গৌরাঙ্গে দে
তোর,–সকল অভাব পূরণ হবে—দে দে মতি গৌরাঙ্গ দে

[মাতন]

————-

‘‘ভজ, নিতাই গৌর রাধে শ্যাম।
জপ, হরে কৃষ্ণ হরে রাম।।

[মাতন]

একবার,–গৌরহরি বোল, হরিবোল, হরিবোল, বল ভাই [মাতন]
বোল হরিবোল, নিতাই-গৌর-হরিবোল। [মাতন]


——০——

প্রেমসে কহো শ্রীরাধে শ্রীকৃষ্ণ বলিয়ে—
প্রভু নিতাই শ্রীচৈতন্য শ্রীঅদ্বৈত শ্রীরাধারাণীকী জয় !
প্রেমদাতা পরম-দয়াল পতিত-পাবন শ্রীনিতাই-চাঁদকী জয় !
করুণাসিন্ধু—গৌরভক্তবৃন্দকী জয় !
শ্রীশ্রীনাম-সঙ্কীর্ত্তনকী জয়!
খোল-করতালকী জয় !
আপন-আপন শ্রীগুরুদেবকী জয় !
প্রেমদাতা পরম-দয়াল পতিত-পাবন—
শিশু-পশু-পালক বালক-জীবন শ্রীমদ্‌ রাধাকমণকী জয় !

শ্রীগুরু-প্রেমানন্দে নিতাই-গৌর-হরিবোল।।


—–০——



অভিসার আক্ষেপানুরাগ কুঞ্জভঙ্গ খণ্ডিতা গীতগোবিন্দ গোষ্ঠলীলা দানলীলা দূতী ধেনুবৎস শিশুহরণ নৌকাখন্ড পূর্বরাগ বংশীখণ্ড বিপরীত বিলাস বিরহ বৃন্দাবনখন্ড ব্রজবুলি বড়াই বড়াই-বচন--শ্রীরাধার প্রতি মাথুর মাধবের প্রতি দূতী মান মানভঞ্জন মিলন রাধাকৃষ্ণসম্পর্ক হীন পরকীয়া প্রেমের পদ রাধা বিরহ রাধিকার মান লখিমাদেবি শিবসিংহ শ্রীকৃষ্ণকীর্তন শ্রীকৃষ্ণের উক্তি শ্রীকৃষ্ণের পূর্বরাগ শ্রীকৃষ্ণের মান শ্রীকৃষ্ণের স্বয়ংদৌত্য শ্রীগুরু-কৃপার দান শ্রীরাধা ও বড়াইয়ের উক্তি-প্রত্যুক্তি শ্রীরাধার উক্তি শ্রীরাধার প্রতি শ্রীরাধার প্রতি দূতী শ্রীরাধার রূপবর্ণনা শ্রীরাধিকার পূর্বরাগ শ্রীরাধিকার প্রেমোচ্ছ্বাস সখীতত্ত্ব সখীর উক্তি সামোদ-দামোদরঃ হর-গৌরী বিষয়ক পদ