এতেক শুনিয়া হাসিয়া হাসিয়া
উঠিল কিশোরী গোরি।
রত্ন সিংহাসন জোগাল তখন
আনিল সুবর্ণ ঝারি।।
সিংহাসন’ পরি বৈসল কিশোরী
হেলন সখীর অঙ্গে।
শ্যাম সুনাগর বসিল তখন
কামাইতে তারে রঙ্গে।।
হরষিত হঞা চরণ তুলিঞা
নাপিতানী-হাতে দিল।
দুবাহু পশারি চরণেতে ধরি
হরষ হইঞা নিল।।
তাহে জল ঢালি চরণ পাখালি
আঁচলে করিয়া মুছে।
ঝামা যে লইঞা চরণে ধরিঞা
পুন পুন তাহে দিছে।।
চরণ মাজয়ে আলিস ধরয়ে
অবশ হইল ধনী।।
নরুণ লইঞা নখ যে কাটিঞা
চাঁছয়ে নখের কনি।।
নখ যে চাঁছিল কি শোভা হইল
শারদ চন্দ্র জিনিঞা।
জল দিঞা পুন পাখালি চরণ
আলতা দিছেন পরাঞা।।
নানা লতা ফুল চিত্রিঞা অতুল
আলতা পরাঞা দিল।
তবে সে চরণ- কমলে তখন
নিজ নাম লেখ্যা দিল।।
কহে জ্ঞানদাস নিজ মনোরথ
পূরল নাগর হরি।
আলস ভাঙ্গিয়া চরণ তুলিঞা।।
দেখয়ে কিশোরী গোরি।।