নিশাচর ঘরে গেল অরুণ উদয় ভেল
তারাপতি কাঁতি মলিন।
কুমুদ মুদিত ভেল পদুম প্রকাশল
পরবশ পড়ল কঠিন।।
দেখিয়া দোহাঁর রীতে বৃন্দা বিকল চিতে
আদেশিলা কোকিল কোকিলি।
তারা সভে গান করে ভ্রমর ঝঙ্কার পূরে
কেকাকেকী করয়ে বিকুলি।।
কক্খটী উঠায় তান কি করহ রাধাকান
শেজ তেজি করহ পয়ান।
রাইরে না দেখি ঘরে জটিলা লগুড় করে
বনে আসি করয়ে সন্ধান।।
কক্খটী কপট কথা শুনি বৃষভানু সূতা
তরাসে তরল ভেল মন।
রাধা কানু সখী সাথে চলিলা গোপত পথে
তুরিতে তেজল সেই বন।।
খেদিল হরিণী যেন ঐছন রমণীগণ
চকিত নয়নে ঘন চায়।
নাগরী নাগর পাশে দাঁড়ায়ে শেখর হাসে
ভয় নাই সবারে বুঝায়।।