নানা অর্ঘ্য সহ জতেক রমণী
লইআ কাঞ্চন থালা।
তাহাতে কাঞ্চন আর দূর্ব্বাধান
আশীষ করেন তারা।।
গোপের রমণী এ বৃদ্ধ ব্রাহ্মণী
আশীষ করেন চিতে–
“তোমার বালকে রাখুক দেবতা
দশ দিক্পাল সুতে।।
হরি নারায়ণ পরম কারণ
অচ্যুত অনন্ত আদি।
এ সব দেবতা রাখল তোমাএ
এই সে আশীষ-বিধি।।”
দেখিঞা বালকে এক দিঠে থাকে
নঅন পালট নহে।
দেখিআ সৌন্দর্য্য কেহো নহে ধৈর্য্য
সরমে মরমে কহে।।
কহে জসদায় “তোমার বালক
দেখিআ হইলুঁ সুখী।
কোথা আরাধিলে কিঁ দেব পূজিলে
ধন্য করি তোরে লিখি।।
এমত ছায়ালে হেদে গো, জগদা,
নিছনি লইআ মরি।
কোথাহ না দেখি এমত মূরতি
দেখিএ নাগর ভালি।।”
এই সে কহিলা জতেক যুবতী
হরস হইআ মনে।
এমন আপন না দেখি গিআনে
দিন চণ্ডিদাস ভণে।।