নিঠুর কালিয়া না গেল বলিয়া
জানিলে যাইথু সাথে।
গুরু-গরবিত বসতি আমার
পরাণ লইয়া হাতে।।
সই, কি আর বলিব তোরে।
আপন অন্তর না করে বেকত
তবে সে কহি যে তারে ।।ধ্রু।।
মনের মরম যে জনা না জানে —
মরম জানিবে কে।
সেই সে জানয়ে মনের মরম
এ রসে মজিল যে।।
চোরের রমণী যেন অনাথিনী
ফুকরি কাঁদিতে নারে।
কুলবতী হৈয়া পীরিতি করিলে
তেমতি সঙ্কট তারে।।
কে আছে ব্যথিত যাবে পরতীত
এ দুখ কহিব কারে।
হয় দুখ-ভাগী পাই তার লাগি
তবে সে কহি যে তারে।।
পরে কি জানয়ে পরের বেদন
সে রত আপন কাজে।
চণ্ডীদাসে বলে বনের ভিতরে
কভু কি রোদন সাজে।।