গোবর্ধন গিরিবর তার তলে মণিঘর
সুখদ শীতল মনোহর।
কলপ তরুর বন শোভিয়াছে বিলক্ষণ
সমীপে রাধার সরোবর।।
প্রফুল্ল কমল তায় ভ্রমর ভ্রমরী গায়
চক্রবাক করে ক্রীড়ারণ।
মদন ধনুক করে সদাই তাহাতে ফিরে
যতনে রাখয়ে সেই বন।।
অবসর জানি খেলা বৃন্দার হইল মেলা
ফল তুলি আনিলা সত্বর।
উত্তম সংস্কার করি সোণার থালীতে ভরি
রাখিল যে পিঁড়ার উপর।।
করি মনে অনুমান রচিলা ভোজন স্থান
আগে আসন বসিবার তরে।
সুগন্ধি শীতল জল করি অতি সুনির্ম্মল
ঝারি ভরি যতনেতে ধরে।।
আর যত উপহার করি সব সম্ভার
বৃন্দা সানন্দা হৈয়া মানে।
সখীগণ নানা রঙ্গে নাগর নাগরী সঙ্গে
প্রবেশিলা বিলাস ভবনে।।
দেখিয়া বৃন্দার রীত সভে ভেল আনন্দিত
রসরাজ বসিলা ভোজনে।
মুখানি পাখালি নীরে মোছল পাতল চীরে
বনদেবী করয়ে সেবনে।।
একে একে উপহার ভুঞ্জে কানু বারে বার
রাধিকা দেখিয়া ভেল সুখী।
অবশেষে পিয়ে জল তবে ভুঞ্জে বনফল
যতনে খাওয়ায় সুধামুখী।।
শেখর সত্বর হইয়া আইলা ডাবর লইয়া
আচমন করাবার তরে।
বিলাস মন্দির মাঝে রচিল পালঙ্ক শেজে
তাম্বূল রাখিয়া তারপরে।।