“বঁধু, তুমি সে পরশ-মণি হে
তুমি সে পরশ-মণি।
ও অঙ্গ পরশে এ অঙ্গ আমার
সোনার বরণখানি।।
তুমি রস শিরোমণি হে
বঁধু, তুমি রস -শিরোমণি।
(মোরা) অবলা অখলা আহিরিণী বালা
তো সেবা নাহি জানি।।
তোঁহার লাগিয়া ধাই বনে বনে
সুবল-বেশ ধরি হে।
(এক) তিলে শত যুগ দরশনে মানি
ছেড়ে কি রইতে পারি হে।।
অঙ্গের বরণ কস্তূরী চন্দন
(আমি) হৃদয়ে মাখিয়ে রাখি।
ও দুটি চরণ পরাণে ধরিয়া
নয়ান মুদিয়া থাকি।।”
চণ্ডীদাস কহে — “শুন রসবতি,
তুঁহু সে পীরিতি জানহে।
বঁধু সে তোমার এক কলেবর
দুঁহু সে এক প্রাণ হে।।”