নিশি অবসানে সব দাসীগণে
সত্বরে করয়ে কাজ।
বেশের মন্দির মাজল সুন্দর
রাখল বেশের সাজ।।
কিনা সে দাসীর রীত।
জানিয়া মরম করয়ে করম
যাহাতে আপন জীত।।
দশনমাজনী রসনাশোধনী
থুইল থালীর পরি।
কর্পূর সহিত গন্ধচুরিত
যতন করিয়া ধরি।।
নির্ম্মল সলিল সুগন্ধি শীতল
পূরিয়া গাগরী ঝারি।
মুখ পাখালিতে সিনান করিতে
বেদির উপরে ধরি।।
গামছা কাচিয়া নিজল করিয়া
রাখল পৃথক করি।
এ তৈল আমলা আনল শ্যামলা
বেলিয়ে বেলিয়ে ভরি।।
উবটন করি কনকমঞ্জরী
আনল রাইয়ের তরে।
মঞ্জরী রঁতন করিয়া যতন
আনল সিনান-চীরে।।
গুণবতী তথি কর্পূরমালতী
সুগন্ধি শীতল করি।
বিধি-অগোচর নানা উপহার
থালীতে থালীতে ভরি।।
বিচিত্র বসন তাহাতে ঢাকন
করল পরম সুখে।
রাইয়ের ইঙ্গিতে রাখল গোপতে
যেন আন নাহি দেখে।
কর্পূর তাম্বূল মালতীর মাল
শেখর যতন করে।
সে পীত বসন আনিয়া তখন
আপন আওয়াসে ধরে।।