নাগর চতুর-মণি।
কহেন একটি বাণী।।
“শুন, শুন, সুকুমারী রাধে।
দাণ্ডাইতে শিখ আগে।।
তবে সে ভালই লাগে।
তবে বাঁশী শিখাইব সাধে।।
ধরহ আমার বেশ।
আরহ চরণ-শেষ।।

পদের উপরে দেহ পদ।
ত্রিভঙ্গ হইয়া র‍ও বাঁশী সনে কথা কও
বাঁশী বাও হইয়া আমোদ।।”
শুনিয়া আনন্দ বড়ি সে নব-কিশোরী গোরী
ত্রিভঙ্গিম ভঙ্গিম সুঠাম।
ধরিয়া রাধার করে নাগর রসিকবরে
অঙ্গুলি ঘুরাইতে শিখান।।
রন্ধ্রে রন্ধ্রে সে অঙ্গুলি শিখাইছে বনমালী–
“দেহ ফুঁক সুকুমারী রাধা।
বাজাহ মধুর তান মন্দ মন্দ কর গান
তিলেক নাহিক কর বাধা।।”
হাসি কহে বিনোদিনী–“এবে কি শিখিতে জানি
অলপে অলপে যদি পারি।”
কহেন রসিক-রাজ– “ভালে সে পাইবে লাজ”
চণ্ডীদাস যায় বলিহারি।।