বাহু তুলিলেঁ কেশ বন্ধন ছলে।
ঘন ঘন বিকাশিলেঁ বদন কমলে।।
আঙ্গভঙ্গ কৈলেঁ কেহ্নে মোর বিদ্যমানে।
এবেঁ আলিঙ্গন দিআঁ রাখহ পরাণে।।
কিসকে ঘুচায়িলেঁ রাধা নেতের আঞ্চল।
দেখায়িলেঁ কুচভার করায়িলেঁ বিকল।।ধ্রু।।
যমুনার তীরে রাধা কদমের তলে।
তরল করিলেঁ কেহ্নে নয়নযুগলে।।
আধ মুখ ঢাকিলেঁ সরুঅ বসনে।
তেকারণে রাধা ধরিতেঁ নারোঁ মনে।
যুমনা নদীর রাধা তুলিতেঁ পাণী।
কেহ্নে ধীরেঁ ধীরেঁ বুইলেঁ মধুরস বাণী।।
তোহ্মার কারণে রাধা রাখোঁ মো গোকুল।
তোহ্মে জাণ কাজের আহ্মার আদিমূল।।
বাতল হয়িলোঁ মো তোহ্মার দোষে।
তোরে করিতেঁ জুআএ মোর পরিতোষে।।
যমুনার তীরে থাকোঁ তোর পতিআশে।
বাসলী শিরে বন্দী গাইল চণ্ডীদাসে।