প্রভাতে স্মরণ কীর্ত্তন
শ্রীগুরুপ্রেমানন্দে নিতাই গৌর হরিবোল
ভজ নিতাই গৌর রাধে শ্যাম।
জপ হরে কৃষ্ণ হরে রাম।।

সপার্ষদ-শ্রীমন্মহাপ্রভুর নিকট প্রার্থনা

‘‘নিতাই গৌরাঙ্গ, নিতাই গৌরাঙ্গ, নিতাই গৌরাঙ্গ গদাধর।
জয় শচীনন্দন, জগজীব-তারণ, কেলি-কলুষ-নাশন অবতার।।
‘‘জয় শচীনন্দন,’’
ত্রিভুবন-বন্দন—জয় শচীনন্দন
ভুবন-আনন্দন—জয় শচীনন্দন
কীর্ত্তন-নটন—জয় শচীনন্দন
নাটুয়া-বিনোদন—জয় শচীনন্দন
প্রাণারামধন—জয় শচীনন্দন
শচীদুলালিয়া—জয় শচীনন্দন
কীর্ত্তন-বিনোদিয়া—জয় শচীনন্দন
নদীয়া-ইন্দুয়া—জয় শচীনন্দন
মাধুর্য্যামৃত-সিন্ধুয়া—জয় শচীনন্দন
নাগরী-মোহনিয়া—জয় শচীনন্দন
গদাধরের প্রাণবঁধুয়া—জয় শচীনন্দন
কীর্ত্তন-নাটুয়া—জয় শচীনন্দন
ঠমকী-গমনিয়া—জয় শচীনন্দন
নটন-বিভঙ্গিয়া-–জয় শচীনন্দন
বাহু দোলাইয়া চলনিয়া—জয় শচীনন্দন
অঙ্গে ভাবাবলী ভূষণিয়া—জয় শচীনন্দন
রসরাজ নাটুয়া—জয় শচীনন্দন
প্রাণ বিনোদিয়া—জয় শচীনন্দন
চিত-চোর—জয় শচীনন্দন
অখিল-মরম-চোরা—জয় শচীনন্দন
মহাভাব-প্রেমরসে ভোরা—জয় শচীনন্দন
রাধাভাব-দ্যুতি-চোরা—জয় শচীনন্দন
কিশোরী-বরণ-ধরা—জয় শচীনন্দন
রাই-অনুরাগে তনু গড়া—জয় শচীনন্দন
পিরীতি মুরতি গোরা —জয় শচীনন্দন
চিত-চোরা-চুড়ামণি—জয় শচীনন্দন
অখিল-রসামৃত-খনি—জয় শচীনন্দন
মহাভাব-প্রেমরস-খনি—জয় শচীনন্দন
রসিকেন্দ্র-চুড়ামণি—জয় শচীনন্দন
রসিক-মুকুট-মণি—জয় শচীনন্দন
নাগরেন্দ্র-শিরোমণি—জয় শচীনন্দন
গৌরাঙ্গ দ্বিজমণি—জয় শচীনন্দন
প্রেম-কল্পতরু—জয় শচীনন্দন
রসিক-কলাগুরু—জয় শচীনন্দন
কীর্ত্তন-কেলি-বিলাসগুরু—জয় শচীনন্দন
কেলি-কলারস-গুরু—জয় শচীনন্দন
শিরে চাঁচরকেশ শোভন—জয় শচীনন্দন
তাহে মালতীমালা জড়ান—জয় শচীনন্দন
তাহে লুবধ-মধুপ-গুঞ্জন—জয় শচীনন্দন
ষোলকলা-চন্দ্রানন—জয় শচীনন্দন
বদনে মদন বেটে মাখন—জয় শচীনন্দন
তাহে লাবণ্যমৃত সিঞ্চন—জয় শচীনন্দন
আঁখিযুগ খঞ্জন—জয় শচীনন্দন
কাজর-পাশে বন্ধন—জয় শচীনন্দন
জোড়াভুরু কামের কামান—জয় শচীনন্দন
তোহে বঙ্কিম-বিলোকন—জয় শচীনন্দন
জাতিকুল উপাড়ন—জয় শচীনন্দন
গৃধিনী জিনিয়া কর্ণ—জয় শচীনন্দন
আছে মুখ করি ব্যাদান—জয় শচীনন্দন
সতীকুল গ্রাসিতে মন—জয় শচীনন্দন
কিবা গণ্ডস্থলে শোভন—জয় শচীনন্দন
দুলিতেছে অবিরাম—জয় শচীনন্দন
শোভে অতি নিরুপম—জয় শচীনন্দন
হেরি’ ধৈর্য্য নাহি মানে মন—জয় শচীনন্দন
নাসায় মুকুতা শোভন—জয় শচীনন্দন
তিল-ফুল-নিন্দন—জয় শচীনন্দন
মৃদুনিঃশ্বাস-ভরে দোলন—জয় শচীনন্দন
নাটুয়া বিনোদন—জয় শচীনন্দন
বদন মদন-বেটে মাখান—জয় শচীনন্দন
লাবণ্যামৃত সিঞ্চ ন—জয় শচীনন্দন
সুন্দর দশন—জয় শচীনন্দন
দন্ত দাড়িম্ব-বীজ গাঁথন—জয় শচীনন্দন
বিম্বাধর শোভন—জয় শচীনন্দন
পিক জিনি বচন—জয় শচীনন্দন
কোকিলাকুল-ভাষণ—জয় শচীনন্দন
মুচকি-হসন—জয় শচীনন্দন
মধুর-ভাষণ—জয় শচীনন্দন
কোকিল জিনি ভাষণ—জয় শচীনন্দন
তাতে অমিয়া সিঞ্চ ন—জয় শচীনন্দন
শুনে জুড়ায় তনু-মন—জয় শচীনন্দন
তাতে হৃদ-কর্ণ-রসায়ন—জয় শচীনন্দন
চিত উচাটন—জয় শচীনন্দন
পরিসর বক্ষপীন—জয় শচীনন্দন
মদন-মদ-মর্দ্দন—জয় শচীনন্দন
তাহে গুঞ্জাহার-দোলন—জয় শচীনন্দন
স্কন্ধে উপবীত লম্বমান—জয় শচীনন্দন
হিয়া মদন-মদ-মর্দ্দন—জয় শচীনন্দন
তাহে শোভে মণি-আভরণ—জয় শচীনন্দন
হেমদণ্ড-বাহু দোলন—জয় শচীনন্দন
পাষণ্ডী আলিঙ্গন—জয় শচীনন্দন
অঙ্গে ভাবাবলী ভুষণ—জয় শচীনন্দন
সিংহ জিনি কটি ক্ষীণ—জয় শচীনন্দন
হয় মুঠিতে বন্ধন—জয় শচীনন্দন
ভাবভরে দোলন—জয় শচীনন্দন
হেরি’ ভঞ্জন-ভয়-মন—জয় শচীনন্দন
কিঙ্কিণী-শোভন—জয় শচীনন্দন
উলটা-কদলী জঘন—জয় শচীনন্দন
মত্তগজ জিনি গরম—জয় শচীনন্দন
রাতুল চরণ—জয় শচীনন্দন
তাহে মণি-মঞ্জীর শোভন—জয় শচীনন্দন
ভকত-হৃদয়-ধন—জয় শচীনন্দন
জগজন-জীবন—জয় শচীনন্দন
‘‘জয় শচীনন্দন, জগজীব-তারণ, কলি-কলুষ-নাশন অবতার।
জয় হাড়াই-নন্দন, পদ্মাবতী-জীবন, করু প্রেম-পরশ-রতন পরচার।।’’
‘‘জয় হাড়াই-নন্দন,’’
কুলের দেবা নিতাই আমার—জয় হাড়াই-নন্দন
‘কুলের দেবা নিতাই আমার’—
গৌরাঙ্গ-বিলাসের তনু—কুলের দেবা নিতাই আমার জয় হাড়াই-নন্দন
একচাকা-সুধাকর—জয় হাড়াই-নন্দন
গৌরপ্রেমময় কলেবর—জয় হাড়াই-নন্দন
গোরাপ্রেমে হৃদয় ভরা—জয় হাড়াই-নন্দন
গোরাপ্রেমে মাতোয়ারা—জয় হাড়াই-নন্দন
নিতাই আমার শুদ্ধ স্বর্ণ—জয় হাড়াই-নন্দন
দু’টি আঁখি রক্তবর্ণ—জয় হাড়াই-নন্দন
গৌর বলিয়া বেড়ায় কাঁদিয়া—জয় হাড়াই-নন্দন
গৌরপ্রেমে মত্ত মহাবলী—জয় হাড়াই-নন্দন
চলে নিতাই দিক্ দলি’—জয় হাড়াই-নন্দন
চলে নিতাই দিক্ দলি’—জয় হাড়াই-নন্দন
গজেন্দ্র গমনে যায়, সকরুণ দিঠে চায়—জয় হাড়াই-নন্দন
‘‘জয় হাড়াই-নন্দন, পদ্মাবতী-জীবন
করু প্রেম-পরশ-রতন পরচার।।
জয় শ্রীসীতানাথ, শ্রীঅচ্যুত-তাত,
গৌর আনি কর প্রেমে হুহুঙ্কার।।
মাধবাচার্য্য-নন্দন, রত্নাবতী-জীবন,
জীবে, –দাস্য-সেবা দিয়ে কর অঙ্গীকার।
শ্রীবাসাদি-ভক্তগণ, করু নাম-সংকীর্ত্তন,
পূর্ব্বরাগ গাও স্বরূপ দামোদর।।
গৌরীদাস আদি করি, খণ্ডবাসী নরহরি,
ঠাকুর, –হরিদাস চরণ-তরি দাও এইবার
জীবের লাগিয়ে, সন্ন্যাস করিয়ে,
রাধাভাব কৈল গোরা অঙ্গীকার।।
সন্ন্যাস করিয়ে, নীলাচলে বসিয়ে
রাধাপ্রেমে করল গোরা পরচার।
স্থাবর-জঙ্গম-আদি, হরি বলে নিরবধি,
গোরা কৈলা লীলা এ কি চমৎকার ।।
বালক-বৃদ্ধ-পুরুষ-নারী,ভজ নিতাই গৌরহরি,
ভব-পারে যেতে চরণ-তরি কর সার।
রাধারমণ-দাসে বলে,রেখো নিতাই চরণ-তলে,
এই, –ভজন-বিহীন-জনে কর পার।।‘’

শ্রীশ্রীগুরু-বৈষ্ণবে আত্মনিবেদন

‘‘শ্রীগুরু-বৈষ্ণব, তোঁহারি চরণ, স্মরণ না কৈলুঁ আমি।
বিষয়-বিষম, বিষ ভাল মানি,খাইছুঁ হইয়া কামী।।
সেই বিষে মোরে, জারিয়া মারিল, বড়ই বিপাক হৈল।
জনমে জনমে, এমন কতেক, আত্মঘাতী পাপ কৈল।।
সেই বিষে মোরে, জারিয়া মারিল, বড়ই বিপাক হৈল।
জনমে জনমে, এমম কতেক, আত্মঘাতী পাপ কৈল ।।
সেই অপরাধে,এ ভব-সাগরে, বান্ধিল এ মায়া-জালে।
তোমা না ভজিয়া, আপনা খাইয়া, আপনি ডুবিনু হেলে।।
আমি, —আর কতকাল, এ দুঃখে, ভুঞ্জিব, আমার, ভোগ-দেহ নাহি যায়।।
সহিতে নারিয়া, কাতর হইয়া, আমি, —নিবেদিছি তুয়া পায়।।
তোমার, —ও রাঙ্গাচরণ, স্মরণ কেবল, বিচারিয়া এই দায়।
এবার, —উদ্ধার করিয়া লহ দীনবন্ধু, আপন চরণ-নায়।।
তোহাঁরি সেবন, অমৃত-ভোজন, করাইয়া মোরে রাখ।
এ রাধামোহন,খতে’ বিকাওল, দাস গণনাতে লিখ।।’’

শ্রীশ্রীগুরু-বৈষ্ণবে আত্মনিবেদন

‘ঠাকুর-বৈষ্ণবগণ, করো মুঞি নিবেদন
মো বড় অধম দুরাচার।
দারুণসংসারনিধি, তাহে ডুবাইল বিধি,
কেশে ধরি’ মোরে কর পার।।
বিধি বড় বলবান্, না শুনে ধরম-জ্ঞান,
সদাই করম-পাশে বাঁধে।
না দেখি তারণ-লেশ, যত দেখি সব ক্লেশ,
অনাথ কাতরে তেঞি কাঁদে।।
কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ মদ, অভিমান সহ,
আপন আপন স্থানে টানে।
আমার ঐছন মন, ফিরে যেন অন্ধজন,
সুপথ বিপথ নাহি মানে।।
না লইনু সৎমত, অসতে মজিল চিত,
তুয়া পদে না করিনু আশ।
নরোত্তম দাসে কয়, দেখে শুনে লাগে ভয়,
তরাইয়া লহ নিজ পাশ।।

শ্রীশ্রীগৌরাঙ্গচরণে আত্মসমর্পণ

‘‘জয় জয় শ্রীচৈতন্য ।। ধ্রু
জয় জয় জয় জয় নিত্যানন্দ,
জয়াদ্বৈতচন্দ্র গৌরভক্তবৃন্দ।
স্বরূপ রামানন্দ সেন শিবানন্দ,
গদাধরে ধরি’ শ্রীগৌরাঙ্গ।।
জয় জয় শব্দ হ’ল ন’দেপুরে,
‘জয় গৌরাঙ্গ’ নাম বলে ঘরে ঘরে।
কেহ গঙ্গাতীরে কেহ গঙ্গানীরে,
সঘনে বলিছে ‘শ্রীগৌরাঙ্গ’।
অধন্য-কলিরে ধন্য করিবারে,
নিতাই চৈতন্য নদীয়া-নগরে।
বসি’ নীলাচলে ভাসালে সকলে,
প্রেমে পরিপূর্ণ সবারি হৃদয়।।
জয় গৌরাঙ্গ বলে যাব ন’দেপুরে,
ন’দের চাঁদ মোদের লবেন করে ধ’রে ।
অধম চরণে রে রেখো না হে দূরে,
প্রাণ সঁপিলাম ও রাঙ্গাপায়।।

‘‘ভজহুঁ রে মন, শ্রীনন্দনন্দন, অভয় চরণারবিন্দ রে।
দুর্ল্লভ মানব, জনম সৎসঙ্গে, তরহ এ ভবসিন্ধু রে।।
শীত-আতপ, বাতবরিখনে, এ দিন যামিনী জাগি রে।
বিফলে সেবিনু, কৃপণ দুরজন, চপল-দুখলব লাগি’ রে।।
এ ধন যৌবন, পুত্র-পরিজন, ইথে কি আছে পরতীত রে।
নলিনী-দল-জল, জীবন টলমল, ভজহুঁ হরিপদ নিতি রে।।
শ্রবণ-কীর্ত্তন, স্মরণ বন্দন, পাদসেবন দাস্য রে।।
পূজন সখীজন, আত্ম-নিবেদন গোবিন্দদাস অভিলাষী রে।।’’



অভিসার আক্ষেপানুরাগ কুঞ্জভঙ্গ খণ্ডিতা গীতগোবিন্দ গোষ্ঠলীলা দানলীলা দূতী ধেনুবৎস শিশুহরণ নৌকাখন্ড পূর্বরাগ বংশীখণ্ড বিপরীত বিলাস বিরহ বৃন্দাবনখন্ড ব্রজবুলি বড়াই বড়াই-বচন--শ্রীরাধার প্রতি মাথুর মাধবের প্রতি দূতী মান মানভঞ্জন মিলন রাধাকৃষ্ণসম্পর্ক হীন পরকীয়া প্রেমের পদ রাধা বিরহ রাধিকার মান লখিমাদেবি শিবসিংহ শ্রীকৃষ্ণকীর্তন শ্রীকৃষ্ণের উক্তি শ্রীকৃষ্ণের পূর্বরাগ শ্রীকৃষ্ণের মান শ্রীকৃষ্ণের স্বয়ংদৌত্য শ্রীগুরু-কৃপার দান শ্রীরাধা ও বড়াইয়ের উক্তি-প্রত্যুক্তি শ্রীরাধার উক্তি শ্রীরাধার প্রতি শ্রীরাধার প্রতি দূতী শ্রীরাধার রূপবর্ণনা শ্রীরাধিকার পূর্বরাগ শ্রীরাধিকার প্রেমোচ্ছ্বাস সখীতত্ত্ব সখীর উক্তি সামোদ-দামোদরঃ হর-গৌরী বিষয়ক পদ