জলের ঘুরণী বড় তরণী আমার দড়
অশ্ব গজ কত নরনারী।
দেবতা গন্ধর্ব্ব যত পার করি শত শত
যুবতীযৌবন এত ভারি।।
ভূবনমোহন শ্যামচন্দ।
ভানুসুতা পানে চেয়ে হাসি হাসি কথা কহে
শুন শুন যুবতীর ছন্দ।।
উমড়িয়া শ্যাম মেঘে ঘিরি নিল চারিদিকে
পবনে কাঁপায় সব তনু।
ঘন উছলিছে জল নৌকা করে টলমল
তরুণী তরণী ভার দুনু।।
আমার বচন ধর হাতে কোরোয়াল কর
ছাড় সবে বসন ভূষণ।
নেয়ের বেতন দাও সঘনে তরণী বাও
নহে স্মর শ্রীমধুসূদন।।
শুনি সুবদনী কয় আগে পার করি দাও
পাছে দিব যে হয় বিহিত।
জ্ঞানদাস কহে বাণী আগে দিলে ভালে জানি
পাছে হিতে হয় বিপরীত।।